অবলোকন রাস্তাটা সম্ভবতঃ পালিয়ে যাচ্ছে
হু-ই যে মহা সড়কের উপর দাঁড়ানো ছেলেটি
মনে হয়, সে এই রাস্তাকে চেনে। এখানে গীটার রাখা বারণ—
মদ বা সিগারেট খাওয়া বারন—
পছন্দের নারীর গায়ে নাম লেখা বারণ— জীবনে কোথায় বারণ নেই? রাস্তার বুকে গীটার ঘঁষটে ছেলেটি তবু চলে যায়
এইসব বারণ ফারণ তার ডিকশনারীতে নেই
সে প্রাচীর বিষয়ে

বৃষ্টি কাল তুই ছিলি
আকাশ ছিল নীল
আর সূর্যের হাসি,
আজ তুই নেই
মন মেঘলা
কাঁদছে আকাশ; কাল তুই ছিলি
রাত ছিল জ্যোৎস্না
আর চাঁদ খিলখিল,
আজ তুই নেই
দিনটাও অন্ধকার
বৃষ্টি রিমঝিম; কাল আর আজকের মাঝে ফারাক তো কিছু আছেই
ফারাক সময়ের
দিন আর রাতের,
ফারাক অনুভবের
ভালোবাসার ও ভুলে যাওয়ার,
ফারাক জীবন যাপনের
তোর আর আমার, তবুও আমরা

নীলাঞ্জ নীলাঞ্জ তোমার ত্বকের কোষ গহবরে
নয়নাভিরাম সাপ নড়েচড়ে—
অন্তহীন রূপে কেঁপে উঠছে দালানকোঠা
তুমি যেও না দূরের ঐ গুহায়
পাহাড়ি মেয়েদের সমবেত পা’য়ের নৃত্যে
কি অবাধে তুলে দিচ্ছ নূপুরের বোল কিংবা
চুলের ফুলে হয়ে যাচ্ছ ভ্রমর গুঞ্জরণ। যেও না নীলাঞ্জ, বলো না কথা ওদের সাথে
সুরঞ্জনা’কে যেভাবে থামতে বলা হয়েছিল
চাইছি না থামাতে
শুধু

নির্জলা প্রসাদ আরণ্যক সময় এখন
হিসেবের পাঠ চুকিয়ে অবেলায়
আবার প্রেমে পড়বো আমরা দুঃখমোচন দিনে
হাত ফসকে পড়ে যাচ্ছে প্রেম
ইতি টানবো চিরচেনা গানের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তোমার নাম
এই নির্জলা প্রসাদ
রাক্ষসী! তোমার তরে কতো কথাই বলা হয় মুদ্রাদোষে
নস্টালজিক সময় এখন
বাড়ছে প্রেমক্ষুধা ধরে নাও ক্ষুধার রং লাল
লাল মানে বিপদ
লাল মানেই প্রেম তৃষ্ণারা শুধু হাততালি দিতে জানে
নিজেকে

সুখের উম্মোচন খুকী তোর পেঁচা মুখের উম্মোচন হয়েছে সুখ
মাছির মতো লজ্জাহীন করেছে দৃষ্টি পলক-
লাল রাঙা ঠোঁটে ধরেছে আঁকাবাঁকা ধুসর রঙ
খুকী তোর শূন্য থালায় হায়নার মতো চিৎকারে ডং! এ-কাল সে-কাল সবকালেই মুখ হয়েছে উম্মোচন
একটুও বোঝ না খোকাবাবু দেখে -দেখে নাচন। পাঁকা ধানে মই দিতে লাগে কতশত মামনকামলা
তবে কি