মা (২০)
মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়
খুব ছোটবেলায় মা এভাবেই বলতেন
বলতেন – আমি যখন চোখনিদ্রায় যাবো তখন তুইও আমায়
এই তারাদের মাঝেই খুঁজে পাবি।
আজ দীর্ঘ নয় বছর হলো মা নেই
সেই যে তিনি চোখনিদ্রায় গেলেন আর চোখ খুললেন না
আমি পুব আকাশে খুঁজি – নেই
পশ্চিমে – নেই
দক্ষিণে
ম নো বে দ না
ভেতরে ভেতরে কতো মামলা নগদ জট পাঁকিয়ে আছে
আমার প্রিয়তমা নগরীর আখাম্বা যানজটের মতো বিরক্তিকর
তবুও আমি কি কোনোদিন তোমাকে কিছু বলেছি? বলিনি।।
যেভাবে গাড়ীগুলো কখনও পথের ভালোবাসা ভুলেনা,
ভুলতে পারে না;
গন্তব্যের আশায় মন্তব্য করে না, ভুলে থাকে প্রভারণা প্রতারণা
আমিও তেমনি বারবার ভুলে
পূর্ণচ্ছেদ
আমার কেন এমন ইচ্ছে হয়
কেবলই মনে হয় শুয়ে থাকি
ডোমঘরের হিমে
পাশের লাশটি আমাকে ডেকে বলুক
তার এ যাবতকালের ঘর সংসার
দিতে পারা, নিতে না পারার সব কাহিনী
সেই তো অমুকের কাছে ধারদেনা
তমুককে ঠকানো বা নিজের ঠকে যাওয়া
মনে হয়, এসবই শুনি তার কাছ থেকে
বলি নিজেরও কিছু।
এরপর রাত গভীর
জানতে ইচ্ছে করে
আজকাল আর তোর ঘুম ভাঙানো হয় না সেহরি’তে
ফোন নাম্বার বদলায় নি তোর
আমার নাম্বারও সেই পুরনোটাই আছে
শুধু সময় বদলে গেছে;
অথচ একটা সময় ছিল রাতে ফোন না দিলে
তুই উঠতেই পারতি না সেহরি’তে
কখনো যদি আমি উঠতে না পারতাম
অথবা ফোন দেয়া না হত যে কোন কারণে,
পরদিন
এই যে বাড়িটি দেখছেন
আমার একটি ছাউনির খুব বেশি প্রয়োজন।
কথাগুলো বলতেই ওরা খুব সাগ্রহে এগিয়ে আসে।
এবং বলে— কবি, কী কী লাগবে তার একটা ফর্দ
তৈরি করে দিন। এয়ার কন্ডিশন, রিফ্রিজারেটর, গ্যাসস্টোভ,
মাইক্রোওয়েভ, ওগুলো সাথেই আসবে। এমনকি ডিশ ওয়াশিং
মেশিনও। আপনার লেখালেখির জন্য একটা টেবিল,
কিংবা দু’চারটা কলম আপনি
যা যা প্রয়োজনঃ
মাংশ ৬০০ গ্রাম, ভাঙ্গা গম ১০০ গ্রাম, পোলাউর চাউল ১০০ গ্রাম, মসুর, মটর, ছোলা এবং খেসারীর ডাল ১০০ গ্রাম করে ৪০০গ্রাম,(মুগ বা মাস কলাইর ডাল দিবেন না) আদা ২টেবিল চামচ, রসুন ১ টেবিল
একজন পুরুষ গল্পকারের সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয়, যখন তিনি নারী প্রধান কোনো চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে চান। আমার নিজেরও এক্ষত্রে সমস্যা হয়। একজন নারীর অনুভবে কল্পনায় অনুভূতিগুলি কিভাবে প্রকট হয়, একজন পুরুষ হিসেবে সেটা ফুটিয়ে তোলা অত্যন্ত
কালবেলা ২
অনেক রাত অবধি বসে ছিলাম একা চুপচাপ। মাঝে মাঝেই কুয়াশায় ভরে যাচ্ছে মনের আকাশ।
কাল রাতে চাঁদের আলোয় ভাসেনি আমার ঘর।
একা একাই বসে থাকি, আঙুলের কর গুনি, নামতা পড়ার মতো করে, জ্যোতিষীর মতো রেখা চিনি, আর বাকি যা কিছু আনাগোনা করে,
মনে মনে, সব,
একটা মোটে গিন্নী আমার বড়ই হৃদয়বান
এবার ঈদে শাড়ি না পেলে করবে সে জান কোরবান।
ইফতারির পরে সেদিন এগিয়ে দিল এক লিস্টি
ভাবলাম বুঝি কিনতে আমায় বলবে কিছু মিষ্টি।
পড়ে দেখে প্রাণটা আমার চাইল, ছেড়ে যেতে খাঁচা
মনে বলে পরেছিস ফান্দে
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১২৯০ বার দেখা
| ১৫৮ শব্দ ১টি ছবি
পৃথিবীটা গোল থেকে গোলতর
হয়ে যাচ্ছিলো সে সময়, মাঠগুলো
ছুটতো সমান থেকে সমান্তরাল।
তখন আমরা এক সংগেই
ত্রিকোণমিতি করতাম;
“একটি গাছের শীর্ষ বিন্দুতে
সূর্যের অবনতি কোণ ষাট ডিগ্রী,
গাছের উচ্চতা দশ মিটার হলে
ছায়ার দৈর্ঘ্য কত? ”
নিরঞ্জনের দেখাদেখি লিখলাম–
ট্যান সিক্সটি ইকুয়াল টু
উচ্চতা বাই ভূমি
সমাধান প্রায় শেষ
দেখি তখন নিরঞ্জন
একই উচ্চতায় ভূমিহীন,
নির্লিপ্ত চোখ
রাত্রির বনমল্লিকা
সবই দেখছি ভাসছে শুধু রাত্রির বুনোহাস
কোন নদীর জলে করে যদি কে কার বসবাস-
বালুচর বাতিঘর শূন্যের উপর নরভর!
রাত্রি ফুরালো এদেখো সোনালী ভোর !
কতো আয়োজন কতো সম্ভাষণ-
পাচ্ছো কবি বাবু ! ওরা ভাবছে না রাত্রির ভজন-
দিবারাত হচ্ছে অঙ্গবঙ্গ নোনাটে কাবু
তাও হচ্ছে না দূর বুনোহাসের ভয়ের খাটু;
অতঃপর