নোটের আমি নোটের তুমি নোট দিয়ে যায় চেনা
থামা এবার পাঁচশো হাজার নোটবান্ডিল গোনা।
রাজমর্জি আবভি বাতিল কালো কালার্ড নোট
তাতেই নাকি শায়েস্তা সব জালমানুষি জোট।
ছুঁচের ছ্যাঁদা ভরতে গিয়ে চালুনি গলায় জল
ভোটতন্ত্র রাজতন্ত্র পুঁজিতন্ত্রের ছল। দুম ডিসিশন ব্যাংক বন্ধ, দুম ডিসিশন চালু
দেশপ্রেমে ভর্তি ওদের পা টু ব্রহ্মতালু।
কি খাবি

ছেঁড়াদ্বীপ কথা বলে কিছু কিছু ছেঁড়া ভাবনা নিয়ে ছেঁড়াদ্বীপে গিয়েছিলাম
ওখানে কেবল মৃতপ্রায় প্রবাল আর মনমরা কেয়া
মাঝেমাঝে সমুদ্র ছিঁড়ে ওড়ে আসে আমার মতো কিছু
মনবিলাসী মানুষ…
তারা কেবল রতিবিলাসে দৌড়ে আসে
তখন ওদের কোনো হুশ থাকে না হুশ! তবুও ছেঁড়াদ্বীপের উদার আকাশ আর মুক্তমনা বাতাস
পংগপালের মতো ছুটে আসা মানুষদের স্বাগত

স্বাধীনতা তুমি প্রতিটা বাঙ্গালীর গর্ব অহংকার,
শক্ত হাতে দিয়েছো রুখে শত্রুর অত্যাচার।
তোমার ছোঁয়ায় মুক্ত আকাশে ডানা মেলে পাখি ওড়ে,
হাঁসি খুশী আর ফুলে ফলে ভরা সারাটি বাংলা জুড়ে। মিশে আছো তুমি প্রতিটা বাঙ্গালীর রক্তে শিরায় শিরায়,
তোমার আকাশে প্রতিটা ভোরে নতুন সূর্যের উদয়।
পূর্ণিমা

ছোটবেলার পড়া– এক-এ চন্দ্র, দু’য়ে–পক্ষ ১। একে চন্দ্র—একটি চাঁদ, রাতের আকাশের চাঁদ।
সূর্যও একটি, সূর্যকে কেন দিয়েছে বাদ?
চাঁদ জ্ঞানময় তাই হয়েছে চাঁদ!
চাঁদ দেখায়ে মেটায় শিশুর মনের স্বাদ,
মা বলে আকাশে ঐ দেখা যায় চাঁদ। ২। দু’য়ে পক্ষ – কৃষ্ণপক্ষ, শুক্লপক্ষ, পক্ষ নিরপেক্ষ।
আমাবস্যা আর পূর্ণিমা,

কেও কথা রাখে না সূর্য সবসময়ই দিনের
আমি রাত
তোর আর আমার মাঝে ভীষণ ফারাক তবুও কাছে এসেছিলি
ভালো কি বেসেছিলি?
আকাশের সাথে সাগরের মিতালি শুধুই নীলে
সাগর কবে আকাশ ছুঁতে পেরেছিল রে?
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়েও আমি কি ছুঁতে পেরেছি তোকে?
বিচ্ছেদ কি বলে? সেদিন আমি কি বলেছিলাম

বডিগার্ড একদা এক বৃত্তশালী,
এদিকওদিক ঘুরতো খালি,
জীবনটারে করে কালি।
ছড়াইয়া সৌরভ,
দেখাইয়া গৌরব।
হাসি খুশি মুখে,
চলতো সুখে সুখে। সবারই মুখে সুনাম,
ছিল অতি দেহের দাম।
নিজেকে না চিনে,
জ্ঞান চক্ষু হীনে।
কাটাইছে রবহীন ঋতু্,
হইয়া শয়তানি ভিতু। পাশে রেখে রাইফেলধারী,
হইয়া পাপের ভাগিদারী।
হেদায়েতের পথ করিয়া অতি হার্ড!
দেখাইয়া আল্লাহকে ভয়!
দোজখ করিয়া জয়!
সঙ্গে লয়ে বডি

সবসে মিঠা চুপ কে জানছে কার গভীর অন্তঃস্থলে
কত দুঃখ লোকানো ?
বাইরে থেকে কতটুকু বোঝা যায় ? আমি এতগুলো মানুষের কষ্ট গিলে গিলে
আর তাদের “অযাচিত ভাবে” দেওয়া কষ্ট
সহ্য করে করে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ।
আর আমি স্বীকার করলাম এ আমার স্বভাবদোষ। সাধারণ নির্ঝঞ্ঝাট মানুষরা শুনে বলবে,
“ঘরের খেয়ে বনের মোষ

সারাজীবন খাবেন বসে
পাবেন আরাম ভারি-
যাচ্ছে পাড়ায় ফেরিওয়ালা
হাঁকিয়ে গলা তারই। কৌতুহলে ঘরের বউ আর
আবালবৃদ্ধ সবে-
প্রশ্ন করে- ক্যামনে গো রে