ফেলে আসা সময়ের লেখচিত্র উলটে পালটে দেখলে
বোঝা যায়, মূলত আমি বেঁচে থেকেছি এখানে ওখানে
কখনো এর উচ্ছিষ্ট হয়ে, কখনো ওর এঁটো হয়ে।
কখনো একটু আধটু জড়িয়ে থেকেছি গুল্মলতায়
কখনোবা স্বচ্ছ জলে ভেসে থেকেছি নিশ্চুপ

কবিতার জন্য অনাহারে কত, রাত্রি কাটিয়েছি,
কখনো কখনো ঝুকি নিয়ে গেছি, মৃত্যুর কাছাকাছি।
কবিতাকে বুকে আগলে রেখে, রয়েছি আজো বেঁচে,
কবিতা ছাড়া এই পৃথিবীর, কোথাও কি কিছু আছে? আকাশে কবিতা বাতাসে কবিতা, কবিতা বৃষ্টি ধারায়,
কবিতার সূরে ঝরনা ঝরে, নদীর বুকে

তোমাদের ফ্ল্যাটের ঝুল বারান্দার সারিবদ্ধ টবগুলোতে একদিন
বাহারি ফুল ছিল বেশুমার (নির্ঘাত অনেক সুঘ্রাণও ছিল); আমি
কোনওদিন যাইনি, নিচের সড়ক থেকে দাঁড়িয়ে দেখতাম, সেই
বহুতল ভবনে সেই বিশেষ ফ্ল্যাটের ঝুল বারান্দার টবগুলোতে
থরেথরে ফুটে আছে, রঙবেরঙের সুদৃশ্য সব ফুল। আমার বড্ড
ভালো লাগতো। কিন্তু আজ অনেকদিন পর আবার সেই

ছড়াক্কাগাঁথা : কাকটা ফাঁকটা বুঝে কাকটা নিয়ে মাংসের পিচ দোকান থেকে-
বসলো গিয়ে
পাশের বনে-
গাছের ডালে
তৃপ্ত মনে।
ব্যাপারখানা হঠাৎ করে শেয়াল মশায় ফেললো দেখে। লোভের লালা ঝরঝরাঝর ঝরতে থাকে শেয়ালটার-
ভাবনারা সব
ইতর ইতর-
জমতে থাকে
মাথার ভিতর।
মাংসটুকু না পেলে আর ঘুচবে নাকো এ’হাল তার। খানিক ভেবে নেবার

প্রার্থনা মাঝে মাঝে আমার দু’চোখ বিস্তারিত করে
একটা চিরআরাধ্য আলো আসে আমার ভুবন জুড়ে
আমার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লোকালয় তখন মহানন্দে ভাসে
সাথে সাথে আমি মাটিতে আধশোয়া হয়ে আনত হই
আমি যে আলোক ভালোবাসি, সেও আমায় ভালোবাসে!
এ সেই আলোক, যার শোভায় আলোকিত সবকিছু
তাঁর অনুগ্রহহীন কার সাধ্যি আছে, নেবে তাঁর পিছু? আমার

গুগল ‘প্লে সার্ভিস’ অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম মোবাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও একসময় অপরের কাছে থাকা একটা ওয়ান ব্যান্ডের রেডিওর পেছনে দৌড়াইতাম। দৌড়াইতাম এই কারণে যে, ছোট একটা যান্ত্রিক বাক্স থেকে কী করে গান-বাজনার আওয়াজ হচ্ছে? তা শোনবার জন্যই স্কুলে যাবার আগে-পরে

পহেলা বৈশাখের বৈকালে, আমি এনা ছাদোত উটিছুনু চম্পাকলিক দেকপা
উটে দ্যাকো কি! চম্পাকলি হামার আগেই ওরগে ছাদোত উটিছে
হলদি শারী গাওত দিয়ে দ্যারে আছে হামাকি দেকপা।
হামি অর মুখোত চায়ে আছি
উঁও হামার মুকোত চায়ে আছে
খানিক বাদে- ঝড় উটলো – বুজা পারিছিন? দেওয়া আন্দার

কবি যদি মরে যায়, অকালে ঝরে যায়,
ব্যস্ত এ ভুবনে, কে তাঁর খোঁজ নেয়?
তবুও এই কবি, তুলে ধরে সব দাবী,
রাষ্ট্র বা সমাজের, বঞ্চিত সকলের। যত সে জ্বালা সয়, তত হক কথা কয়,
মিথ্যা ঠিকই হারে, কলমেরই জয় হয়।
সত্যের সন্ধানে,

জীবনের পরেও জীবন আহা! মৃত্যুও কত রোমাঞ্চকর হতে পারে! রোমাঞ্চকর হতে পারে মৃত্যুর পরেও জীবন! কতটা সবুজ হতে পারে জমানো অভিমান!কতটা নীল হতে পারে শিরায় শিরায় বয়ে যাওয়া যন্ত্রনা! পাতায় পাতায় লিখে রেখে যাবো আমার না বলা যত কথা। আর শোনো- আমাকে

যখন মেঘ সরে যায়, উত্থিত শিশ্নের মত ধীরে ধীরে চাঁদেরকণারা ঘিরে ফেলে সমগ্র দৃশ্যপট। ফুল গাছের আড়াল থেকে সে হেঁটে আসে চাঁদ হয়ে, ওর শরীরে আলপনা এঁকে চলে কামনা শিশুর দল! আজ যে তার আসার কথা, যুবতী হৃদয়ে বিষম ব্যথা, ভালবাসা ছুঁয়ে যায়

ঋতুমতী বর্ষা ঋতুমতী বর্ষা সব ঋতুতেই ভিজে সপসপে
যেন আষাঢ় শরীরে লেগে
ডুবে যায় ভেসে যায় তার অনিন্দ্য দুখানি পা
কখনো নদীতে কখনো পুকুরে যেন ফোটা লাজুক পদ্ম
কৃষ্ণ ঠাকুরেরা শিউরে শিউরে উঠে
কেউ ডুকরে উঠে বলে, মাগো তুমি কি তবে সেই
বিরহী রাধা যে অঙ্গনে অঙ্গনে দাঁড়ায় একাকী
শ্যামেদের তরে মেলে

বিরহ তো অন্ধকার
আমার চোখেতে তাপ
ভালোবাসায় তোর চোখে কেন?
বাষ্প বাষ্প ভাপ চাঁদ জানে না চাঁদনি কেমন
আলো বিলিয়ে যায়
তুই ছাড়া আমি অমাবস্যা
মন অন্ধকারে ছায় জল জানে না জলের মর্ম
বয়ে চলা সারাক্ষণ
‘তুই’ নদীতে আমার ভেসে চলা
তোতেই আমার মন শূন্য চোখ তাকিয়ে থাকে
শূন্যতার দিকে চেয়ে
তোকে ছাড়া

(১)
দুই অক্ষরে দুনিয়া!
ব্যস্ত হলাম যেন,
একথা শুনিয়া।
একটু আমার মাথা ব্যাথা,
আমার কাছে এ আজব কথা!
মনে হইতেছে কেন?
ডানে দুই অক্ষর!
বামে দুই অক্ষর!
সামনে দুই অক্ষর!
পেছনে দুই অক্ষর!
আর মধ্যি খানে মোর,
শ্বাস রুদ্ধ কবর! (২)
এক হিন্দি বাবু,
নামে