এমনি পথে চলতে চলতে
হয়তো দেখা হবে,
দুটি কন্ঠ নীরব থেকে
চোখে চোখে কথা কবে। মুহূর্তে এক যুগের স্মৃতি
সামনে এসে গেলে,
দুটি মনেই প্রশ্ন জাগবে
কতটা শান্তি পেলে? এখন অনেক শাসন বারণ
সমাজ সামাজিকতা,
চির চেনা মুখ নতুন রুপে
বাড়াবে

ধূসর রঙের দিন সে দিনটি ছিল ধূসর রঙের, যূথিকা!
সূর্য তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে রেখেছিল,
যখন তোমাকে আমি বললাম,বিদায়–যূথিকা! বৃত্তের পরে বৃত্ত বসিয়ে প্রথম আলোই ভোরের পানপাত্রে যেই তুমি বিদায় চুমু দিয়েছিলে আমায়,
সেই থেকে বিবর্ণ ছায়া তাড়া করে অন্তরীক্ষে! জানো যূথিকা,
একটি ঘটনা শুধু মাত্র একটি সম্ভাবনা;
নচেৎ ডাহা

অনিমেষকে প্রায় প্রতিমাসেই একবার সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। সুপর্নার কাছে ব্যাপারটা অজানা। কাল যখন সুপর্নার সাথে ফেসবুকে চ্যাট করছিলো তখন সে নিজের মধ্যে ছিলো না। অনিমেষ এর টেক্সট দেখে সুপর্নাও বুঝতে পারে না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্লায়েন্ট এর

সঙ্গী হলেই যে সবসময়
সঙ্গতেই বাজতে হবে
এমনটা ভেবে নেওয়া সঙ্গত নয়।
সঙ্গীটির গাল টপকে সর্বদা সঙ্গীতই টপকাবে,
এমনটা ভেবে নেওয়াও যুক্তিযুক্ত নয়। সময় আমাদের এ সবই শিখিয়েছে–
জানি,
তবু প্রজ্বলন্ত নিদাঘের ধুলোওড়া শুনশান প্রান্তরে
প্রাণভয়ে ছুটে আসা তাড়াখাওয়া
জীবের আদলে
বেবাক মর্যাদা ভুলে
যদি শুন্য হাত পেতে ফেলি
মনে মনে বন্ধু ভেবে নিয়ে— খুবই কি বিরক্ত

হুসেইন জালালী নিজেও জানতেননা, কেন তিনি এঘর-ওঘর পায়াচারি করছিলেন! একটু পর তার মনে হল, গত দুই দুইটা শুক্রবার মুরগীর ফেরিওয়ালা আসেনি এবং অবিশ্বাস্য হলেও সেটাই সম্ভাব্য কারণ। এই ফেরিওয়ালা নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আসে। দুজনে ফেরি

বৈরাগ্য বিলাপ সুরা সাগরে অধরা প্রেম তলিয়ে গেছে অনন্ত স্রোতে
অবিমৃষ্য আবেগে আনাড়ি সন্তরণ, ক্লান্ত অনৃত অভিসারে
দূরে বহুদূরে ভেসে গেছে প্রমত্ত কবিতার সুবর্ণ সংলাপ
হৃদয়ের গহ্বরে অবরুদ্ধ চেতনা করছে বৈরাগ্য বিলাপ।
আদিগন্ত দৃষ্টি খুঁজে তন্ন তন্ন করে সঞ্জীবক সত্যের আশ্রয়
আপন ঘরে সতীত্ব খুইয়েছে

ক্যাফেতে এলেই নেশা ধরে
গড়িয়ে যাচ্ছে একটা নিরুত্তাপ দুপুর
ঠোঁটের পাশে লেগে থাকে রোদ
মায়ার স্পর্শে ছুঁয়ে দিলে
বেড়ে যায় দিন-যাপনের ঋণ মৃত পাথরের ন্যায় শবগুলো সব
কতো সিলমোহর মানুষের বুকের ভেতর
একটা শিরশিরানি প্রেম
কৈশোরের আদ্রর্তা পেরিয়ে যাচ্ছে অসহ্য বিরহ।

সময় রাত ১০টা, ২৫শে জানুয়ারি, সাল ২০১৪ইং।
শ্যামলী পরিবহনের রাত ১১টা ৩০ মিনিটের বাসের টিকেট কাটা আছে, গন্তব্য খাগড়াছড়ি। এবারের ভ্রমণে সদস্য সংখ্যা ৯ জন।
দস্যু পরিবারের ৩ জন : আমি (সারোয়ার সোহেন), মিসেস সোহেন, আর আমাদের মেয়ে সাইয়ারা সোহেন।
ইস্রাফীল এবং ওর ওয়াইফ।

একদা যখন রাস্তায় হাঁটতাম
তখন নিচু জমি থেকে রাস্তাগুলোকে পাহাড়ের সমান উঁচু মনে হত
মায়ের হাত ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে
দৌড়ে মায়ের বুকে ফিরতাম!
ছোট ছোট পথের দূরত্বও মনে হত ক্রোশ ক্রোশ দূর বুঝি
বাবার আঙ্গুল ধরে ধরে হাঁটার সেই দুরুত্বগুলো
পায়ে ব্যথার কারণ হত, হাপিয়ে উঠতাম
কিন্তু কখনই মনে হত

শীতকালে মানুষ সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় ভোগে তা হল খুশকি। ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই ত্বকের ও চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এটা সাধারণ এক সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং

এক সময় আমার জীবনে কাকতালীয় ঘটনা ঘটলো। অনেক রাতে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য ঢাকা কিন্তু ঐ সময় সেখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। সবাই বলছিল ভোরে যেতে কিন্তু ভোরে আসলে সকাল ৯টায় অফিসে ঢুকতে পারবো না তাই রাতেই বের

চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলে, কেউ কি আমায় ডাকবে?
হাজার বছর পেরিয়ে গেলে, কেউ কি মনে রাখবে?
আসল ঘরের অন্ধকারে, থাকবো যখন একাকী,
ইচ্ছে হলেই এমনি করে, পাবো তোমার দেখা কি? হয়তো কোন ভূমি ধ্বসে, ভাঙবে সে শেষ ঠিকানা,
হাজার বছর পেরিয়ে গেলে,

সুবেহ সাদিক যখন কিছু পাপ, লাফ দিয়ে আমার শরীর ছেড়ে যায়
তখন নগ্ন আকাশে একটি জলজ্যান্ত চাঁদ উঠে
কিছুকিছু নক্ষত্র সে চাঁদের দিকে নিষ্পত্তির চোখে তাকায়
আমি তখনও সর্বৈব নিষ্পৃহ!! অথচ প্রতিদিন সুবেহ সাদিক আমায় ডেকে ডেকে
ক্লান্ত হয়ে ফিরে যায়
পাপের ভারে আমি সহজে শীতনিদ্রার মায়া কাটাতে
পারিনা
আগন্তুক সময় আমাকে নিয়ে