মনে ছিল কষ্ট জমা
ভালোবাসা দেহে,
বুঝেও আমি বুঝিনি গো
আবেগী সেই মোহে। বাহির জুড়ে দারুণ প্রীতি
ভেতর ভরা ক্ষত,
উজাড় করে দিয়েছিলে
ধৈর্য ছিল যত। নিঃস্ব হয়ে সপেছিলে
পৃথিবীর সব সুখ,
ঘুনাক্ষরেও বুঝতে দাওনি
কষ্টে ভরা বুক। আজকে যখন নিঃসঙ্গতায়
সময় করছি পার,
তোমার মহত্ত্বতার কাছে
মানতে হচ্ছে হার। তোমার

প্রেম স্বচ্ছ জলে এলোমেলো চুল
পাশ কেটে যাওয়া
স্বার্থপর লোভী মাছ
স্নিগ্ধ আবেগের উথালপাথাল পাঁক
ছেলেটি
চুনোপুঁটি খুঁজছে
হাঙরের আলজিহ্বা বরাবর এক বালতি সফল সুস্থতায় নিমজ্জিত
নিউরন, চোখের কালো অংশ
কাঁপা ঠোঁট—
মন্দ বায়ুর চলাফেরা
শান্ত টোপে জলের ঝিকিমিকি বড় মাছের অট্টহাস্য, মোলায়েম লুকোচুরি খেলা—\ হাতের কামড়ে পায়ের নিছক স্বাধীনতা দান
গেরুয়া আদরের প্রলেপে স্পর্শহীন “আলগা”শিহরন
“ফিলিংস” র কালো নিঝুম

নৌকা যাত্রী চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরু, কড়া রৌদ্রে আর সেদিনের গরমে গলা শুকিয়ে একেবারে দুরুদুরু। এমন সময় ডাক এলো, বড়ডিয়ায় ভ্রমন। নৌকায় ভ্রমন, সবাই আনন্দে মেতে উঠলো, তবে কেউ কেউ দ্বিধা করছিল, পরবর্তীতে তারাও রাজি। কথা পাকা পাকি হয়ে গেল বৈকাল তিনটায় পাড়ি

মৃত্যু তোমার কাছে সহজ স্বীকারোক্তি আমার,
একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে পৃথিবীতে এসেছি আমি,
এটুকু সময় অন্তত আমাকে নির্বিঘ্নে বাঁচতে দাও,
ঈশ্বরের পাখির মতো আমার নির্ভেজাল নীড় খুঁজতে দাও। আমার বেঁচে থাকা মুহূর্ত গুলোকে অন্তত ছিন্নভিন্ন করো না,
পিতৃপুরুষের সম্ভ্রান্ত অতীত থেকে —-
দু’ফোটা স্বপ্ন এনে আমার রক্তশূন্য চোখে

সবাই সব কথা বলে না
আমিও সবাইকে সব কথা বলতে পারি না
সবার সব কথা আমি বুঝতে পারি না
আমিও সবাইকে সব কথা বোঝাতে পারি না।
সবাই অনেকটা আমার মত কথা বলে
আমিও অনেকটা সবার মত কথা বলি। তবু সবাই সবার কাছে
অচেনা আলাদা আলাদা এক একটা মানুষ।
পরিচিতি যেন প্রেমে

ফিরে এসো অনির্বাণ তোমাকে ভুলে থাকবার এক প্রশস্ত ওয়াদামগ্ন আমি;
খুলে বসে আছি তোমার লেখা খেরোখাতা।
তোমাকে আর কোন দিন মনে করবোনা ভাবতে ভাবতে;
আলোকচিত্রে চোখ রেখে রেখে রাত্রি কেটে ভোর। তোমাকে আর একবারো পেছন ফিরে ডাক দেব না জেনেও;
কী ভীষন রকম উলঙ্গ মানবীর আহবান।
জানি

কিছুদিন আগেই একটা বাংলা, অংক মিশিয়ে বেংলিশে লেখা দেখে, তা উদ্ধার করতে হিমসিম খেতে হয়েছিল। আজ সেই ভাষা নিয়েই কিছু কথা। ফেসবুকে ছাড়াও নানা মেসেজে প্রায়ই দেখা যায় অনেকে সংক্ষিপ্ত ভাষায় লিখছেন। যেমন আজকাল অনেকে GREAT কে GR8 লেখেন কিংবা NICE

ক
তখন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ সদ্য জন্ম নিল। বাঙালি হিন্দুর ঠোঁট ওলটানো ভুরু কোঁচকানো অংশটা তার রিলিজিয়াস অপোজিটকে মনে মনে ভয়-রাগ-সন্দেহ-ঠাট্টা দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে এমন কিনারাশায়ী করে ফেলেছে, চোখের সামনে তাদের টুপটুপ করে ঝরে পড়তে যে দেখছি না, সে শুধু পৃথিবীটা গোল বলেই। এমন একদিন অফিস-ফেরতা হানা

ক্যানভাসার = দর্শক অনেক খেল দেখিয়েছ তুমি একাই
ক্যানভাসারের মতো একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছো পুরো হাট ফলাফল
তুমি হাটবাজার = জিরো ক্যানভাসার খেলা = একাই একশো আর বাকি যারা আছে তারা বোবা – দর্শক
শুধু হাততালি দেয়াই তাদের সার।

আজকাল লিখতে গেলেই
অন্তরের ডাক শুনতে পাই-
‘ঠিকভাবে নিয়ম মেনে লিখছো তো?’
ঠিক বেঠিকের গোলকধাঁধায় অস্থির এ কোন সময়!
কেনো এমন কেউ কি বলবে আমায়? সুবচন নির্বাসনে
নিয়মনীতি বিসর্জনে
প্রয়োজনে আমাকেও নির্বাসনে নেও!
তারপরও লিখতে দাও, বলতে দাও, শৃংখলিত অক্ষরকে মুক্তি দাও এখন লিখতে গেলেই স্বপ্নগুলো কালো মেঘ হয়ে

অবহেলিত, একতরফা কিছু কিছু ভালোবাসা একপেশে
কিছু কিছু খুব বেশী একতরফা,
সে বাবা মার ভালোবাসাই হোক কিংবা সন্তানের
কিংবা ভাই বোন আত্মীয় পরিজনের
আর নয়তো প্রেমিক প্রেমিকার
কিংবা স্বামী স্ত্রীর; একই বাবা মায়ের সন্তানদের মধ্যে কেও থাকে দুধে ভাতে
কেও বাবা মায়ের সাথে ডাল ভাতে এক থালে এক পাতে
একজন থাকে চরম অবহেলিত

শোকপ্রান্তগুলো অনেক কান্নাই এখন আর আমাদের অপরাধী করে না !
অনেক বুকের উত্তাপকে বরফ মনে করে, আমরা এগোই
কফিনের দিকে। আহা! শাদা কাপড়, আহা! মুখাগ্নি!
বিদায়ের বৈশ্য শিকল হাতে পায়ে প’রে নিতে নিতে
আমরা ভুলে যাই আমাদের মানবিক পরিচয়। বাঁশের টুকরিতে ঘাসগুচ্ছ মাথায় তুলে যে রোজশ্রমিক
বাজারে বিক্রি করতে যায়,
আমি

কৃষ্ণচূড়া ভোর একটা রঙবিরল ঘাসফড়িং এর নিত্যদিনের কথা
হোক না -আঁধার রাতে জোনাক জ্বালা আসা যাওয়া –
আলোকিত পথের মাঝে মধুসিক্ত যতসব ভাবনা; শুধু আগামীর প্রণয় হাওয়া উড়বে না কালোকেশী
সোনালী ভোর বৃষ্টিস্নোত একমুঠো হাতে- ঝরে যায়
কৃষ্ণচূড়াতে- তবুও হতে চাই এক কবিতার শঙ্খচিল- জানি না কতটুকু অাস্থা

কয়েক দিন হলো মেরাজ মামা বাড়ি বেড়াতে এসেছে। ক্লাস এইট থেকে নাইনে উঠেছে এমন দিনে স্কুল বন্ধ হলে মামা বাড়ি হলো আসল ছুটি কাটাবার জায়গা, সারা দিন আড্ডা আর টো টো করে ঘুরে বেড়ালে কেউ নিষেধ করে না। এ ডাল থেকে ঘুঘুর ছানা নিয়ে