জুনায়েদদের বাড়ির পাশেই ছিল পুরানো একটি পুকুর। পুকুর পাড়েই ছিল বিশাল একটি বড় বট গাছ। বট গাছটির ডালপালা এতই বিশাল ছিল যে সবগুলো ডালপালাই পুকুরে গিয়ে পড়েছে। বট গাছের ডালপালার কারণে সূর্যের আলো কমই পড়ত
কথারা কথা থাকে
—————
(পূর্ণেন্দু পত্রীর প্রতি শ্রদ্ধায়)
————————
কথা ছিলো শেষবার
চিত্রনাট্যে ফিনিশিং টাচ
নকশিকাঁথায় বুনো ফুল,
কথা ছিলো কথোপকথনে
জুড়বে অন্তিম সন্ধ্যারাগ।
তুমি তো বসেছিলে
এতটুকু অস্থির না হয়েই
মহাসমুদ্রের অনন্ত আসনে
সেই টেলিফোনের অপেক্ষায়।
কথা ছিলো ভিজে তুলি
অবিনশ্বর ঘ্রাণে একে একে
জন্ম দেবে রোমাঞ্চকর
অপার্থিব রোমান্স সাদা ক্যানভাসে।
কেন যে অপেক্ষায় অপেক্ষায়
পাথর হয়ে যেতে হয়!
কেন যে চিত্রনাট্য
প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
দুয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যু
ঘৃণার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে মাংসকষা চাহিদা
রুচির হাটের কসম!
জরায়ু ছিঁড়ে যে বৃষ্টি নামে তার নাম দিয়েছি
সৃষ্টিশীল মা
তীব্র বেদনায় ঝরে গেছে কামনার ফুল
আমার দ্বিধাহীন ভালো লাগার রমণী
জীবনদাবি নিয়ে আজ যে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে
তাকে কি বলে বিদায় দেবে তুমি?
দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে