এই সবুজ!
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ঋতু দাঁড়িয়ে আছে। একটু অবাক হলাম! এ মুহূর্তে ঋতুর এখানে আসার কথা না। কিন্তু কেন আসলো? আমিতো একা থাকতে চেয়েছিলাম। আমিতো তার কাছ থেকে দূরে চলে আসছি। আমি বললাম, কি?
ঋতু
নাভি
এই নাভি থেকেই কতকিছু উৎপন্ন হলো
নারীর কৌমার্য, সুগন্ধি মৃগনাভি
মৃদুজল গড়িয়ে সৃষ্টি হলো ইতিহাস।
পুরুষের অচ্ছুত চোখ যেখানে এসে পবিত্র হলো
যেখানে এসে মিলিত হলো ঢেউ খেলানো নদী
অস্থির চোখ যেথায় স্থির হলো – যার নাম দেয়া যেতো আগুনমুখ
কিংবা পবিত্র পাহাড়, ফাগুনে পুড়ে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া।
না, আমরা কোন নতুন
মায়াং,
তোমাদের তীব্র দুঃখের কথা পড়ছি পত্র-পত্রিকায়
দেখেছি কারও পা নেই, কারও হাত নেই,
হাত-পা বিহীন প্রাণগুলো দেখতে বড্ড মুমূর্ষু দেখায়, বড্ড বীভৎস দেখায় !
কারও কারও আবার গোটা দেহটা আছে কেবল প্রাণটাই নেই।
আমি আজকাল প্রাণহীন পত্র-পত্রিকা কেনা বন্ধ করে দিয়েছি,
টেলিভিশনের এন্টেনাটা আছাড় দিয়ে
প্রশ্ন
তোমার দশহাজারি, আর আমার আছে শুধু ফাঁকাদুয়ারী
এমত অবস্থায় বলে দাও কি করে তোমার সাথে পারি ?
যখন ছিলাম সহজ, তখন ভেবেছ জটিল
এখন কিসের কারণে, খুঁজে যাও অন্তমিল ?
এ ওকে দোষী করে, সে তাকে দোষী
ভুলে যায় নিজে কি, সম্পূর্ণ নির্দোষী ?
সব ঘাটে ছিপ মারি কোনো ঘাটে
এক্স_ক্যাডেট ফারহানা আপুকে দেখার জন্য ছেলেপক্ষ এলো বাড়িতে। ছেলের ভাই বোন ভাবি দাদা এসেছিল, সাথে ছেলেও ছিল। ফারহানা আপুকে দেখে তাদের পছন্দ হলো। গতানুগতিক ভাবে ওকে প্রশ্নও করা হলো তোমার নাম কি, কয় ভাই বোন, তুমি কত তম, পড়াশোনা কতটুকু করেছ,নামাজ পড়ো কিনা, কালেমা
বিবর্তিত মানুষ
মেয়ে, তুমি যতই গালমন্দ করো কিংবা
অভিশাপ দাও না ক্যানো, মনে রেখো
পৃথিবী আগেও যেমন ছিলো আজও ঠিক তেমনি আছে
শুধু বদলে গ্যাছে মানুষ, নীতি, কর্ম; সে পুরুষই বলো কিংবা নারীই বলো।
সভ্যতায় ফিরে আসতে একদিন লজ্জাকে গোপন করা হয়েছিল
আজ সভ্যতাকে আধুনিক করতে গিয়ে লজ্জাকে বাজারে তোলা
মানুষ ভাব
ওহে পশুর রাণী বুচি সুচি
মানুষ কে মানুষ ভাবো-
তোমার মতো পশু নয় !
তুমি যেমন চারবেলা খাদ্য খাও-
রাখাইন রোহিঙ্গা কে মানুষ
ভেবে সমস্ত অধিকার দাও।
নইলে তোমার রক্ষা নাই-
বিশ্ববাসী মুগলি হয়েছে তাই;
তুমি বিবেক ধর্মের কাছে দায়?
শুধু রোহিঙ্গা কে মানুষ ভাবো
রাজ্যের বুকে শান্তি যাক লুটাই!
মরে গেলে হবে মৃত্তিকা
মায়ের আগমনী
দীর্ঘদিন তপস্যায় সিদ্ধিলাভের পর
মাতা আসেন ভক্তদের সমাগমে।
পরণে লালপাড় শাড়ি, পায়ে আলতা,
মাথায়, কপালে সিন্দুরের পবিত্র টিকা।
মা মা গো, ভক্ত রমণীরা পায়ে পড়েন
মা মোক্ষলাভের উপায় বলে দাও
মা হাসেন, অতি পবিত্র শুচিস্মিত হাসি।
তিনি বলেন, সাম্যবাদ পড় নি ?
সবাইকে সমানভাবে দেখতে হয়
এই হল প্রকৃত হিন্দুনারীর কর্তব্য।
যে চোখে
অত:পর আমার সমস্ত দরবেশি মাটি হলো। হিমালয় নাম চুলোয় গেলো। ওরা কেউ থামলো না। না আশ্বিনা ঝড়। না বর পক্ষের আগমন। আর না কনে পক্ষের জোয়ার জল। তুমুল বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া যেনো লাঠালাঠির উষ্ণতা আরো বহুরুপী মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে। বাতাসের সাঁ সাঁ শব্দ
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৪২ বার দেখা
| ৩৫৮ শব্দ
বারো ঘন্টা প্লাস
(তৃতীয় পর্ব)
— এই, না না। আমাকে একটু দিদির ফ্ল্যাটে যেতে হবে। বেরবো বলেই শাড়ি বের করছিলাম, ফোন ধরতে এলাম এ-ঘরে। নেক্সট উইকে একটা ডেট করো। আহ, আবার কলিং বেল বাজছে। এখন বেরনোর সময় কে মরতে এল! একটু রাখো, আমি ব্যাক করছি।
— দরজা
গল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫১ বার দেখা
| ৫২৪ শব্দ
তিন লাইনের কয়েকটি অণুগল্প
__________________________
★
আমি আর তুমি এক হলাম।
সে এলো।
অনেকগুলি বছর পার করে যাবার বেলায় আমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেলো।
#তিনলাইনের_অণুগল্প_আমি_তুমি_সে
★
সে সম্পুর্ণ নগ্ন হয়ে এলো আমার সামনে।
আমি তাকে প্রেমের চাদর পরিয়ে দিলাম।
ভালবাসা পুড়ে পুড়ে প্রেম হতে শরীর লাগে না কারোর।।
#তিনলাইনের_অণুগল্প_অভিসার
★
বাঁশঝাড়ের আড়াল থেকে যখন হেসে উঠল চাঁদ
মেঘের চিঠি
মেঘের জন্য রেখেছি মৌমাছিদের
গ্রামে বোনা গ্রামীণ মধু।
যত্ন করে রেখেছি পাতার বাটিতে,
রোজ যখন একা থাকি বনবিবির কাছে
মৌমাছিরা আসে বনের গন্ধ নিয়ে
গল্প শোনায় বন পরাগের ,
আর দখিন রায়ের।
এই পাতাছাওয়া ঘরটিতে আলো আসে
নানান আকারে, কোথাও তেকোনা হয়ে
কোথাও চৌকো, আবার কোথাও বৃত্তাকারে।
আমি একাই বসে দেখি সেই আলোর