দায়মুক্তি দিলাম
উড়ে যা পরিযায়ী, নাইবা পেলাম ফিরে
দূর অতীতের ধানসিঁড়ি,
আলের পথে ওম মাখা ঘাসফুলের যৌবন;
যে বুকে তীক্ষ্ণ ঠোঁট ঠুকে ঠুকে
অজস্র কবুতর করেছে শস্য আহরণ-
ধরে নিলাম অসংখ্য রক্ত কণার মত
সঞ্চয়েতে ঠায় নিয়েছে একটি ধ্রুপদী চুম্বন!
দৈর্ঘ্য – প্রস্থ অতঃপর দীর্ঘশ্বাস
দৈর্ঘ্য বাড়ছে ক্রমশ
নিঃসঙ্গ পতঙ্গের জীবন, তবুও
সম্পর্কের গহিনে ছায়া ফেলে সাজাতে চেয়েছিলাম
মায়াময় এক সংসার।
পতঙ্গের জীবন তো!
সিংহাসন ত্যাগ করতে বড় ভয় হয়
সূত্রের ভেতর বড় হতে হতে হারামি হয়ে যাই
ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে কু’মেরুর পথে হাটি।
অংকের ভুলগুলো ভাগাভাগি করে দেয়ার পর
অ্যাবাকাসের কাছে জটিল জিজ্ঞাসা
কেন এমন হয়
কেন এমন হয় বুঝি না কখনো
রাত কাটে তো হয় না সকাল
পথচলি রাতদিন, পাই না সীমান্ত;
হৃদয়ে পোষা আশ্বাস বিশ্বাস
সবই যেন পরিশেষে ভ্রান্ত।
বৃক্ষসবে প্রসবিত তার ঐ পল্লব
ছায়া দেবে ফল দেবে ভাবি
চির সংকল্পবদ্ধ, সতত নিশ্চিন্ত;
শুষ্কতার নিষ্পেষণে নিশ্চিহ্ন
কেন যে এমন হয়, নির্লিপ্ত।
অন্তরে যে পাখি বেঁধেছিল বাসা
কত
নিসর্গ
রোদের পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছি এত অবুঝ রোদ
আর যে ভোরের আমি সাধারণ সম্পাদক
সেই ভোর — যে কোনও ডাককে যে পাখি ব’লে বিশ্বাস করায়
সবে নির্মেঘ থেকে নেমে এসেছে সেলোফেন কাগজে মোড়া
আর মহল্লায় মহল্লায় বেঁটে দেওয়া হচ্ছে তাকে — জাগো জারুলফুল, জাগো রে ছোট বেড়াল
গাঢ় লিকারের
আধুনিক গান :: এ জীবন শূন্য রেখে
এ জীবন শূন্য রেখে, চলে যদি যেতেই হবে
মরণছবি বুকে নিয়ে, কেন তুমি কাঁদবে তবে।।
১। লিখে রেখেছি জলের রূপকে পৃথিবীর আদি নাম
এবং এঁকেছি ঘন সবুজে জীবনের পরিণাম
তুমিও তো জানো,
এপিটাফে শুধু পাতাগুলো পড়ে র’বে।।
২। কেউ জানবে না আমাদের দিকে