দার্শনিক
একটা লাল বোতাম খুলে গেলে
যুগলবন্দী পকেট ভয় পায়
কৃষ্ণ দর্শনের মতো করে চেয়ে থাকে
কীর্তন শেষে কৌশলে যদি ফেলে দিই
অথচ রাত্রি কথন শেষে জেগে ওঠে জামা
একটা রাত – যেন নিঃসঙ্গ ময়ূরের পেখম
আমাদের রাধা দর্শন শেষ হলে আমরা
প্রত্যেকেই দার্শনিক হয়ে উঠি
একসময় পৃথিবীটা একটা শব হয়ে ওঠে
ভেতরে কান্না
নির্বাসিত
বোদ্ধা কবি
আমি আবারও কবি হবো নির্বাসিত সীমান্ত জল
মানুষের নয়, পশু-পাখির রক্তেই যে করে টলমল!
একা একাই সাঁতার কেটে উত্তীর্ণ হবো মৃত্যুদ্বীপ
ওখানে পুঁতে আসবো একটি বীর্যহীন কবিতার দীপ!
ওখানে শব্দের মতো কিছু একটা পড়ে আছে আর্তনাদ
ওখানে বড়ো কম মূল্যে কেনা যায়, হন্তারক মাইনের নিনাদ!
ওখানে পিশাচ বাতাসের ওজন
চাতকী
না গো বউমনি, চিঠি পড়লে তোমার শোকদুঃখ পাবে
জানলা দিয়ে পুরনো বাড়ি দেখলেই
“এটা বুঝি বিদ্যাসাগরের?” যে জিগেস করতো
সেই গবেষণাসাগর হঠাৎ হঠাৎ লিখে
দশপাতা অ্যারোডাইনামিক্স আমাকে বোঝায়!
বাথরুম ইউজ করতে জানতো না, মনে আছে?
ন’দিনের ছোট বলে কান ধরতে আমার অধিকার
কিন্তু রোজ সকালে সেই বোকা পণ্ডিতের কাছেই
অংক জল, রসায়ন