স্বর্গীয় আরণ্যক-৫
আরণ্যক বই ছেড়ে খেলতে গেলি
দেখ তোকে কেউ খেলতে নেবে না
চুপ করে পড়ার টেবিলে বসে পড়
দেখ চিন্তারা তোকে বসে থাকতে দেবে না
তোর বুক ঘেমে গেছে, হাঁটুর সাথে কথা বলিস
তোর এত কথা কেউ শুনবে না
পাখিদের মত উড়িস তোকে কেউ
দেখতে পাবে না
তুই ইশ্বর সৃষ্ট দেবতা তুল্য
মামুনের তিতা কথা
আমাদের মানার অভ্যাস কবে হবে?
এক
একজন প্রয়াত মন্ত্রীর প্রকাশ্যে ধুমপান করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং নিউজ মিডিয়াগুলোতে বেশ আলোড়ন চলল কিছুদিন। এরপর সাংবাদিকদের সম্পর্কে ওনার মন্তব্য নিয়েও অনেক লেখালিখি হল। আমার আজকের প্রসঙ্গ ওনাকে নিয়ে নয়। তবে ধুমপানের ব্যাপারটা তার ক্ষেত্রে এতো
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৫৮ বার দেখা
| ৪১৫ শব্দ
কুরবানি/০২
আমিও একজন অদ্ভুত টাইপের মানুষ। কিছুটা হিমালয় হিমালয় গন্ধ করে। তবে আমি হিমালয়ের মতো বরফের পাঞ্জাবি পড়ি না। লুঙ্গি পড়তে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। রাত-বিরাতে ঘুরে বেড়ানোও আমার পছন্দের তালিকায় নেই। বড় জোর জামতলা থেকে তিনকোণা পুকুরপাড়। তাও আবার বিষন্ন বিকেলবেলা। এখন বাইরে বের
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮২ বার দেখা
| ৩২০ শব্দ
বহু দিন আড্ডা দিইনি এমন জমজমাট। যদিও আড্ডার স্থান ছিল টিএসসি, শেষ মুহুর্তে আমরা সবাই টিএসসি থেকে চলে যাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ঘাসের উপর বসেছি বহুদিন হয়ে গেল। সেই কবেকার পরে আবার আমরা গতকাল বসলাম ঘাসের ডগায়। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার পথে পথে কতদিক দিক
আজ কতদিন হলো!
তোমার একটি চিঠিও পেলাম না,
হয়তো বলবে, এই মোবাইলের যুগে
কেউ কখনও চিঠি লেখে?
কিন্তু আমার যে এখনও
তোমার চিঠি পড়তে খুব ভালো লাগে।
কতদিন হলো!
তোমার কোনো খবর জানি না,
বিছানার একপাশে অলসের মতো
সারাদিন শুয়ে থাকে
কত পরিচিত মোবাইলটা!
তবুও তোমাকে একদিনও
ফোন করতে ইচ্ছে করে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮০৭ বার দেখা
| ১০৭ শব্দ ১টি ছবি
কথা
কথায় কথার পাহাড় চড়ি
কথায় পাড়ি নদী
কথার সুরে কথারা সব
গায় যে নিরবধি
গানের ভাষায় প্রাণের ভাষায়
কথার হাঁটাহাঁটি
চরের লাগি হয় যে জড়ো
কথার পলিমাটি
কথার আকাশ গভীর নীলে
কথায় থাকে ছেয়ে
সবুজ বনের হরিণগুলো
কথায় থাকে চেয়ে
দূর সাগরে কথার পানি
ছাড়ে কথার ঢেউ
নোনাজলের কষ্ট কথা
বলছে তারে কেউ
পাখির মত কিচিরমিচির
হয় যে কথা যত
কথার বনে
হেকিমনি
কুম্ভকর্ণ ঘুমাচ্ছিল নাকে দিয়ে তৈল
সবাই বলে ও বাবা গো এ কি ভীষণ হইল
দিনের পর দিন কেটে যায় মাসের পর মাস
কুম্ভ তবু নড়ে না গো একই সব্বনাশ !
পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ও পাড়ার হেকিম চাচা
রাবণ এসে বলল তারে, “চাচা আমায় বাঁচা।
ভাইটা বুঝি তুলবে পটল নিঃশ্বাসও বয়
আমি তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। তখন আমাদের ক্লাসে ছিল এক দুষ্টু ছেলে। তার নাম মনির হোসেন মিন্টু। সে সব সময় স্যারদের ক্লাসে পড়া জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা জবাব দিত। অবশ্য তার জবাবে যুক্তি থাকে। একদিন ক্লাসে বিজ্ঞান
ফণা
যেদিন সোনেলার মতো সোনালি গল্প আমার হাত ছুঁয়েছে
সেদিন থেকে কবিতাও কোনো এক মন্বন্তরে ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে
যে নিয়েছে মেঠো পথ আপন করে
সে কি আর কাদামাটি, জলে ডরে?
তবুও এতোদিন পরে স্বস্তিকা এসেছে ফিরে
যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতেছিলো অযুত মানুষের ভিড়ে!
যে মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে, ঘুম ভাঙলেই সব
দুপুর ও দীনতা
পাতাগুলো ফুটে আছে, ফুটবে ফুলও
ভালোবাসায় তুমি মোচন করে দেবে আমার ভুলও
অথচ আমি সারাজীবন সাধনা করেছি ভুল সমুদ্রের গান-
তবে কি ঢেঊগুলো ছিল, আমার চেয়ে আরও পাষাণ!
তবে কি এই ভবের ইন্দ্রজালে
মেঘ প্রেমিকা হয়ে সূর্যকে, ঢেকেছিল আরাধ্য সকালে
আর তুমি ছিলে তার সহযাত্রী – সখি
আমিতো তোমার
মাটির এ পুতুলে
এসেই নাকি কেঁদেছিলাম
যদিও দেখেছি মার হাস্য বদন প্রথমে;
যখন তবে বুঝতে শিখলাম
একি নিঠুর কার্যকলাপ এই জন্মভূমে।
যে মাটিতে এ মানুষ গড়া
যে মাটি করছে সবারই ভরণ পোষণ;
তবু আমাদের কত অশ্রুঝরা
মাটির গায়েই করি কালিমা লেপন।
চলে হেথা বিশ্রী কারবার
চলে হিংসা ক্রোধ নিধন অধীন খেলা;
গড়ে কেউ সম্পদ পাহাড়
পায়
শব্দ সন্ন্যাস
একদিন সব শেষ হয়ে যায়
সম্পর্ক শব্দের, কবিতার।
সেই শব্দগাছ আর নেই
যেখান থেকে টুপটাপ
ঝরে পড়তো শব্দেরা
মনের অলিন্দে।
সেখানে এখন শুধু নীরবতার নদী
বয়ে চলেছে পলিময় মন্থর গতিপথে।
মাঝে মাঝে ভয়ংকর দাবানল
শুকনো গাছগুলোকে জ্বালিয়ে
নিজের আত্মাকে সতেজ করে নিচ্ছে।
দীর্ঘশ্বাস ক্রমশ বড় হয়
নীলরঙা কষ্টগুলো জাগিয়ে
রাখে, রাতচরা পাখিদের মতো।
করাতের মতো তীক্ষ্ণভাবে কেটে
স্মৃতিগুলোকে