ঈদুল আজহার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। বড় ভাই কামাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর জামাল উদ্দিন কোন ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি। আজ থেকে পনের বছর পূর্বে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন কামাল উদ্দিন। জামাল উদ্দিন ভাবছে এবার
ধরা ছোঁয়ার বাইরে
আমার কোনো নিজস্ব দেবতা নেই
যাকে ধূপ ধুনো দিয়ে রোজ আরতি করি,
যার ওপর আমার সীলমোহর লাগানো আছে।
যে সব দেবতাদের একাধিক দেবী আছেন,
যারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, তাদের আমি ভালোবাসি
কারণ তারা আমায় প্রথমা দেবী করে রেখেছে।
অমীমাংসিত লেফাফা ৩
বিবেকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে যে উচাটন মনোভাব তোমাকে
নীল দংশন করছে, তাকে তুমি ভুল করে অতৃপ্তি ভাবছো।
আমাদের গতানুগতিক জীবন ধারায় যে ভালোবাসা
শুধুই হৃদয় ছুঁয়ে যায়; তাকে তুমি অন্য কোন কিছু
ভেবে নিজেকে প্রতারিত করছো, আর ছোট করে ফেলছো
নিজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। কোন দিন কোন ভালোবাসা
যদি শুধুই
সকল_বর্ডার_খুলে_দাও
এই কবিতাটি আগেও পোষ্ট করেছিলাম। কিন্তু কেনো জানি মনে হলো, এখন আরো একবার শেয়ার করা উচিত আমার। একজন লেখকের সামান্য হলেও দায় শোধ হবে হয়তো।
________________________________
আমি একাত্তুর দেখিনি
গল্প শুনেছি
বাবার কাছে, আমার মায়ের কাছে!
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে বেড়ে উঠেছিলাম।
আমাদের সেই সময়ের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭১ বার দেখা
| ২৭১ শব্দ ১টি ছবি
ক্ষমতাই ধর্ম
বিষণ্ন সঙ্কীর্ণ জোয়ার তুলা মনে-
একি দেখছি, মানবতার কোন ধর্ম নাই ।
ক্ষমতাই হলো সবচাইতে বড় ধর্ম- বুঝতে পাই;
আকাশ বাতাস জল স্থল বহে তার স্বাক্ষী-
তাই তারা নাফ নদীতে ডুবলো রক্তভাসী;
আইএস নামের সন্ত্রাসী কাণ্ড-
এ এক ক্ষমতারী যে ধর্ম ।
আর্ন্তজাতিক সংস্থার স্বার্থ নাই বলে-
ওরা খেলে -ওরা ভাসায়
স্বর্গীয় আরণ্যক-৭
আরণ্যক তোর রক্তের মাঝে যে স্বভাব আছে
আরাধনা করে তা কি দূর করা সম্ভব?
তোর স্বভাব কিছু দিনের জন্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে
যখন স্বভাব আবার ঘুম থেকে উঠবে
তখন তুই কি করবি?
আরণ্যক তুই যা জানিস
তা ছোট একটা বাচ্চাও জানে
প্রতিদিন তুই যা ধ্যান করে জেনেছিস
তা আগে থেকেই জানত
শেষ চুম্বন
তোমার শেষ চুম্বন আমাকে নিয়ে যাচ্ছে গভীর ঘুমে
নিষিদ্ধ পল্লীর মতো ক্লান্ত পৃথিবীর ছায়াশরীর
যার ওলান থেকে ধেয়ে আসছে অদৃশ্য মৃত্যু
গোরখোদকেরা প্রথম যার কবর রচনা করেছিল
তার নামও ছিল বড় অদ্ভুত – মায়াহরিণী
জন্ম হওয়ার পরেই যে চলে গিয়েছিল গভীরতম ঘুমে
তোমার শেষ চুম্বন আমাকে ডেকে নেয় পৃথিবীর
শক্তি নেই এক কণা
কি ভাগ্য তাদের, দ্যাখো ঐ সে বৃক্ষদল
ফুটায় কত পুষ্প কখনো
কখনো ফলেতে ভরা যেন
অন্তরে না জ্বালা, চোখে এক ফোটা জল।
কখনো ছড়ায় তারা সুগন্ধ সুবাস
বিচিত্র সাজে করে মাতাল
ফুলের হাসিতে হয় সকাল
আমরা? না ফুটি, ফুটাই, শুধু দীর্ঘশ্বাস।
কি সুন্দর সবুজে মাখা পল্লব
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪০ বার দেখা
| ৮৬ শব্দ ১টি ছবি
কবিতার সমান উচ্চতা []
[ শহীদ কাদরী- আপনাকে ]
মানুষগুলো ছায়া হয়ে যায়। পাখিগুলো হয়ে যায় পথ। যারা
ভুল করে সমুদ্রকে অন্যনামে ডাকে, তারা আরেকটি বনবাস
পেরিয়ে গিয়ে দেখে কিছু ধূসর পাতা অপেক্ষা করছে একটি
আকাশ পেরোবে বলে। একটি পোষা মাঘ-; সংরক্ষণ করছে শীত।
আমি কিছুই পেরোবো বলে এই পথে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৬ বার দেখা
| ১২১ শব্দ ১টি ছবি