তফসিল ঘোষণা: তবে আমি আর মানুষ না
আমরা এখন সবকিছু একটু অতিরিক্ত বুঝিতে শিখেছি
ধর্ষণ যদিচ শিল্প হয় তাহলে ওতে আর দোষ কী!
শিল্পের নামে আগেও তো কতোকিছু জায়েজ দিয়েছি
জলাজমি, জলাভাব, জলাধার, জলাসার
তখনো কেউ প্রতিবাদী হয়নি
আধুনিক গল্পের নাম করে সেসব টিকে গেছে মুদ্রণ শিল্প!
মান্দারের কাঁটা নিজের
কাছে আসি
সুরে সুরে আর গানে গানে
চেয়ে তোমার চোখের পানে
আলতো ঠোঁটের নীরব ছোঁয়ায়
বলেছি চুপিচুপি ভালোবাসি।
যখন তুমি একলা বসে
চোখটি তোমার আধবোজা
ভাবছো জানি আমায় শুধু
তাই ত’ এত কাছে আসি।
কি যে আছে ঐ চোখের জাদু
এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে আসি
কূল পাই না চোখের ঝিলে
ডুবে গিয়েও আবার ভাসি।
পারি না যে
জলচূড়া ধাপ
জলের উপর ভাসে চলে বনহাঁস
আর ভাসে কত না রঙ বেরঙ সাপ
বলো দেখি ভাসি কোন জলে
আত্মারা করে শুধু অভিশাপ ।
এরকম বর্ণচূড়ার কথা ভাসলে পরে
বলো দেখি ! জল কি আর বাঁধা মানে
জল ছুট -সেতো যমুনার ঢেউ হয়ে-
ভাঙ্গবেই ঘর জানালা এ উঠানে;
যতই বলো অভাবে স্বভাব নষ্ট
সেকি
কেবল সবাই হত্যা করতে চায় আমাকে,
শৈশব থেকে মধ্য যৌবন হন্তারকের দৃষ্টি এড়িয়ে চলেছি প্রতিদিন।
কেউ কেউ চাইলো ভালোবেসে হত্যা করতে-
ভালোবাসলে বুঝি দুধের পেয়ালায় মেশাতে হয় হেমলক?
ভালোবাসলে বুঝি দু’হাতে পেরেক ঠুকে ঝুলিয়ে দিতে হয় ক্রুশে?
–
আমার আত্মজীবনীর পাতায় পাতায় শুধু হত্যার ষড়যন্ত্র দেখি,
দেখি আমাকে ভালোবেসে হত্যার উৎসবে
শূন্য
এ এক আশ্চর্য সময়যান
প্যাডেলের চাপ ঠিক করে নিতেই কেটে যায় একযুগ
জীবন পথের যাত্রী যারা তারা সাজিয়েছে এই নহবতখানা
এসো জ্যামিতিক হিসেব কষতে বসে যাই
ছায়ার সমান লম্বা ছিল যাদের জীবন তারাই জানে
শাস্ত্রীয় সংগীত শুনেও মানুষ ক্যান পিঁপড়ের মতই পিলপিল করে চলে।
পৃথিবীটা আসলে এক অন্তহীন রূপের খেলা
অধ্যয়নের