আমরা আমাদের পশ্চাতে ফেলে আসি
আমাদের প্রত্যাগমনের পথ, জন্ম প্রহর, মহেন্দ্র স্বর
ফেলে আসি কস্তূরী গন্ধ,
জননীর পীযুষ দুগ্ধ- মৃণ্ময়ী চাদর
অথচ এই আমরাই
প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করি নতুন নতুন জন্মের ভেতর;
প্রতি লহমায় লাভ করি জীবনের স্বাদ
কখনো অনন্ত, কখনো খুনসুটি-আহ্লাদ, কখনো তিক্ত
ঘুমন্ত মানুষ শিশুর মতো পাপহীন জ্যোতির্ময়;
দেহ সটান চোখ বুঁজে থাকা কারো ঘুম-মুখ দেখলে আশাহত হই না।
স্বপ্নঘেরা উচ্ছল স্বপ্নবাজদের আদলের প্রচ্ছায়ায় আশাবাদী হই
এখানে আমাদের স্বপ্নডোর ভালোবাসার বিজলি চমক।
বেঁচে থাকার শর্তহীন বীজমন্ত্র।
জীবন !! সে তো একটাই।
খসড়া পাঠ
——————–
এটা আমার চুড়ান্ত কবিতা নয়
খসড়া বলে চালিয়ে দিতে চাই
তোমরা এই কবিতা পড়বেনা
কারন কবিতা হতে হলে প্রথমতঃ
মানুষের কথা বলতে হবে।
কিন্ত এই সব প্রজাতন্ত্রের মানুষগুলোকে
কবিতার আবহে ক্যামনে এনে বলি
আমার কবিতা পড়ো
জন সমুদ্রে আমরা,পরিচিত হাওয়ারা টোকা দিচ্ছে সতত।
ঘোলা পানিতে বৈচিত্র অপহরণ চলছে;
মাদুলিতে তাবিজের ঠিকানায় চলে
রাত্রি, তুমি অষ্টাদশী এক সুন্দরী অনূঢ়া,
সারা শরীরে তোমার কাঁচা সোনা।
রাত্রি, তোমাকে ছেড়ে যেতে চেয়ে যেতে পারি না
যখন ভাবি ছেড়ে যাবো-
তুমি আমাকে হাত ধরে টানতে টানতে
নিয়ে যাও স্নানঘরে, ঝরণার জলে ভিজিয়ে
দেখাও তোমার নগ্ন শরীর;
আমি ফিরতে পারি না
আমার ফেরা হয় না ঘরে
কেবল তাকিয়ে থাকি আর মুগ্ধ
সিংহ রাশির জাতক
দাঁড়ি। কমা। সেমিকোলন। সব উঠিয়ে দিয়েছি। তুমি এখন বন্ধন মুক্ত। শুধু পড়ে থাকে থকথকে অন্ধকার। মানুষ সবকিছু দখল করে নিচ্ছে। আমার পড়ে থাকা দুপুর। একলা বিকেল। ছবির হাটে বিক্রি হচ্ছে দয়া। প্রেম।অনুভুতি।অহংকার। তোমার মায়াশরীর গলে গিয়েছে। ভালোবাসো ছায়া। শব্দের ভূগোল। অথচ ভেবেছিলাম।
বুদ্ধিবৃত্তির পচন ও
সমকালের বাংলাদেশ।
কবি শহীদ কাদরীকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আমাদের সময়ের প্রধান কবি কে? তিনি বলেন- শামসুর রাহমান। আমি বলি- আরেকটু ভেবে বলুন। তিনি বলেন, শামসুর রাহমান। শহীদ কাদরী কথা বলতেই থাকেন। তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশের পর শামসুর রাহমানই
সমকালীন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৬৬ বার দেখা
| ১৪৬৪ শব্দ ১টি ছবি
গোধূলির গান
সে আমারে দিয়েছিনু গান
স্বযতন ভরে,
আমি তারে দিতে চেয়েছিনু এই মুল্যহীন প্রাণ!
তাহার আপন দুটি কড়ে,
নিলে না সে অবহেলা করে ।
বললে
কিইবা এমন দিয়েছি তোমায় ?
এ তো নয় একাই তোমার
গেয়েছিনু আনমনে,
যখন তুমি ও ছিলে অন্য সবার সনে ।
আমি
তিন দিন ধরে অজ্ঞান ঋতু।
পাঁচ বছরের ঋতুর জন্য সরকারী হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়েছে সারা শহর। প্রত্যেকের মনে বারুদের স্তুপ। ঋতুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সেই বারুদের স্তুপের “ট্রিগার” কাঁপছে।
চাপ একটু বেশী হলেই
দু’বেলা ডাক্তার বাবুর একই বক্তব্য:
“আমরা চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি আয়ত্বে। আপনারা ধৈর্য্য হারাবেন না।”
ডাক্তার এলেই সবাই
গল্প|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৫০ বার দেখা
| ২২৭ শব্দ
কবিতার রাজ্যে
ভাবের রাজ্যে হাওয়া খাওয়া হয় বটে
তবে পেট ভরে না,
কবিতা চিন্তা শান্ত হলে
অর্থকরী চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
নান্দনিকতায় পেট ভরে না,
কবিতার রুটি স্বাদহীন
পেটের খিধেয় প্রয়োজন দুধ সাদা ভাত
বাজারে বাজারে যা বিকোয়
তাকে আলু, বেগুণ, পটল
কিংবা ঢেঁড়স নামে চিনি
এগুলোর ভিন্ন নামও দেয়া যায়
আলুকে আল কুমারী, বেগুনকে
ফাৎনা জলের নিচে ডুবে যেতেই ছিপ সজোরে পেছন দিকে নিয়ে আসে রতন। অবশ্য এলাকায় সে নিজের পরিবারের তিন সদস্যের বাইরে সবার কাছে ‘রত্তন চোরা’ হিসেবে পরিচিত। নিজের বাপ-দাদার এক রত্তি এই ভিটে সংলগ্ন পচা ডোবায় মাছ ধরছে। টাকি মাছের শরীর বড়শিতে
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫২ বার দেখা
| ১৫৪৬ শব্দ ১টি ছবি