——
আমাকে অবাক করে আমার শিশুটি
কোন একটি ঠুনকো বিষয়কে নিয়ে ও হেসে ওঠে
সামান্য একটা জিনিস নেড়েই ওর শান্তি
একে বারেই গুরত্বহীন একটি বিষয়ের দিকে
ও চেয়েই রইবে
ও কোন দিকে হেটে যাবে ও যেন নিজেই জানে না
এক নিশ্বাসে ও
পিরামিড শহর
রাত জাগা শহর
প্রেমের প্রাথমিক পর্ব শেষে
জেগে ওঠে মোমঘর
ফারাওদের গল্প বলছি না
মিশরের কবরও নয়
শহুরে পিরামিডের ভেতর ঘুমিয়ে থাকে সুপ্ত বীজ
একটা মৃত্যু শুধু মনে করিয়ে দেয়
পাখিরা কখনও ঠিকানা হারায় না।
অনেক হল মোমবাতি প্রজ্বলন, অনেক বেলুন উড়ে গেছে দূরে নিশানাহীন আর নয় দ্রোহে মাখন লেপন। এবার সংগ্রামে শুরু হোক কঠোরতার দিন। দূর হোক নিকষ অন্ধকারের রাজনীতি, বন্ধ হোক প্রহসনের বুলি আশ্বাস। প্রজ্ব্বলিত হোক সত্যের মশাল। নয় দাবি নয় অপেক্ষার চাদর
হীরক রাণী: গবেষক, করো কি? খাও কি শুধু ঘাস!
প্রজারা আমার পশ্চাদ্দেশে ঢুকাচ্ছে বাঁশ।
আহারে! বাঁশের ব্যাথা সে কি বুঝিতে পারে
কভু পশ্চাতে আইক্কা বাঁশে দংশেনি যারে।
গবেষক: মহারাণী, বুঝছি সব স্পষ্ট
ইশ! কত বেদনা! কত কষ্ট!
পশ্চাতে ঢুকলে আইক্কা বাঁশ
নিশ্চয় বন্ধ হয়ে আসে শ্বাস?
হীরক রাণী: গবেষক করো কি
নারী
আমার এই ভীষণ চেনা চেনা শরীরের ভেতর
আস্তে আস্তে বেড়ে উঠেছে একটা চারা গাছ,
আমার বুকের মাঝে,আমার ভেতরে
বিস্তৃত করে চলেছে তার শাখা প্রশাখা,
আর নিতান্তই ছোট্ট, এই চারা গাছটা
হয়ত এখন বাঁচতে শেখেনি একা একা;
তাই মধ্য রাতে যখন বাতাসের সাথে
খিলিখিলিয়ে হাসতে চায় সে,
আর তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাই
তুমি কি ডাক পারানির গান গায়
বসন্তের কোকুলি ডাকার মতো-
তুমি কি ভাব ডুবানির রাতে ডুব
ঐ জলহস্তি ডুব দেয়ার মতো;
সবিই আছে ঐ তারার মতো-
তুমি আরও আরও ভাল থাকো।
ভাবো চাঁদ পোহানোর সূর্যটা
শুধু খরতাপে খুব দেয় নিক্ষুদ যন্ত্রনা-
মধুমাখা ডাক হারানোর প্রতিধ্বনি
বকুলের গন্ধগায়ে শুঙ্গা যায় না ।
সবি তো
——–
আমাকে একলাই পাবে
পথে পথে আমি একাই হাটি
একাই ভ্রমর হয়ে ফুলে ফুলে ঘুরি
একাই বনে আসি
নদীতে যাই
প্রিয়সী আমি একলাই থাকি
প্রতিদিন আকাশের সব তারা দেখা যাবে না
প্রতিদিন সব ভ্রমর দেখা যাবে না
প্রতিদিন সব জোস্না দেখা যাবে না
প্রিয়সী আমি একলাই আছি
একলাই কোলাহল পাশ দিয়ে যাই আসি
একলা একলাই
শাঁখের করাত ভালবাসা
অসহায়ত্ব রাগ হয়ে বেরিয়ে আসছে
একটু ভেবে দেখো ত’
আশে পাশে কেউ না থাকলে
কারো একা একা ভালো লাগে ?
আমি কি জন্য এখানে আসব ?
কি করব বলে দাও ?
কবিতা পোস্ট করব ?
ব্যাস এইটুকুই ত?
হাজার হাজার কবিতা আছে
রোজ একটা করে কবিতার লাশ ফেলে যাব।
অনেকেই দেখি রোজ
মাতাল-নদে সাঁতার কেটে
খুঁজে পাই না কূল,
ভুলসাগরে ডুবে-ডুবে
খাচ্ছি বিষের হুল!
প্রেমসাগরে সাঁতার কেটে
হইছি ভীষণ ফতুর,
প্রেমিকা তাই বললো হেলায়
হও গে আরও চতুর।
ভেবেছিলাম সান্ত্বনারই
শরবতে তাই
ভিজবে আমার গলা,
এখন দেখি দুঃখনদীর
আগুনঝরা
পথটা ধরেই চলা।
মাতাল-নদে সাঁতার কেটে
পাই না খুঁজে চাতাল,
শপথ নিলাম এই জীবনে
আর হবো না
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৪৪ বার দেখা
| ৪৫ শব্দ ২টি ছবি
কি দিলাম
কই বুঝ শিশুটির, যে আঁচল তলে
তবু হাসে যেই দ্যাখে আকাশের চাঁদ;
যখনই হয় সে বড়, নানা চক্র, ছলে
লভিতে মুঠোয় সে কি দুরন্ত উন্মাদ।
ছোঁয়া পেলে তার পেল যেন স্বর্গখানি
আরো মানুষ জগতে, নেই আর মনে;
সহে ঝড়-ঝঞ্ঝা টানে জীবনের ঘানি
আশাটি ওরাও পোষে হৃদয়ে যতনে।
হয় হোক বিপথেই সাধন
বনের দুধার
সেই দুই ধারের বনজঙ্গল তেমনী আছে-
পরিবর্তন হয়েছে শুধু কোকুলি পষা গান!
আতাগাছের তোতারা আর আতা খায় না-
কি অদ্ভুত ? ঠিকি ঘুরে আসে বসন্ত ফাল্গুন!
তবুও এক ফলকি জ্বলে উঠে এবুক উঠানে আগুন;
সেই দুই ধারের বনজঙ্গল তেমনী আছে।
বাঁশবাগানে খেলা করা বানোর ঝাপ,
মাছ সাঁতার কাটার কথাগুলি কেউ