ঘর না হয় না-ই বাঁধবো- পাখিদের জন্য একটি ঘর বানাবো,
মস্ত একটা বাড়ি বানাবো চড়ুই টিয়া শালিখ ময়নার জন্য।
—
নিজস্ব কিছুই থাকবে না আমার-
যা কিছু আমার তার সবই হবে পাখিদের।
খেটে-খুঁটে বালিকা পড়িয়ে মাস শেষে যে পয়সা পাবো
তা দিয়ে পাখিদের জন্য কিনবো ধান গম কাউন,
আর তার বিনিময়ে
তিন লাইনের তিনটি অণুগল্প
_______________________
#
ইস! এক টাকা কম থাকার কারণে একটা গোল্ড লিফ কিনতে পারলাম না। মানিব্যাগের চিপায় তিন কয়েন মিলিয়ে সাত টাকা পেলাম।
জীবন এমন ছোট ছোট ইস-এর সমন্বয়ে কেবলি সামনে আগায়।
#
আমি আমার দুইটি প্রিয় শহর হারিয়েছি। সেখানের সম্পর্কগুলি কি আমাকে ত্যাগ করেছে, না আমি
কথা রাখার কথা ছিলো
কথা ছিলো ঝরে পড়া পাতাদের জড়ো করার
মতোই, ইচ্ছেদের সাথে নিয়ে অসহ্য জীবন ঠেলে
উঠে দাঁড়াবো আরেকবার।
ভালোবাসার বন্ধ্যা জমিতে
দুজনে মিলে ফুল ফোটাবো।
কথা ছিলো দীর্ঘ শীতের রাত পার করে,
আবার বসন্ত হেসে উঠবে,
আমাদের দুজনের ঠোঁটের ছোঁয়ায়।
চাঁদও হিংসে করবে আমাদের ভালোবাসা দেখে।
কথা ছিলো দূরে
রহস্যের চাবিতে ঢাকা অদ্ভুত জীবন
উপেক্ষিত হতে হতে কালো পাথর – ঘুটঘুটে আঁধার
তারপর ধুপের মতো পুড়িয়ে নিজেকে শেষ করা
তোমার আলোটুকু ছড়িয়ে দাও – বাঈজীর ঘরে
এখানে বিদ্যুতের বড় অভাব
তল্পিবাহক হলেও আমাদের আছে নিজস্ব সুর
প্রস্তরে খোদাই করা অনন্য প্রতিমা
রাতগুলোকে জ্বালিয়ে দিয়ে উৎসবে মাতি
নাচঘর – বৃহৎ আসর
বলছি নে আমিও কবি হবো
বলছি নে আমিও একজন কবি হবো
দিনান্তে পান্তা ফুরায়, অনাবৃত সময়ের কথা কাকে বলি? কাকেরঠ্যাং বকের পা
অথচ রাস্তার কুকুর কতো নিশ্চিন্তে ঘুমায়!
আমরা সবাই একই সমুদ্রে বাস করি
অথচ কী চমতকার! প্রত্যকেই যেনো এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
তাহলে আমার সমুদ্রের কি হবে আদিবাসী দ্রাবিড়