জুলাই ৩, ২০১৭ বিভাগের সব লেখা

একলাই পাবে
——– আমাকে একলাই পাবে
পথে পথে আমি একাই হাটি
একাই ভ্রমর হয়ে ফুলে ফুলে ঘুরি
একাই বনে আসি
নদীতে যাই
প্রিয়সী আমি একলাই থাকি প্রতিদিন আকাশের সব তারা দেখা যাবে না
প্রতিদিন সব ভ্রমর দেখা যাবে না
প্রতিদিন সব জোস্না দেখা যাবে না প্রিয়সী আমি একলাই আছি
একলাই কোলাহল পাশ দিয়ে যাই আসি
একলা একলাই পড়ুন
অন্যান্য | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১০ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
কলা পাতা
গ্রামের উৎসব ঘিরে কলাপাতার কদর
উঠানে মেহমানদারী বিছানী চটে চাদর
কলা পাতায় ডাল-ভাত খেতে খুব সাধ
গাছের খোল দ্বারা কৃষানের কত কাজ।
বৃষ্টিতে কলাপাতা শত পথিকের ছাতা
সুন্নৎ, সাদি, পাবনে লাগে কুকি পাতা
কলার খোলে খাবার মুখে ভারি মজা
গ্রাম্য সংস্কৃতি পাতার ব্যবহার সদা।
গ্রামের কলাগাছ ধ্বংস আধুনিক যুগে
দাবার গুণে সদাই বিচি পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫০৫ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
শাঁখের করাত ভালবাসা
শাঁখের করাত ভালবাসা অসহায়ত্ব রাগ হয়ে বেরিয়ে আসছে
একটু ভেবে দেখো ত’
আশে পাশে কেউ না থাকলে
কারো একা একা ভালো লাগে ?
আমি কি জন্য এখানে আসব ?
কি করব বলে দাও ?
কবিতা পোস্ট করব ?
ব্যাস এইটুকুই ত?
হাজার হাজার কবিতা আছে
রোজ একটা করে কবিতার লাশ ফেলে যাব। অনেকেই দেখি রোজ পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৩ বার দেখা | ১০৪ শব্দ
হালছাড়া জীবননৌকা
মাতাল-নদে সাঁতার কেটে
খুঁজে পাই না কূল,
ভুলসাগরে ডুবে-ডুবে
খাচ্ছি বিষের হুল!
প্রেমসাগরে সাঁতার কেটে
হইছি ভীষণ ফতুর,
প্রেমিকা তাই বললো হেলায়
হও গে আরও চতুর। ভেবেছিলাম সান্ত্বনারই
শরবতে তাই
ভিজবে আমার গলা,
এখন দেখি দুঃখনদীর
আগুনঝরা
পথটা ধরেই চলা।
মাতাল-নদে সাঁতার কেটে
পাই না খুঁজে চাতাল,
শপথ নিলাম এই জীবনে
আর হবো না পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৪৩ বার দেখা | ৪৫ শব্দ ২টি ছবি
ঊর্ণি চূর্ণি ১৯
ঊর্ণি চূর্ণি ১৯ ক্লিভেজের ভাঁজে যত্নে রেখেছ
সোনালি ঘড়ি সফেদ কাফন
গঞ্জ ওপারে চুমুতে লুকানো
কাঠবিড়ালির চন্দনবন।
অভিমান মুখ ছেনিতে কেটেছে
রজঃস্বলা শব্দ গন্ধ
ঊর্ণি চূড়ায় চূর্ণ হয়েছে
আরণ্যক মন্দ ছন্দ।
ভুল অক্ষরে গেঁথেছিলে ইঁট
দায়রা বিচারে সে পাঠভ্যাস
হলোনা তবুও মহাকাব্য
পঙ্গু গণেশ – বেদব্যাস।
ঊর্ণি তোমার ক্লিভেজের ভাঁজ
ঢেকেছে রাঢ়ের রোদ্দুর রং
দু হাতে সরালে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৭ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
কি দিলাম
কি দিলাম কই বুঝ শিশুটির, যে আঁচল তলে
তবু হাসে যেই দ্যাখে আকাশের চাঁদ;
যখনই হয় সে বড়, নানা চক্র, ছলে
লভিতে মুঠোয় সে কি দুরন্ত উন্মাদ।
ছোঁয়া পেলে তার পেল যেন স্বর্গখানি
আরো মানুষ জগতে, নেই আর মনে;
সহে ঝড়-ঝঞ্ঝা টানে জীবনের ঘানি
আশাটি ওরাও পোষে হৃদয়ে যতনে। হয় হোক বিপথেই সাধন পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫১২ বার দেখা | ৭২ শব্দ
বনের দুধার
বনের দুধার সেই দুই ধারের বনজঙ্গল তেমনী আছে-
পরিবর্তন হয়েছে শুধু কোকুলি পষা গান!
আতাগাছের তোতারা আর আতা খায় না-
কি অদ্ভুত ? ঠিকি ঘুরে আসে বসন্ত ফাল্গুন!
তবুও এক ফলকি জ্বলে উঠে এবুক উঠানে আগুন;
সেই দুই ধারের বনজঙ্গল তেমনী আছে। বাঁশবাগানে খেলা করা বানোর ঝাপ,
মাছ সাঁতার কাটার কথাগুলি কেউ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৭৫ বার দেখা | ৯১ শব্দ
ফিরে এসো
হে যুবক সম্প্রদায়,,,, ক্ষনিক সময় পেয়ে
ভুলে গেলে প্রভুকে,
জেনা ব্যভিচারে লিপ্ত
ভয় নেই কি বুকে? সারাদিন দু-চোখ দিয়ে
দেখো অশ্লীল ছবি,
কেটে যায় দিনরাত
উদয় হয় রবী। হাত, পাও দিয়েও
করছো তুমি জেনা!
মুখে, অস্তরে, ভাবনায়
জেনা করে আনাগোনা। পাপের সমুদ্রে তুমি
হারিয়ে হাবুড়ুবু খাও!
পাপ করতে লাগে ভালো
তাই তো, করে বেড়াও! মন খারাপ হলেই
মদ্যপানে লেগে যাও!
মাতাল হয়ে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১২ বার দেখা | ৯৪ শব্দ
শেষ কবিতা শিশু
ছোট্ট একটি খাকি কাগজের শপিং ব্যাগ
আর হেডবিহীন একটি বল পয়েন্ট পেন
একদিন দীর্ঘক্ষণ পাশাপাশি-
গল্পকারের আসার অপেক্ষায় ছিল তারা। গল্পকার আসবেন
শপিং ব্যাগটির বুক চিরবেন
বল পেনের তীক্ষ্ণ অগ্রভাগ অক্ষরে অক্ষরে ছেয়ে দেবে নীরব আকাশটিকে!
এমনই ভাবছিল ওরা গল্পকার তখন অন্য ভুবনে একা একা
বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত-বিবর্ণ-বিরক্ত বীতশ্রদ্ধ অনুভবে
এক একটি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৫ বার দেখা | ১৪৪ শব্দ ১টি ছবি
টুকরো টাকরা
টুকরো টাকরা রোজকার মতোই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাস স্ট্যান্ডে অনেক্ষণ দাঁড়ানোর পরে আমার গন্তব্যে যাবার বাসটি এলো। খুব বেশি ভীড় নেই। উঠেই জানলার পাশের সিটও পেয়ে গেলাম। পরের স্টপেজে এক মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা উঠলেন। বসলেন আমার পাশেই। ততক্ষণে আমি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক পাওলো কোয়েলহোর পড়ুন
জীবন | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮৪ বার দেখা | ৫৯৫ শব্দ
আত্ম - বিশ্লেষন - ০৩
আজও জীবনের চাওয়া পাওয়া গুলি ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
বিষন্নতায় ভরে থাকে রাতের বাসরের প্রতিটি ক্ষন,
অনুভূতিহীন শরীরে শরীরে ঘর্ষন
হৃদয় মন পিষে ক্ষয় হয় অব্যক্ত বেদনায়।
যেন পরিপূর্ন চেতনাবোধের অবসান।
শিউলী ও কামিনী ফুলের সুভাস ও সৌন্দর্য মিশ্রিত ভোর।
বন-উপবনে পুষ্পের ছড়াছড়ি,
নয়ন-মন, হৃদয়কে করে তোলে মুগ্ধ।
নদীর তীরে কাশফুলের কমল-ধবল রূপে পড়ুন
অন্যান্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৫৮ বার দেখা | ৫০ শব্দ
বিসর্গ
বিসর্গ
অনেকগুলো দাগ পড়ে আছে
অনেকগুলো দাগ,
জলের ভেতরে জমে আছে হীরে
ঘুমের ভেতরে ঘুম
তুমি বললে—
আসলে ওগুলো কিছু নয়
এতোটুকু কামের পরাগ ! আমি আবার তাকালাম
নতুন করে চিহ্নায়নের সূত্র
সাজাবো বলে—
দেখলাম পুরনো মুদ্রার কোণে
লেগে আছে,
সহস্র বছরের পুরোনো বিরাগ ! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮২ বার দেখা | ৩২ শব্দ
লাড়ালাড়ি
বদরুদ্দীন চৌধুরী সাহসী লোক। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তা। দায়িত্বের দায়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ান। এবার রাজশাহী বিভাগের এক জেলায় এসেছেন। অফিসের বন্দোবস্ত করা অভিজাত হোটেলে উঠেছেন। বদরুদ্দীন সাহেব একা ঘুমোতে পারেন না। সমস্যা হয়। তার মনে হয় হোটেলের রুমে আরো কেউ আছে। পড়ুন
জীবন | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৭৭ বার দেখা | ১৮৮ শব্দ
দ্য ব্যাক প্যাকারস
দ্য ব্যাক প্যাকারস প্রথম সূর্য ছোঁবার জন্যে পাহাড়ের চুলে দাঁড়ানোই উত্তম
স্ট্যাচুও তখন কথা বলে, গল্প শোনায়
যারা ডাকটিকিট জমায়
যারা নীল নকশায় ময়ূরকণ্ঠী জামা পরে
তারা বিহঙ্গ হোক, আমাজন অরণ্যে বেড়াতে যাক। এখন বরং ফুলস্টপ নিয়ে কথা বলা যাক
চন্দ্রবিন্দুর কাজই বা কি, এসব ভাবা যাক
পরবর্তী স্টেশন এলে অন্ধজনের দেখা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৭ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
সীমিত সুখ
সীমিত সুখ ঈশ্বর কিছুই নন তাদের কাছে
পোকার দল দেদারছে গিলছে বিষ
শ্মশানে ভাসে অনন্তর শবের শোভা
গোপন গুহায় ব্যূহ রচনা করে আধপোড়া দেহ
মিথ্যে অভিলাষে – ঘুঘুরা কাঁদে রাতের বেলা ফিরে এসো সাগর পুত্র – এক বর্ষা বিকেল রেখেছি
ভাটফুলের গন্ধ লেগে থাকা ধীবর কন্যার চুলে
আজও অপেক্ষা – গোপন গুহায় পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৭ বার দেখা | ৫৯ শব্দ