লাল রংয়ের মানুষ
কালো সাদা হলুদ কিংবা নীল এসবে কোন সমস্যা নেই
অথচ শুধু লাল রংটা দেখলেই আমার কেমন জানি লাগে
বায়োস্কোপের নেশার মতো চোখ ঘুরঘুর
ফেলে আসা কষ্ট গান! আহ্ শৈশব
মিছিলে দেখা সেই লাল পতাকা
লাল কালিতে লেখা আমার অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি
কাঙ্ক্ষিত মোহ, মঙ্গল গান, শেষ বিকেলের মেয়ের ছবি
আমার
দ্য আনটোল্ড স্টোরী
আমার শুরুটা হয়েছিল নদীর কাছ থেকে
হাড়ের উপর মাংস আবার মাংস নীচের অফবিট শুনে
বান্ধবীর কানে কানে বলেছিলাম, গল্প শোনাও
তার তখন সদ্য শরীরে জন্মানো সময়-উপাখ্যান
চুপি চুপি শুনিয়েছিল রক্তনদীর বহমান কবিতা।
আমি আরো নীচে নেমে গেলাম
কয়েক টুকরো মেঘ আমার মুখে গুঁজে দিয়ে মা বলেছিল,
সরে যা—আমি
লিমেরিক গুচ্ছ ৪৪
এক।
সে কি দৃশ্য
যখনই ঈদ উৎসব পৌছায় আমাদের দ্বারে
রেল বাস লঞ্চ মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ে;
সে কি দৃশ্য, শহরে বন্দরে
ফিরছে সবাই আপন নীড়ে
প্রিয় স্বজনের টানে শত কষ্ট উপেক্ষা করে।
দুই।
না কেউ দিতে পারি
কত গর্বিত, আছে গাড়ি বিশাল সুরম্য বাড়ি
কারো তবে নেই একখানি ঘর
জলসিঁড়ির গান
বল দেখি- কি বলবো অহংকার
না নিয়মতান্ত্রিকের কষাঘাতে অপিরিচিত?
কিংবা ফুরিয়ে গেছে প্রয়োজন!
তবুও মলিন ভাষা টগবগ করে দৃষ্টি
প্রতিটি বর্ণমালার আয়োজন;
কখন জানি বলে বসে- চিনি না- না
প্রণয়ের সমস্ত অস্তিত্ব শৈশবের ভবনা
রাত ভোর জলসিঁড়ির গান শুনি
ফুরিয়ে আসতে চাই নৈঃশব্দে গুটিগুটি
নাককাটা নিঃশ্বাস- তবুও জলসিঁড়ির গান শুনি ।
১।
নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের। জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি।
বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে?