অগোছালো
———————-
এত জিনিস ছড়ানো কেন!
এত অগোছালো!
অসমাপ্ত হেওয়ার্ডসের ক্যান
কচিকাঁচার রথের মেলার বুড়ো আংলা
আধ খাওয়া পেঁয়াজের টুকরো
এক পাটি ফিতেখোলা উডল্যান্ডস জুতো
এত ভাঙা হিসেবের কুচি
কি কাজে লেগেছিল এত নিস্ফলা দিন! বাথরুমের টাইলস বেয়ে
নেমে আসা লতা পাতা মেলেনি কোথাও
ফ্ল্যাশ করতে ভুলে যাওয়ার
প্রাক সেকেন্ডে উপচে পড়া
অযাচিত আগন্তুক অসবর্ণ কবিতার দল
জলের তোড়ে

তিন দিন ধরে অজ্ঞান ঋতু।
পাঁচ বছরের ঋতুর জন্য সরকারী হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়েছে সারা শহর। প্রত্যেকের মনে বারুদের স্তুপ। ঋতুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সেই বারুদের স্তুপের “ট্রিগার” কাঁপছে।
চাপ একটু বেশী হলেই
দু’বেলা ডাক্তার বাবুর একই বক্তব্য:
“আমরা চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি আয়ত্বে। আপনারা ধৈর্য্য হারাবেন না।”
ডাক্তার এলেই সবাই

বৃষ্টি আর তুই অবশেষে শহরে বৃষ্টি নেমে এলো, যেইরকম মুষলধারা আমি চাই, ঠিক সেই বৃষ্টি হলো! কতোদিন! কতো যে মুখ ভেসে ওঠে চোখে! কতো স্মৃতি! তুমুল বৃষ্টিতে বাড়ির উঠোনে জল জমলে দৌড়ে গিয়ে কাগজের নৌকো ভাসিয়ে দিয়ে আসতাম। বৃষ্টির শব্দ আমাকে পাগল করে দেয়।

কবিতার রাজ্যে ভাবের রাজ্যে হাওয়া খাওয়া হয় বটে
তবে পেট ভরে না,
কবিতা চিন্তা শান্ত হলে
অর্থকরী চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
নান্দনিকতায় পেট ভরে না,
কবিতার রুটি স্বাদহীন
পেটের খিধেয় প্রয়োজন দুধ সাদা ভাত বাজারে বাজারে যা বিকোয়
তাকে আলু, বেগুণ, পটল
কিংবা ঢেঁড়স নামে চিনি
এগুলোর ভিন্ন নামও দেয়া যায়
আলুকে আল কুমারী, বেগুনকে

ফাৎনা জলের নিচে ডুবে যেতেই ছিপ সজোরে পেছন দিকে নিয়ে আসে রতন। অবশ্য এলাকায় সে নিজের পরিবারের তিন সদস্যের বাইরে সবার কাছে ‘রত্তন চোরা’ হিসেবে পরিচিত। নিজের বাপ-দাদার এক রত্তি এই ভিটে সংলগ্ন পচা ডোবায় মাছ ধরছে। টাকি মাছের শরীর বড়শিতে

যখন শীত ছিল তখন তুমি আমাকে গ্রীষ্মের গল্প শুনিয়েছিলে!
যখন গ্রীষ্ম ছিল তখন তুমি আমাকে আষাঢ়ে গল্প শুনিয়েছিলে!
এখন আষাঢ় এসেছে, তুমি আমাকে বৃষ্টির গল্প শোনালে!
তুমি শ্রাবণের, তুমি আষাঢ়ের!
আষাঢ়ের তুমিই তোমার,
তোমার তুমিই; তুমিই তোমার
শ্রাবণের তুমিই তুমি!
আষাঢ়েরই তুমিই তুমি!
এখনকার তুমিই তুমি!

লিমেরিক গুচ্ছ ২৫ এক। ঐ সে গোধূলি বেলা এ তো এক বিশাল ক্রীড়া মঞ্চ পৃথিবী ভেলা
যেখানে প্রতিনিয়ত যেন জয় পরাজয় খেলা;
কেউ বা হাসে কেউ বা কাঁদে
হিংসা বিরোধ কেউ বা ফাঁদে
দলন দমনের যবনিকা যখন গোধূলি বেলা। দুই। নীরবে কাঁদাকাটি নেই প্রতিপত্তি সম্পদ পাহাড়ের লোভ পশুতে
পুঁজিবাদী, না প্রতিবাদী শ্লোগান কণ্ঠনালিতে;
দিনে

মৃত্যু সুখ।। কাটাছেঁড়ার পর নতুন করে মেয়াদবিহীন শরীরের গহীন ঘরে রাখা এক টুকরো কুয়াশা, মেঘ বৃষ্টির আগমনী সঙ্গীত নিয়ে উড়ে যায় দেশান্তরী হতে।
অযথা সৃষ্টি সুখে উল্লাসিত হয় নরম কাদামাটি ;
সবুজ অবুঝ ঘাস পায়ে মাড়িয়ে চলে যায় যে পথিক
সকালবেলার রোদ মুছে দেয় সেই

পরিণীতা রাজপুত্র কিংবা অধরা নই
অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দ্যাখো, অনুভব করো
কখনো ছায়া কখনো রোদেল হাওয়া
অতঃপর একটি প্রতিবিম্ব। এটা কোনো স্বপ্ন নয়, হৃদয়ের কথা,
আলোতে এসে দ্যাখো, চোখ বন্ধ কোরে দ্যাখো
দু’হাত প্রসারিত কোরে মুক্তবায়ু গ্রহণ করো একবার
অতঃপর পৃথিবী থেকে পৃথিবীর অতি নগণ্য
এ যে এক টুকরো শান্তি। সম্মুখে সবুজ অরণ্য, ভয় নেই
জড়িয়ে

ফটোশপে বানানো ছায়া আলো দিয়ে বানাবার কথা ছিল ঘর, তা দখল করে নিচ্ছে
ফিকে রেখা। মানুষের মনে জমে থাকার কথা ছিল যে
বিনীত ধর্মের বয়ন, তা চলে যাচ্ছে মিথ্যের দখলে।
কিছু প্রতারক ছবিদোকান খুলে, বিক্রি করছে, মেকি
হাড়-মাংস, অনুভুতি,অহংকার, প্রেম,এবং ভূমিমাটি। যাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা ছিল, তারা বেছে
নিয়েছে অন্ধপ্রায়

জল সাহস শুন যমুনা তোর বুকে যৌবনের জোয়ার উঠেছে
এই জোয়ারে যতোই ক্ষতবিক্ষত ভয় দেখাস-
তবুও এতটুকু ভয় করি না – না
তোর জলে ভাসতে জানি! আছে জল সাহস।
শুধু দুঃখ একটাই- জানিস –
তোকে গণতন্ত্রের শাসন ফরমেটে
আনতে পারছি না- না-
এটা আমাদের ব্যর্থতা- তুই তা মনে করিস
হয় তো একদিন নিজেই

অনেকেরই আলোর বড্ড অভাব!
তাই একজন শক্তিশালী আলোর স্কুল খুলেছেন,
যার ইচ্ছে আসবে, যার ইচ্ছে নেই আসবে না!
তবে দরোজা সবসময় খোলা থাকে,
কেউ ইচ্ছে করলে থাকবে মাসকয়েক!
কেউ চাইলে কাছাকাছি এসে মুখ ফিরিয়েও নিতে পারে!
আবার কেউ চাইলে পুরো জীবন কাটাতে পারে এই আলোর স্কুলে। তাই বলছি কি?
সময় আর নেই