চলার পথে সামাজ রক্ষায় দেই যত প্রতিশ্রুতি
মোড়ল মুখে যতসব শুনি জনসেবার খাস বুলি
যাদের কথা ফাঁকি-বাজি তাতেই চলে কলকাঠি
লোক সমাজে চলতে সত্য-মিথ্যার প্রতিশ্রুতি।
প্রতিশ্রুতি ঠিকঠাক সুযোগ খুজেন আছে ফাঁক
জনতার কাছে ছলÑচাতুরি যতদিন টিকা যাক
ক্ষমতা থাকে যতক্ষন জনসেবা করে ঢেড় গুণ
কর্মের চেয়ে বেশি বকন প্রতিশ্রুতি

গত কয়েকদিন ধরে সলিল যেন অন্তঃসলিলে হাবুডুবু খাচ্ছে। সামনে কলেজের ফাইনাল। কিছুতেই পড়াতে মন বসছেনা। এদিকে- ইতিরও মাধ্যমিক। সারাক্ষণ হাজার প্রশ্ন। আকাশের গুমোট ভাবটা অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছে। কলেজের নোটবইটা সামনে। কলজের ধুকপুকুনিটা গগনে। “মা বৃষ্টি এসেছে।”
ইতির ঘোষণায় পড়িমরি করে সলিল বাইরে বেড়িয়ে এলো।
-দাদা বৃষ্টি এসেছে। আর

*👉“ আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥* ” –—মাইকেল জর্ডান। *👉“ যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না॥* ” –—জন এন্ডারসন। *👉“ আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি

এ ভরা বাদরে শোঁ শোঁ শব্দের ককটেলে মিশে যাচ্ছে
পতাকা আর হাওয়ার গর্জন,
মৌসুমী হানাদার ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকে আসছে
পেছনেই আসছে জিনস আর টাইট ফ্লানেলে
সাইবেরিয়ান আরিয়ান হাঁসের ঝিমঝিম নেশা;
আগুনটা সবে জ্বলেছে, উৎসব শুরু হল
ড্রাম বাজারে পদাতিক! আজ থেকেই শাওনের নহবত আলাপে গড়ালো
ম্যারাপ বাঁধাও শেষ, হ্যাপি বার্থডের উইশ পর্ব

বাবা বাড়ি ফিরে এলেই মায়ের ব্যস্ততা বাড়ে
ঘরদোর পরিষ্কার করেন, জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন
নতুন নতুন রান্না ওঠে চুলায়
আমাদের সারা বাড়ি জুড়ে তখন নবান্ন নবান্ন ভাব সবকিছু ঠিক! বাবা তো খুশিতে আটখানা
অথচ এই একটা দিনেই মাকে আমার খুব অগোছালো মনে হয়
ঠিক উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধানের মতো
চিকচিক করতে

ভুলে থাকা মন এক এক সময়ে মনে হয় নিরপেক্ষ ব্যবচ্ছেদ হোক সবকিছুর। মনের অলিগলি আজ ক্লান্ত। আচ্ছা, ফোঁটা ফোঁটা করে জল জমতে দেখেছো কখনও? এক ফোঁটা-দু ফোঁটা, টুপ টুপ করে পড়ছে আঙুল বেয়ে, চিবুক ছুঁয়ে, হাতেরপাতায়?একা একা বন্ধ ঘরে নিজের সাথে কোন কোনদিন তর্ক করেছো?

মা সারাটা জনম শুধু দিয়েই গেলে নিলে না তো কিছু
যখনই করেছি কোন আবদার
তখনই পেয়েছি তা, দিয়েছ আরও
তোমার তৃপ্তিভরা মুখ, সঙ্গে ভুবন মোহন হাসি। অসুস্থ আমি, ভাই বা আমার বোন কিংবা বাবা
সেই তমি শুধু কাছে। রাতে নিদ্রা নেই,
দিনে একটু স্বস্থি নেই, আরাম যেন করেছো হারাম
ত্যাগেই যেন তোমার

অস্থির বিকেলগুলো কাটতেই চায় না রানুর। সারাদিনে বলতে গেলে এটুকুই নিজের একান্ত সময়। বাকি সময়টা পরিবারের অন্য সদস্যদের বাঁচিয়ে রাখতে ব্যয় করতে হয়। জীবন সংগ্রামে ব্যতিব্যস্ত একজন রানুর দিনের শুরু থেকে বিকেলের আগ পর্যন্ত কেটে যায় প্রচন্ড কর্মব্যস্ততায়। বাবা-মা ছোট ভাই

এই গাছের পিছনে যে মাঠ, তার পাশে নদী
নদীর পাড় ঘেসে যে রাস্তা নাক বরাবর গেছে
আমি হাঁটছি সে রাস্তায়, নাড়ী পোঁতা টানে
হেঁটে যাচ্ছি, পায়ের দাগে দাগে অনুভব করছি
কোমল মায়া, টানছে নিকানো উঠানের কোন
লাগানো টগর গাছ, কোন এক ভোরে পিতা
মমতা মাখানো হাতে রেখেছিলেন প্রাণের
মায়া টগরের

জলান্ধ ঢেউ জন্মান্ধ শিশিরের বিন্দু বিন্দু জলে
যে সাহস দিয়েছো তুমি-
আজ তা বাস্তবতার রুপ নিয়েছে।
যতোই জলাহংকারে ভাঙ্গ
মাটির তুপ আর কুঁড়ে সাজানো ঘর। আবার সাজাবো সুস্থ্য দেহবল
অবাক চোখে দেখবে তুমি !
করুনা করতে চাও -হা -হা -হা
কিছু পলির শস্যমন্ডু ভালবাসা দিয়ে; তাতেও পূর্ণ হবে না-
কারণ যে ক্ষতচিহ্ন দিয়েছো
তোমার জলান্ধ ঢেউ

কানে কম শুনি, চোখে কম দেখি!
কথাও বলি কম!
কিছু বুঝিনা বলেই হয়তো এমন! না, না,
এলোমেলো বাতাস এসে চোখ গেলো ভেসে!
প্রকাশ্যে রক্তমাখা মানুষ! ধর্ষিতার হৃদয় গ্রাসি চিৎকারে কান হয়েছে বেহুশ! আমি কি মানুষ!?
হাত আছে, প্রতিবাদ নেই! মুখ আছে জবানবন্দী ! অন্তর আছে, ঘৃণা নেই!
অথচ আমি মানুষ! জলজ্যান্ত