বসন্তে কোকিলের কহুতান মধ্যরাত ধরে
পাখি ডাকে মন খুলে আযান শুনি কানে।
মধুর সুরে পাখির গান আম বনের থানে
শালিক-ঝেচু সব নাচে কোকিলের তালে।
পাখিদের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে প্রত্যেহ ভোরে
প্রত্যুষে প্রার্থনা করি পাখিদের ডাক শুনে।
সতেরো সালের শেষ ফাল্গুনে অফুরন্ত গান
কতদিন শোনা যায়নি কোকিলের কহুতান।
ফাল্গুন-চৈত্রে

এই সমাজের মাঝেই আমরা অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভাষা লিখে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মনের কথাগুলো লিখতে গেলে বানানগুলো মোটেও ঠিক নাই। আমি মনে করি, ভুল লেখার প্রতি অভ্যাস করলে ভুলেই হবে। তাই যতটুকু সম্ভব শুদ্ধ লেখার প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিৎ।

সাফল্যের জন্য দূরদর্শী হওয়া কিংবা প্রতিভার তেমন গুরুত্ব নেই। নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই সাফল্য আসে।

রক্ত মৃত্যু রসায়ন অব্যক্ত ঘৃণার স্ট্রাটোস্ফিয়ারে
বিধ্বস্ত তুলতুলে হৃদয়।
গামা রশ্মির শিকারে আহত
আত্মরক্ষায় অপটু মন।
পথের প্রান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা
আগাছার দুঃস্বপ্নে দিন কাটে
কখন কি হয়। মাউনাকিয়ায় চুপটি করে বসে থাকা
দূরবীন ও জানে না,
নত্রাদামের ধুসর পাথরের কথা।
যুগের পর যুগ বরফের আস্তরনে
ডুবে থাকা দিন রাত ও ভয়
পায় লাভা উদগীরণের। পৃথিবীর শূন্য থেকে

লাভফোবিয়া এক আছে সরকার
ব্যামো তার তরকার
যখন তখন কাঁদে-কাটে। কেঁদে বলে প্রেম চাই
প্রেম ছাড়া গেম নাই
বুদ্ধি কি এমনই খাটে! জেন্ডার মেল হলে
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে
সমুদ্র পার মুঠোভাষ। কেউ লেখে মেমসাব
কারো বা কৃষ্ণ ভাব
পরকীয়া থরে পরকাশ। সবই নাকি দুদিনের
প্রেমিকেরা সুদিনের
হাওয়া ছাড়ে যেন বাৎকম্মো! লাভেরও ফোবিয়া হয়
সরকারি ক্যাশ ক্ষয়
রোমান্স যে রতিদেবী ধম্মো।

গন্ধম ফল রাতের আসরে বসলে ব্যাধি বেড়ে যায়
দূরত্ব মাত্র ষাটগজ
অথচ অন্ধ চোখে দেখি না কিছুই
ঘুণপোকায় খেয়ে ফেলেছে থৈ থৈ সুখ
শোকপর্ব শেষে হাত বাড়ালে কাচা ধানের গন্ধ পাবে তবু। অসীম ক্ষত নিয়ে দূরবাসী হলাম
নদীর বুকে নৃত্য করে উন্মাদ বালুচর
রিহার্সেল শেষ করো দ্রুত
তুমি সাহস করে ডাকলেই হলো
শীতের খোলস

হেলেঞ্চা হেলেঞ্চার কথা এখন কে আর মনে রাখে?
তবুও সে তার মতো করে মনে মনে স্বপ্ন আঁকে!
মাঝে মাঝে তপতির মতো জোনাকি আসে
দিয়ে যায় এক চিলতে আলো
সেই আলো তার অন্ধকার সন্ধ্যার প্রদীপ হয়,
তাতে কিছুটা হলেও দীর্ঘায়িত হয় তার শিতিকণ্ঠ! অত:পর অতল রজনী আর শেয হতে চায় না
হেলেঞ্চার মনে

তাম্রবরণ তিথি [] একই বসন্ত- একই বর্ষা ছুঁই
একই রোদে পোড়ে তাম্রবরণ হই-
জানি তবু ঘর ছেড়ে,ঘরের ভেতরে
দু’জনেই কেউ কারো নই। নই তিথি’র- নই তপস্যার
অথবা সাধনার সারারাতে
এ’কে অন্যের মুখ না দেখেও
খেলে যাই মেঘের সাথে। কোথা যায় মেঘ,আকাশকে ফেলে
কোথায় লুকায় চাঁদ
কার ছবি দেখে নদীগণ হাসে
ঢেউ ছুঁয় কার বিষাদ ! এভাবেই