প্রিয় রবি দাদু, তুমি কেমন আছো? তোমার লেখা খুব মনে পড়ে। তোমার গান আর কবিতা আমার নিত্য সঙ্গী। তুমি এই সময়ের শ্লোগান বলে দাও আমাদের। তবে, বড্ড পাগল-পাগলীর উৎপাত বেড়েছে এখানে। তোমাকে নিয়ে যা-তা করছে। উন্মাদের পাঠক্রম। দাদু, খুব ভালবাসি তোমায়। তুমি

ককটেল কথা (ক কথা)
দু আঙুলে খাঁটি বাসমতীর ফুরফুরে জুঁই ফুল
আলতো মাখতে মাখতে সামান্য ফাঁক করা ঠোঁটের
ভেতরে দশ কিম্বা পনেরো পার্সেন্ট উপোসী দাঁতের সারিতে
ডেলিভারীর অস্সম সময়ে ন্যাংটা তোর্সার দু জঙ্ঘার মাঝে
আরব আমিরশাহীর হাইরাইজ বাগান জন্ম নিতে থাকে;
উষ্ণতার যে সীমায় পারদ বাস্প হয়ে মিশে যায় চতুর্ভুতে
এক চুমুক

সূর্যসহকারী আমার প্রথম পংক্তি সূর্যশ্লোকে ভরা
মাটিকে অচ্ছুত করে গাজর-রশ্মিরা
উঠে যায় আকাশের সবজি-গুদামে
আমার দ্বিতীয় পংক্তি ঘিরে রাত্রি নামে সবুজ গাছের মাথা মেঘ-সহোদর
মস্তিষ্ক দু’ফাঁক হয়ে শোণিত-শেকড়
টেনে নেয় বোমা, গুলি, বৃষ্টিদুধ গাঢ়
আমার আহার-পাত্রে মৃত্যু বসতে পারো নিচে বিশ্ব, যুদ্ধে যাবে বিকলাঙ্গ সেনা
কিছু খেতচাষি, কিছু নোনতা কারখানা
বিশুদ্ধ প্রণয় তবু বিরুদ্ধ শিবিরে
স্ত্রী-ধমনী

মাঝে মাঝে আকাশকে চিনতে যাই
আর অঝোর ধারায় নোনা বৃষ্টি হয়-
হু সবুজ অরণ্যকে যখন বুঝতে যাই
আফসোস আর হাহাকার দু’নয়নে পাই!
ঐ যমুনার কাছে খুব যেতে ইচ্ছা হয়
কিন্তু বেরঙের ঢেউয়ে বাঁধার সম্মুখ হই-
চরের বালু মিশ্রণে উত্তাপে পুড়ে যাই;
এটাই তো জীবন চুলা খই ভাজা ছাই
কি

এবং দুঃসাহস কমে গেলে ঈশ্বরের কাছে চলে যায় ভুল চিঠি
সাঁতার জানি না বলে নদী পাড় হতে আমাদের বড্ড ভয়
অথচ আমাদের পালিত হাঁসগুলি দিব্যি ভালো আছে এখন যেকোন সময়ের চেয়ে
আর বড়
স্বাস্থ্যবান
মোটা স্বর তাদের কাছে হার মানছে পালিত কুকুরটাও
কুকুরটা এখন ন্যাড়া কুত্তায় পরিণত হয়েছে
ক্ষীণ স্বর
রোগা
চিকনা
ফোস্কা পড়া শরীর।

এ শহর আমার নয়। আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ
সংরক্ষিত নয় এখানের আর্কাইভে, তবু কিছু হংস
হিংসের ডানা দেখিয়ে ডুব দিতে চাইলো আমার পুকুরে,
কিছু ঈগল- তাদের ভাষাচক্ষু দেখিয়ে ছিড়তে চাইলো
আমার শব্দকেতন। এসব নষ্টমহড়া দেখেছি আগেও। দূর দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘ
আমাকে বলেছে- আমরাও আছি কবি,
তুমিও থাকো।
ক্রমশ পৃথক করো চাঁদ

শিপ্রা,
তোমার দেহে এখন
মহেঞ্জোদাঁড়ো আর হরপ্পার
বিলুপ্ত সভ্যতা! শিপ্রা,
তোমার দেহে এখন
সন্ধ্যার ঘুলঘুলি অন্ধকারে
শুধু বয়স্ক বয়স খেলা করে! তবুও নারী, তোমার দেহ
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য।

রাত গভীর হতেই কামগন্ধা নাভিমূল;
আমি নামতে থাকি কুয়ো বেয়ে,
বাঁদুরের চিমসানো গন্ধে দূষণ
শরীর ও মন,
ডুব দিয়ে উঠতেই
মাথায় দ্রিম দ্রিম প্রেম মাদল
ধ্যাত!
বারোটা বাজলো নেশার; আধভাংগা নেশায় বিবেক চিরুনি চুলকানি দিতেই
অপ্রকৃতিস্থ হাসির বিষম খাই
বড্ড দিরং হয়ে গেছে রে বিবেক