বিয়ের আগে – বাবা মা – খুব আপন
ভাইবোন – ঠোকাঠুকি খুনসুটি
প্রেমিক প্রেমিকা – টক ঝাল মিষ্টি
স্বামী স্ত্রী – সে আবার কি?
বন্ধু বান্ধব – দিনরাত্রির সর্বক্ষণ। বিয়ের পর পর – বাবা মা – কর্তব্য
ভাইবোন – স্বার্থ
স্বামী স্ত্রী – দুজন দুজনার
প্রেমিক প্রেমিকা – বাজে

প্রতিবার সমুদ্র ছুঁই ঘুমের ঘোরে- উদাম বুকে ঘামের জোয়ার
প্রতিবার জিতে যাস তুই – নোনতা চুম্বনে নিশ্ছিদ্র সাতার প্রতিবার বর্ষা নামে – অকর্ষিত জমিনে শাণিত লাঙ্গলে
প্রতিবার বীজ বুনি- জ্যোৎস্নার শোভায় হিজলের তলে প্রতিবার উৎসারিত হও তুমি- কুয়াশার জালে বর্ণীল সকাল
প্রতিবার চমকিত আমি- স্বপ্ন নিনাদে উড়ছে বিহঙ্গীর পাল প্রতিবার

দৃষ্টি ক্রমশঃ অনুগামী হয়ে উঠছে দৃষ্টি
ছেলেবেলার বন্ধু ফেরদৌস যাকে ফেদু বলে ডাকা হতো
কোমল ঘাসের ডগা হয়ে গোঁফগুলো সবে বাড়ছিল
বলেছিল, এখনই ব্লেড ছোঁয়ানো যাবে না
নাকের নীচে স্বেদবিন্দু আটকে থাকা কটা রোঁয়া
তখনো শর্মির চোখের মমতা নিয়ে ততটা ভালবাসতে পারিনি। ষোলো থেকে চল্লিশ অব্দি সে হেঁটেছে ওর পাশে
এখন শর্মির

রংধনু মুক্তোর ঝিলিক মুঠোভরা মুক্তোর বিন্দুগুলো
এস্রাজের তারের ওপর ছড় টানে। কবে থেকে যেন অপেক্ষায় ছিলাম
আঙুলের ফাঁক গলে জল ছলছল,
উত্তেজিত বসে আছি
সবুজ টগবগে ঝিলিক তোলা বালির কণায়;
মুঠোভাষে মহাকাশ কথা বলে গেল। ঝিলমিলে রম্বসকোনে রংধনু রঙ,
মহাজাগতিক অদ্ভুত শিরশিরানি
নামে, কশেরুকা বেয়ে;
কতদিন বোগেনভেলিয়ায় ফোটেনিকো ফুল
কতদিন পরে এলে মেরু আলো
ঝলমলে বাসর

উন্নয়ন এতো উন্নয়ন রাখব কোথায়
তেমন যোগ্য ডিজিটাল কই
হাওরে বাড়িতে রাস্তা দোকানে
তিস্তার জলে ভিজি, টাল হই উন্নয়নের ঠেলায় মরছে
হাওরের যত মৎসও হাঁস
ডিজিটাল খেলো ক্ষেতের ফসল
বন্ধ হয়েছে কৃষকের শ্বাস ভাঁওতাবাজি থামাও এবার
খোল চোখ, খোল দুই কান
হাওর পাড়ে মাথা ঠুকো গিয়ে
যদি চাও তুমি বাঁচাতে মান অনেক হয়েছে গাল গল্প
খানিকটা কাজ

একজন দার্শনিক হিসেবে বলছি ৫ আমাদের দুজনের দেখা হওয়া মানে একটা সোনাচড়াই। পাখির যতটুকু প্রথমেই আঁকা হয়ে আছে — তুমি। আমি নিজের ভাগটায় চটপট স্কেচপেন চালাচ্ছি। কিন্তু ছবিতে নিজেকে বসাতে গিয়ে যদি বেশি ঝলসে উঠি, গাঙশালিক তার সমস্ত শরীর নিয়ে আমার দিকে ছুটে যাবে, তোমার