ইশ্বর যখন আমাকে বলবেন
তুমি কি এনেছ? ইশ্বরকে বলব-এক বুক নিশ্বঙ্গতার
কষ্ট নিয়ে হাসি মুখে বেঁচে ছিলাম
তুমি কি খুশি নও –ইশ্বর! ইশ্বর আমি বেঁচে ছিলাম
এটাই ছিল আমার ইবাদত
তোমাকে বিশ্বাস করে বেঁচে থাকাটাই ছিল
আমার একমাত্র ইবাদত।

পেনড্রাইভ জমা হয়ে আছে সূচালো দুখের ধার। বরফে বিদ্ধ হচ্ছে
শীতের সূর্যকণা। কোথাও পুড়ছে জীবন- কোথাও
থেমে যাচ্ছে চুল্লির আগুন, তা দেখে হাসছে চাঁদ, কাঁপছে
নক্ষত্রের সংসার। চারপাশে ঝুলে থাকছে অনেকগুলো মহাকাল।
অনেকগুলো মৃত বসন্ত,
অনেকগুলো শাদা পাঁপড়ির কফিন
যারা বিদায়ী বর্ষাবরণে জলে নেমেছিল, কেবল
তারাই দেখছে এসব দৃশ্য। বাকি সবাই নজর রাখছে
তাসের

আঙুল পর পর পাঁচটি আঙুল
সাজিয়ে রাখা একটা আঙুল আদর খোঁজে
একটা আঙুল ইশারায় কাছে ডাকে মধ্যমাটি চিন্তায় মগ্ন ধরতে দেবে কাকে
একটা আঙুল অপেক্ষায় প্রভাত সূর্যের বাকিটা হাসছে শুধুই
তারও কী কিছু বলার আছে?

প্রণয়ের তল্লাশি পড়ন্ত রোদের ছুঁয়ায় বসন্তের হওয়া
অরিরাম চলছে-
ফাল্গুনের ফুল ফুটানোর শুধু আহবান!
তবুও নিস্তবদ্ধতা
সারা অঙ্গে যমুনার ঢেউ বয়ছে ঠিক যখনী
প্রণয় নামে তুমি- হ্রদের ঘর তছনছ করলে-
বলো কি সুখ পেলে ? প্রতিহিংসার খড়া ভুমিতে টয়লেট তল্লাশি
করা হবে
তখন খুব কষ্ট পাবে স্মৃতিময় তলপেটে
এতটুকু জ্বলবে
ভাবছো তাই সময়টা কই ?

বর্ষা গরম সীমান্তে মাঝেমধ্যে মেঘ
বিকেল হলেই
চমকে দিয়েই
পালায়। মাঝেমধ্যে কালো
হঠাৎই ঝড়
গোঁসা গরগর
জ্বালায়। মাঝেমধ্যে রোদ
আগুন ধরায়
চামড়া গোড়ায়
জ্বলন। মাঝেমধ্যে জল
দাদুরী মাতানো
সবুজ জড়ানো
ফলন।

সূযাভায় ছড়িয়ে হাসি
খুশিতে দিলহারা।
শ্যামেল কোমলে বাহারীরূপে
চিত্ত পাগলপারা।
রোদ্রছটা ঠিকের পড়ে
চারিদিক উজালা।
রূপের আগুনে সেজেছে বন
রূপবতী কমলা।
গ্রীষ্ম দুপুরে ক্লান্ত পথিক
উদাসী বায়ে চায়।
দৃ্ষ্টিনন্দন গাছের ছায়ায়
প্রেয়সীর ছায়া পায়।
গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের তোড়া
তোমারি তরে সাজানো সযতন।
স্বাগতম গ্রীষ্ম মহাসমারোহে
তোমারি তরে কৃষ্ণচূড়ার কবিতা আলাপন।।

তুমি জেনে রেখো, সে তুমি যেই হও না কেন
যে আসল মানুষগুলি নিজের বেশে
কোনো স্বার্থ ছাড়া এখানে এসে দাঁড়ায়
আমি তাদেরই সবচেয়ে আপন বলে মানি |
তুমি হলেও তাই মানতে খালি স্বীকার যাও না
নিজে ছলনায় বাঁচো কোনো দায়িত্ব ছাড়া
কাকতাড়ুয়া হয়ে ভলোবাসাকে হেয়