একদা নীরবতা ভাঙ্গতেই অতিশয় উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলাম !
মৌনতা যেন মুক করে তুলেছিল আমার সমগ্র সত্তাকে
এবং আমি এতটা বধির হয়ে গিয়েছিলাম যেন,
পৃথিবী এবং সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও কোন শব্দ ছিল না আমার জন্য ।
কোন ভাষা ছিল না কোন কিছু বুঝবার কিংবা বোঝাবার,
নির্ঝরের নি:শব্দ উৎপত্তি অত:পর
ইসারা
(আজ অনেক সকালে, সবে যখন সূর্যটা উঁকি দিয়েছে তখন চিকন একফালি রোদ পায়ের পাতা ছুঁয়ে দিল। মনটা কেমন শিরশির করে উঠলো। মনে হলো দূর কোনো বনের ভেতর নির্জনে যদি থাকতাম এই মূহুর্তে আর আমার প্রিয় ব্যাগপাইপে বেজে উঠতো কোনো আনন্দের সুর! ঠিক সে মূহুর্তেই
বারান্দায় ঝোলানো একটা সাদা শাড়ি উড়ছে
আমরা দেখছি
আর দেখছি
সত্যি বলছি আমাদের চোখের কোন অসুখ নেই
দেখতে আমাদের কোনরূপ ক্লান্তি লাগে না
এই যেমন জটলা দেখলে উঁকি মেরে দেখি
সাহেবের বাড়ি কিংবা পতিতার ঘর।
একটা শাদা শাড়ি উড়ছে
আমরা ভুলে গেছি কালো শাড়ির শোকগাঁথা।
চোরাবালি
ঐপথের বাঁকে চোরাবালি
এই ডুবি -এই ভাসি-
কুল কিনারায় শখের নদী !
নয় যমুনা নয় বাঙ্গালী
বুকের নদে একখানা জলের ছবি।
কি ভাবছি সর্বি গড়েছি সমাধি
শুধু চিহ্ন মাটির এ ঘাসফড়িং-
বিরল মনে বসে না তাই প্রজাপতি !
এই ডুবি- এই ভাসি;
আঁধার নীলে শুধু জোনাকি
এযে চোরাবালির গায়ে মিটি মিটি
কেন দিলে কানামাছির
আমি কাদম্বিনী। আমিই মরে প্রমাণ করেছি আমি মরি নি আজও বেঁচে আছি। কি দূর্বিসহ এ যন্ত্রণা বুকের মাঝে। যারা মিথ্যে করে বলল আমাকে মরে যাওয়ার পর শ্মশানে দাহ করে এসেছে তারা সত্যি হয়ে গেল। আমি তো নিজেকে নিজে বিশ্বাস করাতে পারি নি যে আমি