“ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু” কে আমায় করবে ক্ষমা?
আমিতো নিজেই আমার ঈশ্বর। বেদেনী-বাঁশীতে নাচে লকলকে লোলুপ চেরা-জিব
বিকেলের বিষন্ন- হলুদ উঠোনে ঝেড়ে ফেলে তার বিষ-থলি
যেখানে খাদ্য-কণা খুঁটে খায় চড়ুই ছানারা; অনন্তের ওপার থেকে ভেসে আসে বেহালার তান মাঝরাতে
বাতাসের মীড়ে মীড়ে বেজে ওঠে প্রচ্ছন্ন বর্ণমালা,
বর্ণালী মুক্তো-বৃষ্টি ঝরে ঝরে পড়ে;
বোধিকে

বিমূর্ত তেলচিত্র চোখের সামনে যে পেইন্টিংগুলো ঝুলিয়েছ
সে জন্যে তোমায় ধন্যবাদ
এই যে নদী-সমুদ্র, ফুল-পাখি; অবোধ্য কিচিরমিচির
ভারী চমৎকার চিত্রদক্ষতা তোমার। মানুষ; মানুষগুলোর কান, মাথা, পাছা
কি বিচিত্র! কি অপূর্ব বিভ্রম!
শব্দশীল সব ধাতবের ঊর্ধে এর গন্তব্য
অদেখা মনের ছবি তুমি এঁকেছ এতটাই নিখুঁত। আবারও বলি, ভারী চমৎকার চিত্রক্ষমতা তোমার
লোকে তোমাকে কত নামে

উটউটানি পাঁচালী উট আর উটানি
করতে হে ফুটানি
গেছে বন সকালের ফ্লাইটে। উট বলে ধুমধার
মেগাসিটি নচ্ছার
ভাল্লাগে ডেজার্ট সাইটে।। উটানির বাঁকা মুখ
মরু মে কাঁহা সুখ
খেটে মরি দিনরাত যন্ত্র। কুঁড়ে উট বসে খাস
জ্বলে গেল হাড়মাস
বাপে কেন পড়েছিল মন্ত্র।। উট রেগে বলে শোন্
জানি আমি তোর মন
রাদ্দিন কচি খুঁজে ফিরছিস। এইখানে ছেড়ে দিলে
নিশ্চয়ই কোনো ছেলে
অ্যাপো করা

অলক্ষ্যেই অনেক কিছু আমার দেখা হয়ে যায়। মৃত পাখির হাড় থেকে
জন্ম নিয়েছিল যে পাথর তার উপর জন্মেছে একটি বৃক্ষ, সেই বৃক্ষে ফুটে
আছে একটি নামহীন ফুল। ফুলটি কী তবে সেই পাখির ডানাচিহ্ন! আর
বৃক্ষটি কী তবে পাখির সহদোরা! যে বিলে স্নান সারতো ঐ পাখি, সেই
চলনবিল কী

এলো এলার্জির বান আকাশ ডগায় আলোর মিছিল
দিয়েছে গায়ের সারি;
রোদ পোহাতে চল না যাই-
মাঠের পথে ধানসিঁড়ি!
শালিক, ময়না, কত না সুরে গায়
সুখ বাতায়নের গান-
গা জ্বালা আর এলার্জিতে চাঁদ
সুর্যেরে হয় না বান
মিছিলের রব হবে অনল জ্বলবে হাত
এটা ভিশন রিষন করে খানখান-
পথের বাঁকে সোনার টিয়ার
যায় রে শুধু জান!
এবার বুঝি