আসলে আমার সবাই চিঠি লেখা ভুলতে বসেছি। তাই আমি ঠিক করেছি আমরা যারা ব্লগে আসি তারা যদি একজন অন্যজনকে চিঠি লিখি তবে তা কেমন হয় !! মানে যে কেউ যদি আমার কাছে চিঠি লেখে (তা হোক কবিতা কিংবা গল্প অথবা সাধারণ বাজারের লিষ্ট বা
আলোচনা, সমালোচনা, সমন, মিলন,
মুক্তির কত কত যুক্তি, নুয়ে না পড়ায়
আমি বন্দি!
সুখী মানুষের হাসি দিয়ে সাজানো আকাশ
তারাদের কানামাছি খেলার মায়াবী মাঠে
আমি বন্দি!
দুই নদী এই স্বর্গে, দুই নদী ওই স্বর্গে
মধ্যে থাকা “সিদরাতুল মুনতাহা”র পাতায়
আমি বন্দি!
মায়ের গর্ভের কোমল নৌকায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে
১০ নম্বর বন্দরের ১০ নম্বর ঘাটে
আসলে আমার সবাই চিঠি লেখা ভুলতে বসেছি। তাই আমি ঠিক করেছি আমরা যারা ব্লগে আসি তারা যদি একজন অন্যজনকে চিঠি লিখি তবে তা কেমন হয় !! মানে যে কেউ যদি আমার কাছে চিঠি লেখে (তা হোক কবিতা কিংবা গল্প অথবা সাধারণ বাজারের লিষ্ট বা
স্ফটিকের মতো
কবিতা: আনা আখমাতোভা
অনুবাদ: রিয়া চক্রবর্তী
অন্ধকার, শীতল কূপের গভীরে
যেমন একটি স্ফটিক জ্বলজ্বল করে,
আমার মনেও একটি গভীর স্মৃতির ছায়া
আজও প্রজ্জ্বলিত –
যাকে আমি মুছতে চাইনা, মুছতে পারিনা।
আমি মনেকরি, কেউ একজন
আমার চোখের গভীরে তাকিয়ে
আমার মনকে পড়বে।
তাঁর চিন্তাকেও দুঃখ গ্রাস করবে
যেন সে কোনো শোকগাথা শুনছে।
আমি জানি, ভীষণ রাগে,
আহা তাহার উদ্ভাবনী শক্তি
পাশে তাহার বামা আদি মূর্তি
কেউ বা কোলে কেউ বা পাশে
কেউ বা মাথায় চড়ে
বন্ধ দ্বারে উঁকি মেরে হাতের লকীর পড়ে
নজর কড়া এই দিকেতেই
বৌয়ের তাতে বিকার নেই
চড়লে শুধু বিকট টান
ময়ূরী বৌয়ের তটস্থ জান।
এগারো
যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পরিত্যাগ করেছি এখানে,
কৃতাঞ্জলি করে মুখ আগুনে ধুইয়েছি
ওকে এতোটা পথ একা ছেড়ে দিতে মন চায়নি, শুনুন
কোলে করে আগুনের মধ্যে দিয়ে হাঁটবো ভেবেছিলাম
যদি পরে দেখা হয়, ওই অভিযোগ-স্বভাবী মেয়েকে
আমি তো চিনেছি
বলবে, ঠিক ছেড়ে চলে এলি মন্ত্রের স্তূপের মধ্যে!
অন্ধকারে গদগদ নদীর জলে একটা নাভি,
আমাকে প্রহার করছো মাটি,
আমাকে-
প্রহার করছো আকাশ, এই সবুজ
সকাল ঘিরে আজ উঠবে যে সূর্য,
আমি তার কাছে কোনো নালিশ
জানাবো না। শুধু লিখে যাবো
এই বিষণ্ণ প্রহরে, আমি যখন একা
দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে উদ্ধারে
একটি বারও নামেনি ঝড়। একটুও
এগিয়ে আসেনি শীতলক্ষ্যা নদী।