বন্ধু বল্লে বন্ধু হয় না
বন্ধু হওয়া তো সহজ নয়
বাইরে বলবে বন্ধু কিন্তু
পুষবে ঈর্ষা হিংসা ভয়।
সুজন বন্ধু কুজন বন্ধু
কিভাবে করবে এম্নি ভাগ!
বন্ধুপ্রীত ভাগ্য জোটায়
মনের গভীরে কাটছে দাগ। বন্ধু এগোয় তুমিও এগোও
চরৈবেতি চরৈবেতি
পেছনে টানলে বন্ধু সে নয়
ঈর্ষায় শুধু নিজেরই ক্ষতি।
বন্ধু উঠলে গম্ভীর হও
ঈর্ষাজাল কেন গোটাও! সমতুল তো আছই

দিন দিন মানুষ নামের প্রাণীটি যেন অন্য রূপ ধারণ করছে। অন্য রূপ মানে অন্য চরিত্র, অন্য স্বভাব, অন্য বৈশিষ্ট্য। মানুষ কাকে বলে, কী করলে মানুষ হওয়া যায়, শুধু মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হওয়া যায় কিনা- প্রশ্নগুলো এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরও

ছোট ভাই মিলিটারি ট্রেনিং এ দুর্দান্ত ভাল ফলাফল করেছে তাই জেনে মন ফুরফুরা করে অফিস থেকে বের হয়েছি। ভাবলাম উড়তে উড়তে বাসায় চলে যাই ছেলেটার কাছে। কিন্তু ঝামেলা পাকিয়েছে বিচ্ছিরি জ্যাম। রিক্সায় বসে আছিতো আছিই। এর মাঝে চোখ পড়ল উল্টো দিক থেকে আসা এক

আজকের বসন্তের এই সোনাঝরা বিকেলে শীত শীত আবেশে একটা গান হলে মন্দ কী?
সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা যখন পশুর নদী দিয়ে অনেক পানি বয়ে যেত বঙ্গোপসাগরে আর আমি মংলার বাসার বারান্দায় বসে ওই পশুর নদীর বয়ে যাওয়া দেখতাম তখনকার কথা। একবার অফিসের এক

শহীদ বুলু খান শহীদ হওয়ার পর বহুবছর পার হয়ে গেছে। তিনি যে শহীদ হয়েছিলেন এ নিয়ে বিতর্ক করার কোন অবকাশ নাই। যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। তাঁর শাহাদাতের পরে তৈয়ার হয় শহীদ বুলু খান মহিলা কলেজ। আরো আছে শহীদ বুলু স্মৃতি সংসদ। স্মৃতি সংসদ প্রতি বছর

এই নিস্তব্ধ একাকী বিকেলে
ঘরে থাকা প্রায় অসম্ভব
দৌড়ে ছাদে যাই,দূরে ওই
রাজপথে মানুষগুলোর ঘূর্ণিপাকে
ধুলো ওড়া দেখি,
সামনের গলিতে কতগুলো
বাচ্চারা খেলছে আর নিজেদের
মধ্যে হাসছে-খেলছে-হাসছে
আমিও নিজের অজান্তে
সংক্রমিত হয়ে উঠি
ওদের খুশিতে,
ওদের সাথে মিশে গিয়ে
ওদের পায়ে পা মেলাই-
ধুলো ওড়াই ওদের সাথে-
মাটির গন্ধ মাখি ওদেরই মতন
আবার এক সময় ফিরে আসি,
মিশে যাই গভীর

রুহের নীরবতায় কী নিদারুণ বিষণ্নতা জাগে
ধবল সতী চাঁদের আলোয় শুয়ে আছে অন্ধকার
নতমুখ হয়ে বসে আছি প্রভূ
কাঠঠোকরা ঠুকরে খেয়েছে জীবনবোধের নীড়। দু’হাত দিয়ে আড়াল করা শিখেছি মাত্র
পথ চলতে গিয়ে দেখি যে উচ্ছিষ্ট পড়ে আছে
তার সবগুলোতে লেগে আছে হলুদ জীবনের ছায়া
নিঃশ্বাস গুনতে গুনতে আমরা মৃত্যুর কাছাকাছি যাই। মৃত্যুর

আরেক পূর্ণিমা
১
রহিম শেখর ব্যবসাটা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। সম্প্রসারিত ব্যবসার কর্ণধার হয়ে ওঠা বংশানুক্রমিকভাবে। যখন লাভজনক, মহা আনন্দ। ইয়ার বন্ধুদের আড্ডায় সময় কাটানো, জুয়া খেলায় প্রচন্ড ঝুকি নেয়া। গাজা আর মদের নেশার সাথে মেয়ে মানুষের দোষও আছে তার। কিন্তু এখন খারাপ সময়! পাঁচটা

ওরে ওই এতটাই ভয় থাকলে
কথায় রাখবো বাঘের বাঁচ্চা সাহস-
এই পরিচয়ে চিনা না গেলে
কি পরিচয়ে চিনা জানার পাওয়া যাবে-
শুধু আমজনতার খ্যাতি যশ !! ওরে সোনার শস্য ছিটেছো অভয়ারণ্যে
শান্তির পায়রা, শ্যমা সালিক,কাক দিবেই তো দৌড়-
ভাবো না -ভাবো না -তেপান্তর মাঠে
ভয় নেই -ভয় নেই সিংহ মামার সাহস বুকে

ক’দিন থেকে জয় একটা গানই শুনছে, আমারও পরাণও যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো কিন্তু এই একটা গানের মধ্যে কী আছে যে যে দিনরাত জয় একটা গানই শুনছে। কোনো কোনো দিন গভীর রাতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে,

দাবা খেলা বুদ্ধির খেলা
সবটাই কৌশল।
তার সাথে হাতি ঘোড়া
আছে সৈন্যদল।
হাতি ঘোড়া মন্ত্রী সেপাই
লড়ছে মাঠে সবাই।
সুযোগ পেলে ছিনিয়ে নেবে
শত্রুর সব মাথাই।
মন্ত্রী অনেক ক্ষমতাধর
দেখায় কত দাপট ।
রাজা মশাই চমক দেখে
দেয় আড়ালে চম্পট।
ঘোড়া চলে লাফিয়ে
হাতি চলে বাঁকা।
দাবার ছকে যেনো
গোটা রাজ্যটাই আঁকা।
রাজামশাই আছে দেখেই
করছে বাজিমাৎ।
রাজামশাই পড়লে ধরা
সবাই কুপোকাৎ।
দাবা অনেক

আমি কোনও আবিষ্কারক নই। পথের সন্ধান
নিয়ে কোনও অরণ্যের শোভা দেখবার কৃতিত্বও
নেই আমার। তবু প্রেমিকা হবে বলে আমার হাত
ঝাপটে ধরেছিল যে সিরামিক সন্ধ্যা—
আমি আজও তাকে মনে রেখেছি। বিমূর্ত ভালোবাসা নিয়ে আমার ছায়া হয়েছিল
যে ত্রিমাত্রিক আকাশ, তাকে জানিয়ে রেখেছি
ভ্রমণের বিকাশপর্ব। দক্ষতা দেখাতে না পারলেও,
আঁকায় নাম লিখিয়েছি