মুরগী রাজহাঁসের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলাতে মোরগ মুরগী কে রেগেমেগে —
-তুই হাঁস কে বিয়ে করলি শেষে !!
আমি কি মরে গিয়েছিলাম??
-রাগ করিস না রে, আমি তো
তোকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু মা-বাবা’র ইচ্ছে ছিল …
ছেলে যেন নেভিতে কাজ করে !!
পা’শ থেকে
একজন প্রশ্ন করল এসব করার সময় কই পাও তুমি ?
আমি বললাম “আমি তোমাদের মতো আকাশ ছুঁতে চাই না।
তোমার মনে আছে কিনা জানি না ২৪ বছর আগেও আমি তোমাকে তাই বলে ছিলাম। দুবেলা দুমুটো খেয়ে জ্যোৎস্না রাতে রবীন্দ্র সঙ্গীত হলেই আমার চলে যাবে।
আমি এখনো
কিছু গানের মধ্যে অদ্ভুত মাদকতা থাকে। শুরুতে প্রভাব না পড়লেও ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে হয়। ‘আমি তোমারি নাম গাই’ ঠিক সেরকমই একটা গান আমার জন্য। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ মাদকতায় আসক্ত আমি। সকালের রোদে রিক্সায় প্রিয় মানুষের পাশে চলতে চলতে যে গুনগুন করছিলাম
দর্শনোৎকণ্ঠা
প্রেমদাস
কি করিব কোথা যাব কি হৈবে উপায়
যারে না দেখিলে মরি তারে না দেখায়
যার লাগি সদা প্রাণ আনচান করে
মোরে উপদেশ করে পাসরিতে তারে
এতদিন ধরি মুঞি হেন নাহি জানি
যে মোর দুখের দুখী তার হেন বাণী
আন ছলে রহি কত করে কানাকানি
প্রেমদাস বলে তুমি বড় অভিমানী।
অসম্পূর্ণ অনুভব
– যাযাবর জীবন
কিছু অনুভূতি স্পর্শের
কিছু অচেনা কিছু পর
কিছু সম্পর্ক অসম্পূর্ণ
কিছু কিছু বাঁধে ঘর;
কিছু স্পর্শ ছিল তোর ভালোবাসার
কিছু অবহেলার
কিছু নিঃস্পৃহ
অতঃপর
অনুভূতি-শূন্য হতে হতে আমায় করেছিস পর,
সাজানো গোছানো অনেক সুখের তোর ঘর;
কিছু অসম্পূর্ণ সম্পর্ক
সারারাত মুঠোর ভেতরে জোনাকির আলো নিয়ে বসে থাকি
ভোর হলেই তারা সব মৃতদেহ;
হাওয়ায় উড়ছে দীপাধারের শব।
মানুষ টের পায় ঠিক।
আর মৃত্যুর গন্ধ যত বেশি কাছাকাছি হয়;
তীব্র ধাবিত হয় জীবনের দিকে
এবং নিজের অজান্তেই মৃত্যুবাসরের জন্য তৈরি করে এক
অনিন্দ্য ফুলের বাগান।
এখনো জীবন্ত ফেনার চিহ্ন লেগে আছে মৃত ঘোড়াদের
বেলী,
আজ আদুরী দৃষ্টি ফিরে পেলো,
বেশ কিছু দিন যাবৎ এমনটাই ভাবনা চিল শকুনের মতো
হঠাৎ করে বললে হয়তো ভুল হবে
সময়ের স্রোতেই অপেক্ষার প্রহর ফুরালো
আঁধারকে আধার করে চলে গেলো।
মনের বাগানে জল ঢেলে
শুষ্ককে সবল করতে জোর তাগিদ দিচ্ছিলাম
কিন্তু ফলাফল; নামি দামি সুগন্ধি বাউরা সংস্রব
আসলে সতেজ বৃক্ষের দিকে
ঝরছে তুষার খোলা আকাশ থেকে
আকাশ বুঝি দিলো খুলে আগল
এই আকাশে বরফ ঝরেই শুধু
ওই আকাশে ঝরতো চোখের জল
আহা! এমন চোখের জলে
হয় না এখন স্নান
হয় না এখন পাখি মনের
মান বা অভিমান
সবকিছুই খোয়া গেছে
হারিয়ে গেছে সব
বরফ ডাঙ্গায় আছড়ে মরে
পাখির কলরব
উড়তো পাখি বৃষ্টি জলে
কান্না হলে সারা
বৃষ্টিকথা খুইয়ে
আপনাদের মঙ্গল হোক তবে!
নমো! নমো!
এ যাত্রায় প্রাণ ফিরে এলো
অবিনশ্বর ব্যথায় চোখ বুজে আসে
আমার বুঝি মৃত্যু হয়েছিল!
এ পোড়া শহরের গর্ভে
পাশাপাশি দাড়িঁয়ে রঙিন ফ্ল্যাটবাড়ি
বিদেহী আত্মাদের জন্য টুকটাক আয়োজন
মন্ত্র উচ্চারণের প্রয়োজন নেই!
পুরোহিত! প্রস্রাব ঢেলে দাও
গড পার্টিকল এ মিশে যাওয়ার আগে
আমি সুই – সুতো নিয়ে বসে আছি
এমন সেলাই
দিবার উপরিভাগ ধীরে তপ্ত। মাঝে ফাটলসম প্রচ্ছায়া নামে। সম্মুখে ডোবা, তাহার পৈঠায় ডানপদ জলে নামাইয়া, বামটি তীরে, এক বামা সবেধন বস্ত্র ধোয়। বিড়াল কৃষ্ণবাদামি, ভীত রাজমহিষীর মতো পথ ঘেঁষিয়া দাঁড়ায় ও মাথার উপর কাক উড়িলে পলায়ন করে।
ন’টা কুড়ি বাজিতেছে — অর্থ লোকাল ছুটিল।
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৫ বার দেখা
| ১২৪ শব্দ