কেমন আছেন আপনি?
খুব ইচ্ছে করে, একদিন আপনার কুশলাদি নিই
ঐ তো একটা বাড়ীর দূরত্ব! কাটানো গেল না কিছুতেই
রঞ্জাবতী বলে যে মেয়েটা, আপনার বাজার-সদাই করে দেয়
একদিন পথের পাশে ফেলে গেল একটা আস্ত কড়াইশুঁটি
এখন সেটা আমার পকেটে শুকিয়ে চিমসে হয়েছে
মাঝে মাঝে আপনাকে দেখি, দূর থেকে
বুকটা ধ্বক
(অণুগল্প)
রঙীন সোয়েটার-টুপি পরা বাচ্চাগুলো বাবা-মায়ের হাত ধরে হাসতে হাসতে মাঠে ঘুরছে। রঙীন ছবির বইগুলো পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখছে, বই কিনছে। গেটের বাইরে থেকেই এঁটো প্লেটগুলো ধুতে ধুতে হাঁ করে দেখছে পুষ্প। বইমেলার বাইরে বাবা ঘুঘনি বিক্রি করছে, পুষ্পকে সাথে এনেছে বাসন ধোয়ার জন্য।
নির্লিপ্ত কোঁকড়ানো চুল
আজাকাল ভীষণ দেরি হয়ে যায় আমার
টেবিলের নিচে রাখা দুটো বিমূর্ত হাত
টেনে ধরে আমার শৈশব
পূর্ণতা চায় – নিরীহ কৈশোর
মুখের ভেতর একটা জিভ থাকে
সাঁতরাতে পারি নাই কোথাও
আমাদের শীতবোধ বেড়ে গেলে
লম্বা চাদরের কোণা টেনে নিই
শীতকাল – একটা কোঁকড়ানো চুলের নাম
সদ্য কৈশোর পেরুনো মেয়ের মৈথুনকাল
সঙকীর্তনে ভরে
মীম এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ। এখন পড়ার কোন চাপ নেই। যথেষ্ট সময় এখন তার হাতে। মীম তার ছোট নাম। পুরো নাম তানিয়া সুলতানা মীম। মেয়ে এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই বাবা তাকে একটি এনড্রুয়েড
যত্রতত্র মন
খিরকী দিয়ে জোছনা আলো ঝিকিমকি
একে কি বলা যায়?
ও তো এমনি এমনি ছুঁয়েছে পর্দা বিছানা সব
ওর কি কোন চাওয়া প্রতিয়মান হয়?
না কি প্রকৃতির ঈর্শা?
জীবের চাওয়ায় মনকে সায় দেয়।
যত্রতত্র মনই তো ছুটে বেড়ায়
আলোর মোহনা ধরে ধরে সমুখে পিছে ধায়
যেন সরিস্রিপের চোখ সব দিকেই খোলা
আঁধারেও তো
নাব্যতা
একটা একটা করে নদী সৃষ্টি হয় রোজ। একটু একটু করে মুছে যাই আমি। রোজ রোজ অবহেলায়। হয়তবা মাঝে মাঝে, কখনো পথ ভুলে আকাশের নাভি ঘেষে ওঠে চাঁদ। কখনও কখনও পথ ভুলে চাঁদের আলো পরে আমার ঘরে। নদী মুছে ফেলি রোজ। আবার নদী আঁকি নতুন।
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৮২ বার দেখা
| ৪৪৫ শব্দ
একাত্তরের বিজয় মাসে
এক
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়
প্রিয় মা জননী আমার বাংলাদেশ;
এবারেও এ ডিসেম্বরে আনন্দ বন্যায়
ধুয়ে নিঃশেষ জনতার সকল ক্লেশ।
দুই
নয়টি মাস এক সাগর রক্ত ঝরার শেষে
পেয়েছি লাল সবুজ পতাকা;
বীর সন্তানেরা ঐ দ্যাখো হাসে আকাশে
খুশির অশ্রুতে দেশ মাতৃকা।
তিন
পৃথিবীর বুকে এ ডিসেম্বরেই তো রচিত
বাংলাদেশ
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৫ বার দেখা
| ৭৬ শব্দ ১টি ছবি
মাটির টানে
মাটির টানে যুদ্ধ করে ছিলো যতো মুক্তি সেনা
লক্ষ্য প্রাণের দামে হলো এইতো আমার মুক্তি কেনা।
হদয় মাঝে বিজয় আঁকা অলেখা এক চুক্তি
দেশ প্রেমে সব উদ্বুদ্ধ হবে তুচ্ছ করে সব যুক্তি
যুদ্ধ যাঁরা করে ছিলো তাঁরা মা’ও মাটির টানে
ক্ষমতার কোনো ব্যবসা ছিলোনা শহীদ-গাজী জানে।
চারিদিকে শুনি আজো
আর একটিবার ৭১ চাই!
মৃত্যু মরে গেছে, মরে গেছে ৭১, মরে গেছে স্বাধীনতা
চেনা পথিকের ছোয়া পথযুগলে এই মৃত্যু এই
আজ আর সেদিনের শান্তিময় চেনা গ্রাম নয়
এ যে শেয়াল শাসিত ঘনবন।
প্রশ্ন জাগে, স্বাধীনতা আজ তুমি কোথায়?
তুমি কি বলতে পারো মাতৃত্বের বন্ধন কাকে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৯১ বার দেখা
| ১২৬ শব্দ ১টি ছবি
প্রমাণ পত্র
উঠতি ছেলেটাকে দিনে দুপুরে পিটিয়ে জান্নাতবাসী করা হলো।
চারপাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছিলো।
মামলা করা হলো। কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী পাওয়া গেলো না।
আদালত প্রমাণ পত্রের অভাবে সবাইকে খালাস করে দিলো।
বায়স্কোপের মতো কী চমতকার দেখা গেলো!
মহিলা কলিগ অভিযোগ করেছে, সহকর্মী তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে।
বড়োকর্তা বললেন, তোমার কথা ঠিক