সহজতা
সহজতা চাইতে নেই বিশেষত: জটিলতা যেখানে শাস্ত্র
যেখানে একটা শব্দ খুঁচিয়ে হাজার শব্দের সৃষ্টি হয়,
যেখানে একটা কথা জিলিপির প্যাঁচে নিক্ষেপিত হয়।
যেখানে দিন মানে চব্বিশ ঘন্টাই দিন, রাতও তাই,
যেখানে সন্ধ্যে মানে শুধুই গোধূলি আর কিছু নেই।
যেখানে রোবটেরা এক জায়গায় প্রহরীর মত জাগে
যেখানে দিন অভিনেতা নয়
বাবার স্পঞ্জের স্যান্ডেল
_______________
বাবুটা !
খেলনাটা কিনে দেই নাই বলে কি গাল ফুলিয়ে আছো এখনো ?
ভিতরে ভিতরে ফুঁসছো নিশ্চয়ই আমারই মতো ?
তোমার মা, তুমি দুষ্টুমি করলে কি বলতেন আমাকে নিয়ে ?
– ও প্লাস না! বাপের রক্ত। স্বভাব চরিত্র ও বাপের মত হবে না তো কি !
এমনই
জলের জন্মদাতা
তুমি চেয়েছিলে জলতন্ত্র
আর আমি শুধু বৃক্ষের পাতায়
লিখে রাখতে চেয়েছিলাম রাতগুলোর জন্মবার্ষিকী,
কিন্তু এখন দেখি – এ কী !
ঝরে যাচ্ছে পাতা
আর কিছু ভুল জমা করে করে
কেবলই দেশান্তরি হচ্ছে জলের জন্মদাতা
তুমি চেয়েছিলে পর্বত
আমি যে ক্ষত বুকে নিয়ে
ভেসেছিলাম সমুদ্রে,
তারপরও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে
আমি পান করেছিলাম ভোর
একান্তই মঙ্গলগ্রামের রৌদ্রে
আমি
আমার উঠোনে নেই কলমী শালিক
তারা জীবনানন্দের মর্জির মালিক
গাঙ ফেরা মরা চাঁদ মুনিয়ার বেশে
আমাকে শালুক ফুলে গেছে ভালোবেসে।
আমার তাই সাতটি তারার তিমির
গোলপাতা ছাউনিতে ঝরিয়ে শিশির
মনন সমৃদ্ধি আঁকে বনলতা সেন
আমি করি সেই ভাবে ভাব লেন দেন।
মুখ ফিরিয়ে বাংলা, রূপসী হয়েছে?
সৃষ্টির মনের কথা দ্বেষ রেখে গেছে;
আমিও
নগ্ন মায়ানমার
আর কি কোন নগ্ন ইতিহাস আছে
আজকের মিয়ানমার আকাশে তার হার মানাই !
আর কি কোন পশুর রাজ্য আছে-
আজকের মায়ানমার দেখে আর্তনাদ পাই।
যুগ যুগান্তের সর্বশ্রেষ্ঠ নগ্ন ইতিহাস রচিত হলো-
প্রতিটি জল পাতার দৃশ্যবিরল কাঁদবে মানুষ;
দেহের শিরা উপশিরা শিউরে উঠবে- দ্বিখণ্ডিত হবে-
রক্তের সমস্ত বাঁধ আর জ্ঞানচক্ষু ভিজে
আশিক গ্রামে লজিং থেকে লেখাপড়া করে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছাত্র হিসেবে খুব ভাল। আর মাত্র দু’মাস বাকী ওর ফাইনাল পরীক্ষার। লেখা পড়া নিয়ে এখন খুবই ব্যস্ত। বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করার সময়ও এখন আর
এলোঝেলো
অনেকদিন ধরেই আমার ল্যাপটপটা খারাপ। নিজেই দায়ী তার জন্যে, অনেক সিনেমা ডাউনলোড করে ফেলেছিলাম। এখন এতটাই অলস হয়েছি যে সারানোর জন্য ল্যাপটপ হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছেনা। অনেক গুলো লেখা বাকি। আজকাল আর লিখতেও ইচ্ছে করে না। বড় বেশি আলসে সময়। অবসরও অবকাশ চায় যে এখন।
জীবন|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫২১ বার দেখা
| ২৬৬ শব্দ
যা বর্ণনা করা যায় –
তা কষ্ট নয়।
কষ্ট অবর্ণনীয়
প্রস্তরময়, কণ্টকময়
অবিরাম মেতে থাকে নৃশংসতায়
ধৃষ্ট প্রথায় ধ্বংস মুখর নির্বাণে,
অকপট বাতায়নে উঁকি মারে বিদ্যুৎ মাখা মেঘ
যে আবেগ পুষে রাখে বাগানের একাকী ফুলটির মন;
বর্ণে
অথবা শব্দের সাধ্য কি কষ্টকে ধারণ করে!
অব্যক্ত অভিমানে
ঋণপত্র
খেলাপি ঋণের কথাই বলি। মূর্খামির হয়ত সীমা-পরিসীমা আছে
কিন্তু খেলাপি ঋণের কোনো সীমাও নেই। পরিসীমাও নেই।
যাদের কিছু নেই, তারা ঋণ পায় না।
যাদের কিছু আছে, তাদের ঋণের কোনো অভাব হয় না।
বিলাসী পণ্যের মতো তাদের চাহিদা কোনোদিন ফুরোয় না।
দেশের প্রতি, দশের প্রতি তাদের ভালোবাসা শেষ হয় না!!
কমলার
ছেঁড়া বুকের বোতাম
বোতাম
একটা থেকে আরেকটা দূরত্ব কতটুকু
অথচ নিঃশব্দে ঝরে যায়
তারপর শ্রেণীবিভেদ
পরাধীনতার যূপকাষ্ঠে বাস
অহেতুক দৌড়ঝাঁপ – আটপৌরে জীবন
নিঃশ্বাসের মতো নৈঃশব্দ্যে খুলে যাচ্ছে
বুকের বোতাম – দেখার কেউ নেই
ছেঁড়া বুকের বোতাম
লাগিয়ে দেয়ার মতো কেউ নেই
বোতাম
একটা থেকে আরেকটা দূরত্ব কতটুকু?
শুভ জন্মদিন হে মহাকবি
প্রথমে আসাদ নামে কবিতা লিখতেন, পরে গালিব নাম ধারণ করেন। ১১ বছর বয়স থেকে ফার্সি ও উর্দু ভাষায় গজল লিখেছেন। ভারতের উর্দু কবিদের অন্যতম শিরোমণি। জন্ম আগ্রায়। দিল্লিতে স্থায়ী বসবাস। শেষদিকে বাহাদুর শাহ জাফরের সভাকবি ছিলেন। প্রেম, বিশ্বাস,
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায় []
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়। সকল বেদনাই চৈতন্যের
জল হয়ে সমুদ্রে ভাসে। কোনো পরদেশী জাহাজের
পাটাতন তা ছুঁতে পারে, কখনও থেকে যায় অস্পর্শের অতল।
ঝড়গুলো বিভক্ত হয়ে প্রদক্ষিণ করে উত্তর এবং
দক্ষিণ মেরু। যারা পূর্বে থাকে, তারা তাকায় পশ্চিমে।
সূর্য ডুবলো বলে, জোনাকিরা গায়ে