দিন চলে যায়, রাত আসে এভাবে চলে যায় সপ্তাহ। পার হয়ে যায় মাস। দেখতে দেখতে চলে গেল এগারটি মাস। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই পবিত্র মাহে রমযান এসে উপস্থিত হল আমার সামনে। সংকেত আসল আর
আমি তো ফিরতে চাই, বার বার ফিরি
আমার এ চলাফেরা তোমাকেই ঘিরি
চোখে দেখেছি তোমার আকুল আবেদন
তাহলে হবেই হবে আমাদের মিলন।
তবু যেমন কথার ফেরে কথা ঘরোয়া
নিজস্ব মানিয়ে নেওয়া করে নি পরোয়া
এগিয়ে নিয়ে গেছি তফাৎ সমান্তরাল
আমরা আমাদেরকে করেছি আড়াল
আজ তাই ফিরে গেছে ফেরা সংকলন
আমরাও আমাদের কাছে অবোধ
শেকড়ের ভিতরে বেঁচে থাকা
পুরাতন হৃদয়ের দেয়ালে খসে পড়া আস্তরন
একদিন এক বটবৃক্ষ কুঁড়ি মেলে আকাশের দিকে
তার পর ধীরে ধীরে বড় হয়, অনেক বড়
আর আমার দেয়ালটাকে শেকড় দিয়ে আঁটকে রাখে
অক্টোপাসের মত।
কিন্তু হায় তবু কি বেঁচে থাকার সুখ খুঁজে পাই;
বরং মনে হয় শেকড়ের
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৬৩ বার দেখা
| ১৫২ শব্দ ১টি ছবি
তেমন কোন সংবাদ নয়। সারলতার সুবাদে সুবিধা বাদীরা মত্ত হয়েছে হরির লুঠে। অবাধে
দখল করছে সংরক্ষিত বাগান, সবুজ মাঠ, প্রবহমান নদী। আমি শুধু তাদের দিকে চেয়ে হাসলাম।
খানিক বিদ্রূপে, খানিক করুণায়!
যে ভঙ্গিমায় ওরা গ্রাস তুলে নেয়। যে স্বরে
না বর্ষার জল
তবুও আমার ভালো একটা বাসার বাসনা বলে কথা
যেখানে নীরব রাত্রির রোদন শোনা যায়
যেখানে ভোরের পাখির বোধন দেখা যায়
যেখানে চোখ না খুলেই দিগন্ত ছোঁয়া যায়
যেখানে আদুরী বাতাসের গন্ধের ভোগী হওয়া যায়!
আমার শহরটা বড়ো ক্ষেপাটে, মাথা গরম থাকে
ঝিঁঝিঁ পোকার মতো টানা টানা গাড়িগুলো ডাকে!
এখানে
তীব্র বাজাও তবে
তুমি হুইসেল বাজাতে জানো?
নিমেষে খান খান
ভেঙ্গে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারো
স্থবির পাথরের জগদ্দল স্তব্ধতা?
একটি আকাশপাতাল জোড়া খাতা খুলে বসে আছি।
অমিয়ঘোরে নিষিক্ত নতুন শব্দ লেখা হোক কিছু
এমন ভাবতে ভাবতে
চুরি হয়ে গেলো ভৈঁরো রাগে বাঁধা বেলীর সুগন্ধ।
বাতাসের কানে কানে রেখে দেই তবে
কিছু নীরবতা।
প্রণাম নিও হে পাতার প্রভাব। একটু সবুজ রেখে দিও
আমার জন্য। রাঙাতে চাই। রঙিন হতে চাই, নিজেও
এই জলক্যাম্পে ; এই উনুন উপত্যকায়। বিষ্ণুপ্রিয়ার মুখ
দেখে, চিনে নিতে চাই কুড়িয়ে রাখা শেষস্মৃতি। আবার জয়
হবে, আবার নুয়ে পড়া লতাগুল্মে সূর্যও দেখবে নিজের মুখ-
সেই ভাবনা
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪২৫ বার দেখা
| ৮৩ শব্দ ১টি ছবি
রূপকথা চুপকথা
গত কয়েকটা দিন যুদ্ধ ছিল নিজের সাথে নিজের। যুদ্ধ ছিলো নিজেকে চেনার নিজেকে ভোলার। গত রাতে স্বপ্ন এলো ইচ্ছে পূরণের, স্বপ্ন সত্যির চিরকালই আমার আলোয় ভরিয়ে যায়। তাই অনেক খানি আলো মেখে ঘুমিয়েছি কাল।
তারপর আজ সকাল আলতো ভাবে এসে ঘুম ভাঙিয়েছে। যদিও ঘুম
জীবন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৯৪ বার দেখা
| ৩৮১ শব্দ
নান্দনিক
নান্দনিক তার চলাফেরা, নান্দনিক তার হাসি
দুটি গজদন্ত শ্বাপদ হয়ে ছুঁড়ে দেয় খাবার বাসী
অপরূপ তার ভঙ্গিমা, অপরূপ তার কালিমা
সেই অপরূপে মন মেজে নিয়ে হয় বৃন্দাবাসী।
নাগর এসে একমুঠো করে ধুলো ছুঁড়ে দেয় বাতাসে
আমরা অভাজন তাই চেটে খাই আরও পাবার আশে
বার করে নেওয়াটাই আসল কথা নাগর দিল
খয়েরী বাতাস
এই দিনটার কোনো নাম দেয়া যাবেনা
হয়তো চেনাবার জন্যে বলা যায় আজ বৃহস্পতিবার
আদতে গাঢ় বৃষ্টিরঙা দিনের নাম থাকতে নেই।
বাতাসে খয়েরী রঙের লিপিস্টিক ঘঁষে দেয়া গাছগুলো
আপাতঃদৃষ্টিতে ওদেরও কোনো নাম নেই
সম্বোধনের প্রয়োজনে ডাকা যায় জারুল নামে।
গাছশরীরে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো দুই প্রাণের নামও অপ্রয়োজনীয়
এই বৃষ্টিতে সব ভিজে