ছড়ার ছন্দ বনাম মাত্রাবৃত্ত এবং সেকেলে শব্দ:
আমি বিচ্ছিন্নভাবে ছন্দ ও পদ্যের ভাষা ও শব্দচয়ন নিয়ে অনেক প্রবন্ধ লিখেছি। সবগুলো প্রবন্ধ কেউ পড়ে থাকলে আমাকে ভুলবোঝার বা আমার কথার অপব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। কিন্তু আমার মতামত বা বক্তব্য বলে অনেকেই এমন কিছুকথা লিখছেন বা
যখন থেকে মূল্য কেবল অর্থ দ্বারা নির্ধাণ করা শুরু হলো তখন থেকে কিছু অমূল্য সম্পদ মূল্যহীন হতে থাকলো। সত্যবাদিতা, আতিথেয়তা, সেবাপরায়ণতা, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া, মায়া, ভালোবাসা, বিশ্বাস ইত্যাদি অমূল্য সম্পদ তার দ্যুতি হারিয়ে নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছে, অর্থ দ্বারা এগুলির মূল্যায়ন সম্ভব নয় বলে মূল্যহীন হয়ে
নি:স্ব
(সুন্দরী সিরিজের কবিতা)
যদি এমন হতো, খুঁজলেই পেতাম তোমার নগ্ন হাত
তোমায় নিয়ে আপন মনে ঘুমহীন কাটত সারারাত?
যখন তোমার চুলগুলি এলোমেলো বাতাসে যায় উড়ে
তখন আমি থাকি তোমার হতে যোজন যোজন দূরে!
যেইদিন মরে যাব, ভবে তোমার থাকার উপায় নাই
তুমিও যাবে হারিয়ে শূন্যে, যখনই অজানায় হারাই।
আসলে আমরা একটা ব্লগে কি চাই?
সবাইকে এই কথাটাই মনে রাখতে হবে ব্লগিং কোন পেশা নয়। ব্লগিং করা সবারই একটা নেশা। এখানে প্রতিযোগিতার চেয়ে সহ অবস্থানটাই, সবার আগে বিবেচ্য। এখানে যে যা পারছে যে যা ভাবছে তা অন্যের কাছে প্রকাশ
আড্ডা|
৩১ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫৮০ বার দেখা
| ৪৪৮ শব্দ ১টি ছবি
নিজের পানে দৃষ্টি ফেলে রাখি
একজন মানুষ আজীবন একাকি
______________________________
★
নতুন বছরে পাপার দেয়া নতুন ডাইরি খুলে প্রথম পাতায় পাপার লিখাগুলো পড়ে ফোরে পড়ুয়া বাবুটা ওর ছোট্ট হৃদয়ের বাবু চিন্তাগুলো এলোমেলো ধাপ হেলায় অতিক্রম করে ওকে হাসায়!
‘ পাপাটা
জীবন চলার পথে স্বজনপিরিতি না থাকলে
জীবন অচল ঠিক ব্রিস্ট্রিশ দের রেখে যাওয়া
রেলগাড়ির মত !
সম্পর্ক টেনে নিয়ে আসে স্বজনপিরিতি
ঠিক রজনীগন্ধা আর পাপড়ি শুকে গেলো
মাটির ঘ্রাণ পাওয়ার মতো;
এক সংসার মন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে স্বজনপিরিতি
ঠিক উইপুকার মতো-
হায় স্বজনপিরিতির কাছে
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৫ বার দেখা
| ৫৭ শব্দ ১টি ছবি
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেঁতলানো বোধ, ইস্রাফিলের শিঙা
কুণ্ডলি পাকিয়ে উড়ে যাক দখলদারের স্বপ্ন।
বাবুইয়ের জীবনযাপন প্রণালী যার জানা নেই সে
টেরাকোটার নকশায় খোদাই করে শয়তানি ভোর
পোয়াতি মায়ের মতো অহোরাত্রি দেখে পেটের
বাটা থেকে পান তুলে দাওনি হাতে,কিংবা বাটি থেকে
তুলে রাখা পরিশুদ্ধ বৃষ্টির জল। পান করে আমিও খুঁজে
পেতাম হয়তো অনিল অমরতা, যেভাবে আলগা করে
রাখা মৃত্যু আলিঙ্গন করে, পাঁজরকে
আর বয়ে যায় নদীনির্বাহে, নরকের দিকে
দাওনি খোঁপা থেকে তুলে রক্তজবার পাপড়ি
লাল রঙের আভা দেখে পৌষের ভোর যেমন
লুকোয় মুখ,
ওরা কি শুনেছিল ঘুম ভাঙা সকালে
এক মৃত্যুপুরীর আহ্বান ?
দেশভক্ত নাগরিকের দল
কবে জানি একটা মৃত কুকুরের লাশ নিয়ে
পঞ্চায়েত ডেকেছিল
কুকুরটির সনাক্তকরণে তার পরিচয়
পদিন কাগজে কলমে সম্পাদক
প্রথম পাতায় ছেপে দেন
তার আজীবন দেশভক্তির কথা পড়ে
মানুষও লজ্জা পেল
কিছু মনখারাপ আর বিদ্রুপের রং তুলি নিয়ে
এক চিত্রকর সমাজের হিংসা আর
তোমার অনেক ধনসম্পদ অর্থকড়ির পাহার,
তবে কেনো অসহায় গরীব পায়না ভাগ তাহার?
কেনো অন্তরে তোমার এতো ঘৃণা অহংকার?
তুমি কি দেখনা অন্নহীন মানুষগুলোর হা-হা-কার?
তোমার আছে অট্টালিকা আছে প্রাইভেকার,
অসহায় গরীবরা খোলা আকাশের নিচে দিচ্ছে চিৎকার!
ঘর নেই দুয়ার নেই- নেই মাথার উপর ছাদ!
তুমি কি শুনতে পাওনা তাদের সেই