চোখের দোতারে এক পাখি বসে আছে
আমার সমস্ত শিরা দোলনার গুন
জীবন কোথাও যদি কম করে বাঁচে
জন্মদিন-পাতা খুলে আবার নতুন দুই-এ ঘোরা তানপুরা-পাখা সিলিংয়ের
বাংলাভাষার চুমু — অ, আ থেকে খিও
রোদের নরম ছাঁট, ভোরসেনাপতি
সবাই ঠিকানালেখা চিরকুট নিও ঘিরে ব’সো তাকে ওই পাখির পালক
যত জল মেঘদায়ী, আশাবরী লোক
বলো: এ

[তিনপর্ববিশিষ্ট মাত্রাবৃত্ত] ঝাঁঝালো সকাল রোদেলা দুপুর মিষ্টিবিকেল
পায়ে পায়ে সেযে হেঁটে যায় নিজে ফুরায় না পথ
সময়ের ঘুড়ি করে ওড়াউড়ি যেন একরেল
কচ্ছপগতি হোক না সে অতি অবিরাম রথ।
পার হয় চর বিশাল সাগর এই তার খেল
আমায় সে দলে ছুটে যায় চলে নেই ফুরসৎ
খেলে আলোছায়া কীযে মহামায়া আর হিম্মত
আমার

আমার চারাগাছ মেয়ে
বলতে গেলে এখনও কুঁড়িই আছে
এখনই সে একা একা স্কুলে যেতে যায়
একা একাই স্কুল থেকে ফিরে আসতে চায়! তার সাদা চোখ সবকিছু সাদা-ই দেখে
লাল,নীল, কালো, বেগুনি বুঝে না
তার টোল পড়া গালে যেমন চাঁদ উঠে
সে ভাবে সবার-ই গালে অমন সূর্য ফোটে! আমি কতো বলি মা, পথ

হে প্রণয়ের ঝড়, তালুর ম্যাজিকে নেমে এসো
আবহাওয়াবিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে,
অলৌকিক প্রলয়ে ভাসাও ক্ষুধার্ত শহর। লণ্ডভণ্ড করো, কপাল জুড়ে ধ্বংস আঁক
চোখের মাঝে তুলো ঘুমের সারেগামা। কে শুনে এ আকুতি! আর তাই ঘুম বাদ দিয়ে একলা একলা হাঁটি,নির্ভাবনায়। মাঝে মাঝে ভ্যাপসা গরম এসে সঙ্গী হয় ক্ষণিকের। বুঝতে পারি

রাস্তার দুই পাশে যতদূর দৃষ্টি যায় লাইন ধরে সব সুন্দর সুন্দর বাড়ি ঘর, এলো মেলো ভাবে কোন বাড়ি নেই। অধিকাংশই সিরামিক ইটের রঙের মত দেয়াল, উপরে লাল টালির দোচালা ছাদ। প্রতিটা বাড়ির সামনে সুন্দর করে

দুঃখ আমায় পুড়িয়ে মারে
দুঃখ আমায় জ্বালায়
বানের জলে দুঃখ এলে
সুখ পাখিটা পালায় অতল সাগর দুঃখে ভাসি
দুঃখে ভাসি নদী
অষ্ট প্রহর বইতে থাকে
দুঃখ নিরবধি দুঃখ ধরে আছাড় মারে
দুঃখ মারে লাথি
হাবুডুবুর দুখ সাগরে
দুঃখ জীবন পাতি দুঃখে করি ঘর সংসার
দুঃখ বানায় দাস
দুঃখ সময় দুঃখ দিয়ে
করছে জীবন নাশ দুঃখে কাটাই দিবস রাতি
দুঃখতে নিশ্চুপ
দুঃখ

অনেকটা বাবুই পাখির মতোই জেগে উঠেছিলাম, এই শতাব্দীর
প্রথম প্রহরে। পুষ্প আর বৃষ্টি হাতে, মাঠ-ঘাট-তৃণ ও তারার
মায়ায়, আরেকটি জন্ম বরণে।
জন্মের জ্যোতিই প্রেম, উৎসবের আনন্দই গতি। যারা জ্যোতি এবং গতিকে দর্পণে খুঁজে, হয়তো’বা তারাই
এক সময় পেয়ে যায় মনের মানচিত্র। কোনো ভূমি-বৈভবই আমার আরাধ্য ছিল না।
ছিল না বিত্তের ঋজু

যতই লম্বা হোক
সব পথই শেষ হয়
শেষ হলে রেখে যায়

বেশ অনেক বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের একটা সাক্ষাতকারের কথা মনে পড়ছে — সত্যজিৎ রায় শান্তি নিকেতনে চারুকলা বিষয়ে পড়াশুনা করছিলেন। যখন কবি গুরু মারা গেলেন তখন সত্যজিৎ রায় চারুকলা পড়া ছেড়ে যাচ্ছেন শুনে শিক্ষক জানতে চাইলেন কেন চারুকলাতে গ্রাজুয়েশন না করে চলে যাচ্ছেন। সত্যজিৎ রায় জবাব

একলা একা কোথায় উড়ি
হারিয়ে গেল সোনার নুড়ি। মনটা আজ স্বপ্ন মাখা
থরে থরে সাজিয়ে রাখা। মেঘলা আকাশ ছুঁয়ে গেল
স্বপ্ন গুলো কুড়িয়ে নিল। চাঁদের গায়ে জোসনা মাখা
নিশীথ রাতে তাকিয়ে থাকা। কোথায় আছো চাঁদ কুমারী
দেখছি আলোর ছড়া ছরি।

সেদিন দুটো খাম এসেছিলো ছেলেটির কাছে। প্রথম খামটি সকালবেলা এসেছিলো। আলপনা আঁকা বড় আকারের খাম, ভেতরে একটি লাল কার্ড। গোটা অক্ষরে শিরোনাম লেখা ছিলোঃ “পরীর শুভ বিবাহ।” বাকি লেখাটুকু পড়তে পারেনি ছেলেটি, দুচোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিলো অবোধ কান্নায়। শ্রাবণের বরষা নেমেছিলো দু’গাল বেয়ে। আর দ্বিতীয়