আর কতোবার গোলাপ হাতে তোমার সম্মুখে
হাঁটু গেঁড়ে বসবো—? বলতে পারো আর কতোবার?
বলতে পারো, এক জনমে আমার কয়টা জীবন
বলতে পারো, আর কতোবার করতে হবে প্রেম নিবেদন?
সমস্ত আকাশ বুকে ধারণ করে যে চিল উড়ে
সেও তো বেশ আছে, আকাশ, সমুদ্র, নদী, অরণ্য
তার কতো কাছে, কতো আছে—–!
মাঝে মাঝে
তবে তুমি ফিরে যাও ঈশ্বর
এ বড় নষ্ট পৃথিবী
নাচঘরে শুধু কাঁচা মাংসের গন্ধ
অচল মুদ্রায় বিক্রি হয় ব্যক্তিগত সুখ।
কোনকিছুই নিষিদ্ধ হতে নেই
যে মন্ত্রে বেঁধেছি শরীর সে বড় ভয়ংকর
উষ্ণ ধোঁয়ায় পুড়ছে মোর জমানো বীজ
নিষিদ্ধ বৃক্ষের নীচে বসেছে এক যোগী।
ঈশ্বর এবার ফিরে যাও
যে লাটিম ঘুরছে নিস্তব্ধ পৃথিবীতে
শেষের খেয়া ধরবো বলে
বসে আছি পাড়ে
ঘুমিয়ে গেলে খেয়ার মাঝি
ডাকবে কি আমারে
ঘুমিয়ে যদি পার হয় বেলা
খেয়া ছুটে যায়
কিংবা যদি জায়গা না হয়
মাঝির ঐ খেয়ায়
তখন আমায় কে তরাবে
কে দেখাবে দিশা
হাত বাড়াবে কেউ কি আছে
নামলে অমানিশা
বুকের কোনে যত্ন করে
রাখবে কি কেউ মোরে
জাগিয়ে দেবে হারাই যদি
মায়া মোহের
মিষ্টিরোদের অশ্লীলতার ছোঁয়া কেউ দেখেনি !
শুধু দেখেছিল আঁকাবাঁকা কঞ্চিপাতা, আদামরা
তৃণঘাস কচিলতার আর কিছু বসন্ত হাওয়ারা-
ফুরফুর করেছিল -কেউ তা বুঝেনি -বুঝেনি;
সে ক্ষণ পেরিয়ে দুপুরেরর চৈত্রখরা-
খরা কাটতে না কাটতে সন্ধ্যার বিষন্নতা
একটু ঘুম মাঝে মাঝে র্নিঘুম তারা !
বারবার পলকৃত
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২১ বার দেখা
| ৭৪ শব্দ ১টি ছবি
খোকা আমার যুদ্ধে গেছে পাঁচ মাস ধরে
লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ফিরবে আবার ঘরে।
খোকা আসবে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে
এই ভাবনায় মায়ের রাতদিন কাটে
পথের দিকে মা জননী চেয়ে থাকে
এইতো বুঝি খোকা আসছে হেঁটে।
তোর জন্যে রাখা আছে বরণ ধানের
চিঁড়া বিন্নি ধানের খই, গাছে আছে
নারিকেল আর পুকুর ভড়া
বৃথাই কল্প পথ চাওয়া। আসে না কেউ চন্দন হাতে সাজাতে
সকাল। কাল থেকে মহাকাল বয়ে যায় ভাটিতে। যেতে চেয়েও
হয়না যাওয়া। সীমানার দখিনে যে দেয়াল, তা ডিঙিয়ে ওপারে
যেতে পারলে হয়তো পাওয়া যেতো দেখা সমুদ্রের। দ্বীপের পর
দ্বীপ, বাসিন্দারা সবাই দেখেছে কালাপানি। কাটিয়েছে জীবনের
দ্বীপান্তর। অন্তর আর পরাণের পার্থক্য