বাঁশের সাঁকো দেখলেই মনে পড়ে যায় বিদ্যালয় স্মৃতি
ভুল শুদ্ধতার কাটাকাটিতে ভরে যায় তখন মন জ্যামিতি;
কী ঝড় কী তুফান আমরা সাঁকো পেরিয়ে যেতাম বিদ্যালয়ে
ফিরতাম বিকেল হলেই সাঁকো ধরে আপন আলয়ে।
খোয়াই নদীর উপর সেই বাঁশের সাঁকো
ফিরে যেতে সেখানে মন এখনো করে আকুঁপাকু;
কত হাসির টাট্টায় কেটে যেত পথের পর পথ
বান্ধবীরা এক সাথে থাকার সেদিন নিয়েছিলাম শপথ।
কেউ সাঁকো পা রাখতেই জলে টুপ করে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ
ওঠতো সুর হাসির কুচকাওয়াজ
ভয়ে দুরু দুরু বুক কাঁপে, ভয় দেখায় কে কারে;
যেতে হত তবুও সাঁকো বেয়ে ওপারে।
আমাদের ভালোবাসার খোয়াই নদী
আজো বয়ে যায় জল কলকল নিরবধি;
তার বুঁকে কত সাঁকো একদা হতো তৈরী
ভয় হতো খাড়া সম্মুখে আবহাওয়া হলে বৈরী।
এখন নদীর মাঝ বরাবর ব্রীজ আছে,পিলার সাজানো থরে থরে
মানুষ এখন আগায় পথ কত সুবিধার হাত ধরে
আমাদের খোয়াই নদী শীতের শুকনোতে ভাসে বালিচর
এখন যে বৃদ্ধা, যৌবনাবতী তখন ছিল, সাঁকো বুকে নিয়ে বেঁধেছিল ঘর।
বিদ্যালয়ের পোষাক পরে আমরা বান্ধবীরা সাঁকো ধরে
এগিয়েছি পথ, কখনো ঝাপটে ধরেছে অথৈ বৃষ্টি ঝরে;
সেই স্মৃতিগুলো আজও মনে আছে গেঁথে,
সেখানে যদি পারতাম ফিরতে, উঠতাম আবার সুখে মেতে।
(ক্যানন ৬০০ডি, জিন্দাপার্ক, নারায়ণগঞ্জ)
loading...
loading...
আমাদের খোয়াই নদী শীতের শুকনোতে ভাসে বালিচর
এখন যে বৃদ্ধা, যৌবনাবতী তখন ছিল, সাঁকো বুকে নিয়ে বেঁধেছিল ঘর।
loading...