১।কোন এক ভোরের কুয়াশা আলোয় মিষ্টি রোদ্দুরের অপেক্ষায় ছিলাম বিভোর
শিশির ঝরেছিলো টুপটাপ…… শীতের শিহরণে কেঁপেছি আর উপভোগ করেছি
প্রজাপতি প্রহর। হলুদ ফুলের ঘ্রানে কে না বিভোর হবে শুনি-এমন মুগ্ধতা শুধু একটি দুটি হাজারটি কুয়াশা ভোরই দিতে পারে। প্রজাপতি মেলেনি পাখা- প্রজাপতি আর আমার সখ্যতা চোখের পড়ার মতোই ছিল….দুজনেই অপেক্ষায় ছিলাম এক চিলতে মিষ্টি রোদ্দুরের।
—————————-
হাবিজাবি ফটো নিয়ে আবার হাজির হলাম। এবারও ট্রেন থেকে কিছু ছবি, আবার কুয়াশাসিক্ত ভেজা আবার পুরোনো স্মৃতি রোমন্থণের ছবি নিয়ে সাজিয়েছি পোস্ট। আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের। কারো একটু ভাল লাগলেই কষ্ট করা পোস্ট সার্থক হয়। আমি যদিও নিয়মিত উপস্থিত হতে পারি না ব্যস্ততার দরুন। তবুও পোস্ট করার লোভ তো আর চলে যায় না। পোষ্টে দেরী করে মন্তব্য আপনার প্লিজ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি বুঝবেন- এই শহরের মানুষ কতটা ব্যস্ততায় থাকে। আর একজন চাকুরীজীবি মহিলার ব্যস্ততার তো কথাই নেই। নানান ঝামেলা সারাদিনই থাকে। স্কুল অফিস বাসা সংসার লেখালেখি মোট কথা এক ইঞ্চি সময় নিজের জন্য ব্যয় করা কষ্টকর। অনেকেই ভাবেন পোস্ট দিয়ে চলে যাই এটা একটা অহংকারের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু অপারগতা আমার জানিয়ে গেলাম। আমাকে বুঝে নিবেন।
আমার দেশের ছবি। ভালবাসার ছবি-একেকটা মুগ্ধতার মুহুর্ত ক্যামেরার শাটারে বন্দি করতে পেরে যারপর নাই ভাল লাগে খুবই ভাল লাগে। হয়তো ছবিগুলোর কোন মূল্য নেই আবার আছেও অনেক অন্তত আমার কাছে। এসব ছবি দেখলে আবার ছুঁতে মন চায়। আর ক্যাচাল নয় স্ক্রল ঘুরিয়ে দেখে নেই ছবিগুলো……… এই পর্যন্ত ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন সবাইকে নিয়ে।
২। মন বাড়িয়ে ডাকছি সখি – আয়না কাছে আমার
মনে আমার গড়েছি দেখ্ -তোর প্রেমেরই খামার।
ভাসব দু’জন সুখের জলে-চল্ না পাশাপাশি
আনন্দেতে হোক্ না একদিন-সুখে ভাসাভাসি
সাঁতার কাটব ঢেউয়ে ঢেউয়ে-ছলাৎ ছলাৎ জলে
ছুঁয়ে দিবো মন তোর হঠাৎ-ভালবাসার ছলে।
৩। অথৈ ঢেউয়ে ভাসতে থাকে যন্ত্র দানবগুলো….. জলের মাঝে ছেড়ে দেয় ওদের বিষাক্ত নি:শ্বাস। জল হাহাকারে কেঁদে উঠে-জলের বুকে মাছেদের গায়ে লাগে কালো জলের স্পর্শ-ব্যথায় কুঁকড়ে যায় মাছেরা-গায়ে ঢুকে যায় ওদের বিষ। আর আমরা সে বিষ খেয়ে ফেলি রেঁধে নির্দিধায়। এই যে নদী তোকে নিয়ে কত গান আছে জানিস-তুই যেমন সর্বনাশা পদ্মা নদী তেমনি তোর বুকে লুকানো কত ধন রত্ন । তবুও তোকে আমরা অবহেলায় ভাসিয়ে দেই-বিষাক্ত ধোঁয়া তেলের বজ্য আর তুই কেঁদে যাস নিরবে কেউ দেখে না চোখ মেলে। আর তোর উপরে আরো শক্তিশালী দৈত্য দানব ছুটে চলে তারা নিত্যই করে চলেছে বাতাস দুষিত। আমাদের করার কিছুই নেই-ভারসাম্য হারায়/হারাবে পৃথিবী।
৪। আহা সেই মুগ্ধ প্রহর, সেঁটে রেখেছি বুকে, ক্যামেরার ক্লিকে। পৌষের রোদ্দুর দুপুর চারিদিকে উষ্ণ মিষ্টি রোদ্দুর আর ঝিরিঝিরি হাওয়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছুটা পল। মেঠোপথ ধরে আনমনা হেঁটেছি নগ্ন পায়ে। তুমি তো শহুরে-আমার পায়ে পা রেখে চলতে শিখোনি- কখনো মুগ্ধ হতেই জানো -না। খুব ইচ্ছে এমন রোদ্দুর বেলা তুমি থাকো পাশে আর গল্পে খুঁনসুটিতে পথ চলি কিন্তু আমার এসব আশায় গুঁড়ে**ি। যাক মুগ্ধতা শুধু আমি একাই কুঁড়াই বুকের বামে তুলে রাখি স্মৃতি রোমন্থন করার মতো সয়গুলো। তুমি চাইলে বুকের আগল খুলে দিয়ে দিতে পারি আমার সকল মুগ্ধতার ক্ষণ ভালবাসার ক্ষণ-শুধু তুমি ছুঁয়ে দিয়ো মন আমার আলতো।
আমাদের গ্রাম…….
৫। নীল কুয়াশায় ঢেকে যায় সকাল কিংবা একটি গোধূলি বেলা
মাঠ জুড়ে তবু অবারিত সবুজেরা নিত্য বসায় সজীবতার মেলা
এখানে কৃষকের ক্লান্তি নেই-নেই ভ্রান্তি-কিংবা চোখজুড়ে মোহ
এখানে পেট চালায় খিদের তরে খেটে খাওয়ার এক দ্রোহ।
এখানে শীত বন্দি রাখতে পারে না মখমল বিছানার আরাম
এই আমার দেশ সবুজ শ্যামল এইতো আমার ছায়ামীয় গেরাম।
ক্যানন ৬০০ডি (ট্রেন থেকে তোলা) ক্যাপশনও চুরি যায় গা -আজিব
৬। তুমি শুধু শহরমূখী হতে চাও, কি পেলে বলতো ইট পাথরের এই শহরে
যেখানে যন্ত্র দানব অট্টহাসিতে ছুটে চলে পিষে নেয়ার জন্য….. শুধু রাতের রঙবাহারী আলোয় খুঁজে নিলে সুখ। আরে একবার চোখ ফিরিয়ে গাঁয়ের দিকে দেখো। এখানে কতটা সজীবতা পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে। এখানে গাছে গাছে ঝুলে থাকে সবুজ। পাতায় পাতায় শিশিরের স্নিগ্ধতা। আমি জানি তুমি শুধু মুগ্ধতায় একবার তাকালেই সবুজে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করবে। এসো তবে-আমার সেই ছোট গাঁয়ে। রইলো বন্ধু তোমার নিমন্তন্ন। কি আসবে তো?
ধুন্দল ঝুলে আছে বাঁশের মাচায়
ঝুলন্ত সবুজ আমার মনটা নাচায়
কেনো যে বন্দি থাকি শহুরে খাঁচায়।
৭। শহরে বসে মহানন্দে ফরমালিন গিলি-আহা। এমন সজীব প্রহর -সজীবতার ছোঁয়া কেবল মায়াময় ছায়াময় গ্রামেই পেতে পারি। টাটকা খাওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে গেলো শহরমূখী মানুষের। এখন আর টাটকা কিছু খেতে পারি না -শুধু ভয়ে মরি। হয়তো কখনো সময় হলে ছুটে যাবো মায়ের কাছে -গাছ থেকে পেড়ে খাবো ফরমালিনমুক্ত ফল-ফলাদি। সে পর্যন্ত অপেক্ষায়……….
৮। সেই নিদ্রাহীন প্রহরের কথা তোমরা ভুলে গেছো? না, এ তো ভোলার স্মৃতি না। আহা সেই মেয়েবেলা উঁকি মারে মন জানলায়। তুমি আমি আমরা ভাই-বোনেরা কত হট্টগোল প্রহর- সে আর ফিরে আসে না। তবু ভেবে নেই-হাতড়ে ফিরি ক্যারাম প্রহর। মায়ের বকুনি রাত জাগা পাখি’রা থোড়াই কেয়ার করি- খানিকক্ষণ নিশ্চুপ। ফের ঘুমানোর শব্দ কান পেতে শুনি- আবার ফিরে যাই টুসটাস ক্যারাম মুগ্ধতায়। ফযরের আযানে সম্বিত ফিরে পাওয়া রাতজাগা পাখি’রা নামায পড়েই বিছানায় সটান শুয়ে হারিয়ে যেতো স্বপ্ন ময় জীবনে। দুষ্টামি আর খুঁনসুঁটিতে ভরা সেই রাত্রিগুলো আর নেই এখানে। এখানে যন্ত্র চেপে ধরেছে-বন্দি করেছে যন্ত্র জেলে। লাল নীল হলুদ স্বপ্ন এখানে নেই আছে শুধু বিষন্নতা আর কর্মময় জীবন-ঝাঁপিয়ে পড়ো নিদ্বির্ধায়। ব্যস এইতো জীবন।
৯। ও মাঝি তুই গেলি কোথায়-একলা আমায় ফেলে
তোকে ছাড়া অথৈ জলে-লাগছে এলেবেলে।
হাতের বৈঠা থুইয়া গেলি- নাও যে ডুবো ডুবো
মধ্য নদীর মাঝে আমি -কেমনে একলা রবো।
আয় না মাঝে পার করে দে-প্রেম শিখাবো তোকে
মাঝ নদীতে প্রেমের ঢেউয়ে-ঝড় উঠাবো বুকে।
ভালবাসার এমন প্রহর-ছেলে গেলি আমায়
দেখ না এসে চুপসে আমি-কষ্টে মন’টা ঘামায়।
১০। আমার বাড়ি আইয়ো বন্ধু -খাইতে দিমু কলা
ফরমালিন নাই সবরি কলা-নয়কো ছলাকলা wink
সবুজ কলা কচকচাইয়া-চিবাই চিবাই খাইবা
একটা খাইলে আরেকটা যে- খাইতে আবার চাইবা big_smile
কলার বাগান সবুজ বরণ- ফ্যালফ্যালাইয়া দেখবায়
ছলাকলা খাইয়া বন্ধু-এত্ত পদ্য লেখবায়। :v
১১। শিশির স্নানে মগ্ন পাতা
রোদ বসালো মায়া
একখানেতে আলো জ্বলে
অন্যখানে ছায়া ।
ভোরের শিশির স্নিগ্ধ সকাল
রোদ ঝরালো আলো
আলোর তাপে মাঘের শীতে
লাগে বড় ভালো।
১২্। এই তো আমার দেশ, কুয়াশার ফাঁক গলে ভেসে উঠে সবুজ। যেখানে কৃষকেরা বপন করে যায় সবুজ ধানের থোকা। এইতো ক’দিন বাদে মাঠজুড়ে উড়বে সোনালী ডানার চিল। আহা ধূঁধূঁ হাওয়ায় দুলে যাবে ধানের শিষ। চোখের কোণে মুগ্ধতার রেশ-মনে শান্তির আভাস। আমার দেশ-যেখানে স্বপ্ন ছুঁয়ে থাকে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে- খাল বিল নদী নালার স্বচ্ছ জলে উঁকি দেয় শরত কিংবা গ্রীষ্মের নীল আকাশটা। মেঘের পরতে পরতে উড়তে থাকে নীল শুভ্র স্বপ্ন। টলটলে জলের আয়নায় স্বপ্নগুলো ভাসায় সুখের ভেলা। এইতো- আমার দেশ আমার অহংকার আমার গর্ব। ভালবাসি বাংলাদেশ।
loading...
loading...
সুন্দর ছবি।

loading...
লাফানো ফুল পেয়ে ধন্য আমি হাহাহাহা
অনেক ধন্যবাদ
loading...
ছবিময় পোস্ট আমার কাছে বরাবরই অসাধারণ লাগে।
ছবির সাথে ছবি’র কথোপকথন পোস্টটিকে অসাধারণ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
অভিনন্দন প্রিয় শব্দবন্ধু এই মেঘ এই রোদ্দুর।
loading...
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই। জাজাকাল্লাহ খাইরান
ভাল থাকুন পাশেই থাকুন
loading...
পাশে আছি জনাবা।
loading...
loading...
অসারণ পোষ্ট। বহুদিন পর আপনার উপস্থিতিই বদলে দিচ্ছে শব্দনীড়ের অবস্থা। আমরা আশাবাদী হয়ে উঠছি। আবার জমবে মেলা হাটখোলা, বটতলা—-। কিছুদিন আপনার নিয়মিত পোষ্ট দাবি করছি।
শুভ কামনা।
loading...
ইনশাআল্লাহ সাথেই আছি। তবে আগের চেয়ে একটু স্লো বেশী । এটা ঠিক করতে হবে ।
অনেক ধন্যবাদ মালেক ভাইয়া
loading...
বাপরে বাপ পারে ও বটে কবি,,,,,,,,,,দারুন ছবি কবিতা,,,,,,,,,,,,,,,,,,
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ কবি। ভাবছি ক্যাপশন গুলো একসাথে গুছিয়ে রাখব
loading...