চুপ করে শুয়ে থাকতে থাকতে একটা প্রশ্ন মাথায় এল। আচ্ছা, আমরা “রিভিলিং ক্লোদস” কথাটা বলি কেন?
এক
পোশাক শরীরকে আচ্ছাদন দেয় — যে-পরিমানে প্রতিটা মানুষ নিজেকে নিজের মতো করে নগ্নতা আর প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে আড়াল করে। [সেই সঙ্গে নিশ্চয়ই ঢেকে রাখার ধরণটা যতখানি সম্ভব সুন্দর
তোরা তো শুধুমুখে বড় হয়ে গেলি!
আতাগাছ থেকে পড়ে কনুই ভাঙল না ক্লাস ফাইভে, সাঁতার শেখানোর নামে পাড়ার টিকাশদা কলপুকুরে ছেড়ে দিল আর প্রাণ বাঁচাতে জলে হাঁচোড় পাঁচোড় করে ভাসনশিক্ষা ও জীবনের ব্রহ্মজ্ঞান – দুইয়ের কোনটাই হল না তোদের। মাঝরাতে পাতিশেয়ালের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে মাকে
জীবন|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭৫ বার দেখা
| ২১২ শব্দ
১
আমার ভালোবাসার সামনের দুটো দাঁত ফাঁকা
ভালোবাসলে বীভৎস দেখায়
২
ইরানি ট্রফির প্রথম পনেরোতেও যেদিন আস্তানা দিলে না
তবে থেকে ঘুমের হসসোউকার খুলে হাওয়া
আজ অবসর ঘোষণার পর যন্ত্রণায় দাঁড়ি পেল মুটিয়া মন
শুধু ভারি চোখদুটো
শুক্রথলি ভারি হয়ে আছে
৩
আমার লাইফ রজনীকান্ত্
একমুখ দাড়ি কেটে চুলটা একটু ফুলিয়ে নিলেই ছাপ্পান্ন সপ্তাহ
কিন্তু
আমি এমন ব্যবস্থা রেখেছি
সব তান্ত্রিক নিভে গিয়েও আমার ধুনি জ্বলে!
মেঘের গর্জন শেষে মৃদু হাসি বইতে থাকে — ভোর,
আমি এমন লাইনঘাট করেছি
যোগ ও মায়া — দুটির একত্র বলে
নিজেকে উদ্ধার করেছি, আমার
রতিমোক্ষ শরীরে হয়েছে
আর মন ধুনুচিধোঁয়ার মতো অনর্গল ভয় তুলে তুলে
ওই দেখো, ভস্মমাখা ছাই
চলাচলই আমার
যেভাবে বুকের মধ্যে বরবউ নামিয়ে খালি রিকশা ফিরে যায়
যেভাবে সাদা সন্দেশ হয়ে অনুরোধের রোদ ফুটে আছে
যেখানে বেড়াল বাচ্চা-পাড়ার জায়গা খুঁজছিল — মাথায় গুলাম আলি খান
সকালবেলার সুর চন্দনসমান
প্রতিদিন দশ মিনিট আকাশের ক্লাস
খবরদার কেউ যদি সূর্য দেখে চোখের পলক ফেলেছিস!
না হলে কী করে হবে পায়েসগাছ
বেঙ্গালুরু থেকে আলোদ্যুতি লিখে পাঠিয়েছে:-
“বাসে মেয়েটার পাশের সিটে একটা ছেলে এসে বসল। প্রথমে তো মেয়েটা শরীর গুটিয়েটুটিয়ে সরে গেছে জানলার দিকে, মুখে কোঁচকানো বিরক্তি। আর পুরুষ মনে মনে অপ্রস্তুত। কিছুক্ষণ যায়, বাসের আচারমাখা ঝাঁকুনিতে ঢিলে হয়ে আসে বিভাজন, মেয়েটার শ্লথ হাত এসে পড়ল
আবার আকাশ কালো। কালো ঘোর। লেখাতে।
হাতে-পায়ে এত লেখা জমে আছে দেখে
আল কেটে দিই, হু হু করে ঝিনুক ভরে ওঠে।
আমি ধমনী-কলম দিয়ে পথ করে সেই লেখা
তুলে নিয়ে যাই কখনও কচুপাতায় এই পড়ে যাব ভয়ে ভয়ে
তো কখনও দশম মান বিনুনির ভেতর;
বিষ-দুপুরে বিধবার গোগ্রাসে, তো
ছোটবেলার রাস্তায় একটু
চোখের দোতারে এক পাখি বসে আছে
আমার সমস্ত শিরা দোলনার গুন
জীবন কোথাও যদি কম করে বাঁচে
জন্মদিন-পাতা খুলে আবার নতুন
দুই-এ ঘোরা তানপুরা-পাখা সিলিংয়ের
বাংলাভাষার চুমু — অ, আ থেকে খিও
রোদের নরম ছাঁট, ভোরসেনাপতি
সবাই ঠিকানালেখা চিরকুট নিও
ঘিরে ব’সো তাকে ওই পাখির পালক
যত জল মেঘদায়ী, আশাবরী লোক
বলো: এ
অটো-সবুজ গাছপালা
মেঘ ভেসে যাওয়ার শব্দে
গৃহে যে শ্যামলী থাকে, চার পা, ডাকছে
যেখানেই জল, সেটি পৃথিবীর শিরা
ফাঁকা মাঠে শস্যের কীর্তন শুরু হল
মিঠে ও শমিত এই বোলে
একদিন, স্তন নিচু, আমাকে কুড়িয়েছিলে, ফুল!
নিজের দীপ্তি নিভে সবচেয়ে শান্ত এই সন্ধে হয়ে যাওয়া,
যখন একটু গলা টানতেই মুখে অস্তিত্ব উঠে
আকাশ ভরে পংক্তিগুলো লিখি
জীবনের এই প্রথম আকাশ, লম্বা শোভন পাখিদাগ দেওয়া
আমি আজ ছুটি থেকে ফিরেছি — যেখানটায়
আকাশের সাদা সোমবার সবুজ ঝাঁক বেঁধে সাঁতার কাটছে
একতলা ছোট ছোট ঘর আকাশের, হালকা-য় সময়ভর্তি করা।
আমি ঘুমিয়ে পড়লে এমন আকাশ মাথার বালিশ হয়ে দেখা দিয়েছিল
এক এক দিন হয়
ও ডোরিন, চায়নার চাইনিজ মেয়ে, তুমি অবিভাজ্য এ-কথাই সবাই বলেছে। তোমাকে কি ছোট ছোট রক্তমাখা পিরিয়ডে ভাগ করা খুব মুশকিল?
তুমি ফর্সা, আবার এশিয়ারমণী; কমিউনিস্ট, কিন্তু মঠে যাচ্ছ প্রতিদিন। মায়ের রহস্য, বাবার সংশয়, ভাইয়ের বিদ্রোহ আর কাকার তথাস্তু মিশে তোমার চোখের সমস্ত ভুরু পর্ণমোচী।
এই যে আমাদের শিউলিকুঞ্জ
নিচে সাদাগেরুয়া বেড়াল বসে আছে
যাহ, বেড়াল উঠে হাঁটন দিল
ছেলেপেটানো হুহুংকার পাশের বাড়িতে
বাড়ির পরিধি সুপুরিগাছ, বৃত্তচাপ নারকোল
আর মা ফলেষু হচ্ছে দামড়া পেঁপেউদ্ভিদ, কাতমারা
নিচে ভিখিরি দাঁড়িয়েছে — অত্যন্ত খারাপ গায়কি
কোচিংক্লাস ছোটবড় নারীছাত্র ঢেলে দিল রাস্তায়
ভেতর দিয়ে সুরুৎ করে হিরো সাইকেল
আমি ঠিক করলাম