চন্দন ভট্টাচার্য-এর ব্লগ
বাগীশ্বরী
এক শিল্পপ্রবন্ধাবলী সবাই পড়েছে, কে পেয়েছে বাগীশ্বরী? বাঁধের সুধন্য জল, ডিপ লাল বিকেলবেলার সিঁড়ি, ঘটের স্বস্তি থেকে চোঁয়ানো সিঁদূর — এইসব বাধাসম্পদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে সে আসে, মিষ্টি কোলকুঁজো।
সোনার দোকানের আলো ফুটপাথে, পা পড়ছে তার ওপর;
একমাত্র তুমি পায়ে আলো চেপে রাখতে পারো। দূরে মাঠে উঁচু আবছা মহাগ্রন্থ খোলা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৬ বার দেখা | ১১৯ শব্দ
(১৯৮০ সালে লেখা) অ্যাসাইলাম সিরিজের কবিতা
কনস্টানটিনোপল বহুদিন চুপ করে আছে
ভরাট টিনের মতো নাম কনস্টানটি
কবে মুখফোঁড় ননদ ছিলেন কবে ক্ষার ঋতুগন্ধা। দুই বিনুনি
পাক দিয়ে মেঝেয় নেমেছে
জোড়া বুক স্ফীত, মোটা, আলো লেগে বরফসৌধ
মূর্তি নিচু করলেও প্রচ্ছায়ার ভূমিকা হয় না
ওর হাতে একটা কমলালেবু দাও
নব ঘুরিয়ে সূর্যাস্ত উপশম করো বদ্ধতার পুরনো অমৃত ছিল
গলে গলে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৭৩ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
ধরিত্রীফুলগাছ
সৌন্দর্য, আমাকে স্নিগ্ধ চোখে চোখে রাখো বাতাস শান্তিপীড়িত, বাতাস কীটবাসস্থান
আর প্রেমিক-প্রেমিকা ফোঁড় আছে অন্ধকারে
সিক্ত-অভিসিক্ত দুই পাখি
গালে ছোট ছোট সুশ্রী চাঁদের কারখানা ওই যে ষোল শাখার ধরিত্রীফুলগাছ
কিছু না কিছু পাপড়ি সবার মাথায় —
আমি সেখানে লেখা কুড়োতে যাই
দেখি রোগা একটা আহারে ইঁদুর, তার দিন শুরু হল
আলো এসে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮০ বার দেখা | ৭২ শব্দ
কম্বাইন অ্যান্ড নো রুল?
এক পেটুক সহকর্মী ছিলেন আমার, কোথাও নেমন্তন্ন পেলেই তাকে ছুটতে হবে, আবার সফরের একাকিত্ব কাটাতে সঙ্গে একে-তাকে ধরে নিয়ে যাওয়াও চাই। আমাকে পাকড়াও করার চেষ্টা করলে বলতাম, সুস্থ শরীরের বারোটা বাজাব কেন মিছিমিছি? তিনি যে সমাধান দিতেন তা ঐতিহাসিক! “আরে, শরীর-টরীর কিচ্ছু খারাপ পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৩ বার দেখা | ৬০৫ শব্দ
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছিঃ ৬
যে-সাবেক সমকালের গা ছুঁয়ে আছে সে-ই ভালোবাসা। অথচ আজ আর গতআজ পরস্পরকে ধ্বংস করে বলেই আমরা জানি। প্রেম থেকে প্রেমে সবকিছু বদলে যায়, এমন ঘোষণাও রয়েছে। যেভাবে মঞ্চ এক রেখে আলোর গরিমা দর্শককে আলাদা দেশলোকে নিয়ে যেতে পারে। নতুন প্রেম রেনেসাঁসের মতো। আসলে ভালোবাসার ইতিহাসকে পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯১ বার দেখা | ২৩৭ শব্দ
শরতের তালা
এই শরতের প্রথম কথা সবাই জানে হলুদ বেড়ে ওঠো
আলোর ছোট ছোট স্তনের ওপর চায়ের গরম ফোঁটা,
আঙুলের ডগায় রক্ত তুলে নারকোলপাতার শীর্ষাসন।
সময় আসার আগে বুঝতে পারছি সময় আসবে
মাইক থেমে গিয়ে গান হচ্ছে কলতলাতে, রেললাইনে, পাখির মাথায়
সকালে উঠিয়া আমি শার্ট পরে তার ওপর গরম লাগছে
শ্বেতপাথরের মন্দির, পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮১ বার দেখা | ১০৭ শব্দ
দুজন ধার্মিক
প্রজাপতির পেছনে ঠিক একটা বাচ্চা থেকে যায় অনেক শৈশব ভেঙে পায়ে জল, কাদা;
অনেক তারা-দূরত্ব থেকে পেটে কিছু পড়েনি বাচ্চার।
এদিকে প্রজাপতি ছুটতে ছুটতে বোনের বাড়ি কিছুটা বসে গেল
দুটো প্রজাপতির গলাও শোনা যাচ্ছে — বাচ্চা এত চুপ! একবার এমনও হয়েছে, বিছানায় অসুস্থ প্রজাপতি
আর বাচ্চাটা উড়ছে, উড়ে উড়ে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮০ বার দেখা | ১২২ শব্দ
(পুরনো লেখা) অগ্নিরথ
ভালোবাসা আছে কিনা এটা কোনো প্রশ্নই নয়
জিজ্ঞাসা হল, হৃদয় রয়েছে তো? না হলে তাকে
আবিষ্কার করো। টেবিলফ্যানের হালকা হাওয়ার
মধ্যে, পাগলা হাতির পুরো গ্রাম দুরমুশ করে
একটা শিশুকে অক্ষত রাখার মধ্যে তাকে চিহ্নিত
করো আর এই লব্ধপ্রতিষ্ঠ মন নিয়ে বেরিয়ে পড়ো পথে
কিন্তু যদি আমার সঙ্গে দেখা হয়, ভেবো পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৮ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
পুরনো কবিতা: তরুজা
প্রত্যেক মেয়ের মুণ্ড মাটিতে সমাধি
প্রতিটা মেয়েলি ধড় মাটির ওপরে বিকশিত
কিছুদূর উঠে দু’পা চরম বিভক্ত হয়ে
ভেতরে আকাশ ডেকে আনে
আকাশের তারাকণা, শস্যদানা, মেঘগয়না মিলে
যে জন্মায় তাকে তোমরা পাখি বলে ডাকো
সে ওই শূন্যতা-সন্ধিতে বসে ঠোঁট মারে
ঘন ঘন মাংসের চোকলা উঠে ফাটল তৈরি হলে
সেখানেই ভিতু নাড়ি জড়িয়ে রাখে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৭৫ বার দেখা | ৫০ শব্দ
হে আমার সন্ন্যাসীরা...
তুমি পাত্রে জল ঢালো
আর পাত্রে জল জমা হয়
আর আধার পূর্ণ হয়ে ওঠে
থাকা আর পূর্ণ হয়ে থাকা সম্পূর্ণ আলাদা
তাহলে কে ভ’রে দেয় — হে আমার সাধকেরা
এই প্রশ্ন রাখি তুমি পদক্ষেপ করো
ও তোমার অগ্রগতি হয়
এ-পর্যন্ত বুঝতে পারি বেশ
তাছাড়াও গন্তব্য নিকটে চলে আসে
তাকে কে এনেছে সামনে
সে কোন পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৪ বার দেখা | ৪৬ শব্দ
পোকা পোকা
এক আলো তোমার মুখের পর্ব ও পর্বমধ্যে পড়ে ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছিল, না মুখটাকে শুধরে দিচ্ছিল আলো — আমি বুঝতে পারিনি। যেভাবে মূর্তিকার প্রতিমার কানের লতির বাড়তি মাটিটুকু ঝরিয়ে দেয়, হাতের নরুন আধাবৃত্ত ঘুরিয়ে ফুটিয়ে তোলে নাকের পাটা, আলো কি এভাবে সংরক্ষণ করতে চাইছিল তোমাকে! তোমার পড়ুন
জীবন | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৪ বার দেখা | ৮৯৩ শব্দ
রাধিকা-সুতোর কাজ
পৃথিবীর মাথায় এক কোকিল বসেছে
দেখছে, অনন্তের কাছে আমরা ক’টা গরীব চিঠি লিখি শাড়ির শীকর এসে অস্নাতের চোখেমুখে লাগে
যদিও তার দুপুরের গোগ্রাসের অস্পষ্ট ঠিকানা
মন দিয়ে মাথা মুছে পরিপাটি চুল আঁচড়েছে তুমি নিজের ছায়াই শরীরে ঘুরিয়ে এনে রাত্রি চাও কেন?
পুতুলের মুন্ডু ছিঁড়ে যে সামান্য রক্তপাত, মানো তাকে
মেনে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৬ বার দেখা | ১০৭ শব্দ
সমস্ত ব্ল্যাকবক্সকে
বাবার অসুখ বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, তাই তুমি ভেঙে পড়তে চাইছো। ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের সুতো ছিঁড়তে বসেছে, সুতরাং চিকিৎসা থামিয়েছ নিজের। তোমার হাজব্যান্ডের ব্যবহার অপমানজনক ব’লে একবেলা খাওয়া বন্ধ করলে। পরিস্থিতি লড়াই দাবি করছে, কিন্তু তুমি হয়তো যুদ্ধের এই মাঠগুলোকে চেনো না। শুধু অন্যের জন্যে পড়ুন
জীবন | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩০ বার দেখা | ৪৫১ শব্দ
(২৫ বছর আগের লেখা) আমার প্রলাপ
দৈব আদেশ পেয়ে তোমাকে ক্ষীর দিয়ে বানাই
কালো একটা তিল বসাই রোগা সাহসটাতে
তোমাকে উপার্জন করার ক্ষমতা
ওই তিল তিল মৃত্যুর মধ্যে আসে
তোমাকে মৃগয়া করি এমন লম্পট জুন মাস
হাত থেকে কেড়ে নেয় একজোড়া ডাহুক-ডাহুকী
বৃষ্টির বুকের কাছে উঠে এসে দেখি
ওপরের ঠোঁট আকাশ, নিচেরটা সমুদ্র
ভেসে যেতে যেতে তোমারই ওষ্ঠমূলে পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯৬ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
পুরনো কবিতা: সূর্যসহকারী
আমার প্রথম পংক্তি সূর্যশ্লোকে ভরা
মাটিকে অচ্ছুত করে গাজর রশ্মিরা
উঠে যায় আকাশের সবজিগুদামে
আমার দ্বিতীয় পংক্তি ঘিরে রাত্রি নামে সবুজ গাছের মাথা মেঘ-সহোদর
মস্তিষ্ক দুফাঁক হয়ে শোণিতশেকড়
টেনে নেয় বোমা গুলি বৃষ্টিদুধ গাঢ়
আমার আহারপাত্রে মৃত্যু বসতে পারো নিচে বিশ্ব, যুদ্ধে যাবে বিকলাঙ্গ সেনা
কিছু খেতচাষি, কিছু নোনতা কারখানা
বিশুদ্ধ প্রণয় তবু পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২৫ বার দেখা | ৬৬ শব্দ