চন্দন ভট্টাচার্য-এর ব্লগ
তরুজা
প্রত্যেক মেয়ের মুণ্ড মাটিতে সমাধি
প্রতিটি মেয়েলি ধড় মাটির ওপরে বিকশিত
কিছুদূর উঠে দু’পা চরম বিভক্ত হয়ে
ভেতরে আকাশ ডেকে আনে
আকাশের তারাকণা, শস্যদানা, মেঘগয়না মিলে
যে জন্মায় তাকে তোমরা পাখি ব’লে ডাকো
সে ওই শূন্যতা-সন্ধিতে ব’সে ঠোঁট মারে
ঘন ঘন মাংসের চোকলা ফেটে ফাটল তৈরি হ’লে
সেখানেই ভিতু নাড়ি জড়িয়ে রাখে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৫ বার দেখা | ৫০ শব্দ
হাস্নুহানা
যখন সূর্যাস্তের এক কোনে হাওয়া-মিঠাইয়ের মতো মেঘ
যখন ইলেকট্রিক তারে থেমে আছে বৃষ্টিফোঁটার রোপওয়ে
যখন খোয়া-ওঠা রাস্তায় ঝাঁকাভর্তি ডিম যাচ্ছে
কী হয় কী হয় সাইকেলে
যখন পাখি নিজেকেই ছয় মেরে মাঠ টপকে চলে যায়
যখন এখান থেকে ওখানে তুলে পোঁতা, তবু
নতুন বউয়ের মতো বেঁচেও তো যায় ফুলগাছ!
যখন ভয় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৫ বার দেখা | ৮৯ শব্দ
কাঁঠালগাছ
সবে ছোট্ট বড় হওয়া, সবে শাড়ি শেখা, সদ্য লজ্জায়
চুলের ফাঁকে সিঁদুর লুকোনোকে দেখি রোজ ভোরে উঠি যখন
রোজ রাজ্যভ্রমণে। তার মাত্র কয়েকশো সন্তান চকচকে, তার
শুধু একটা কোল খালি হবে, একটা বাচ্চা মুরঝানো, সমস্ত গা
লাল — বলছে, আমাকে যেতে দে মা, কেন কান্না করছিস! আশ্চর্য থাকতে থাকতে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০০ বার দেখা | ১৪৮ শব্দ
কবিতা: সপ্লিন্টার
এক
সুখী পরিবার মানে মা-মেয়ের একসঙ্গে পিরিয়ড হয়
হিজড়ে করছে হিজড়ের চরিত্রে অভিনয় তিনি বহুচেরা দেবী আমি সহজ — এই স্তোত্র নির্মাণ করেছি
চেষ্টা যদি সৎ, তবে প্রতিষ্ঠা পরাজয় ছাড়া আর কী! দুই
আমার লেজের নিচে জ্বলন্ত লাইটার রাখল তারা —
নিজের বমি দেখাবো না মিডিয়াকে, বলেছি তো?
বিতৃষ্ণার ভেতরে আছে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬২১ বার দেখা | ২০০ শব্দ
সান্ধ্য বুলেটিন
মন পরাস্ত আছে। আজি সন্ধ্যার সমরসংবাদ এই উড়ন্ত মৃত
দুই কবুতর, আমিষবর্ণ। স্নানকালে শিরস্ত্রাণ খুলিবার ভুল
একবারই করিয়াছিলাম। তারপর হইতে শুধু শিরস্ত্রাণ রহিয়াছে। তবু কিছু স্বপ্ন মাখা এই লৌহজালিকায়। ফর্ম্যালিনে ভেজানো শতাব্দীটি
খুঁড়িয়া দেখিলে মেঘের বুককেসে বৃষ্টিমোহর, বাগানটি সবুজ অশ্বমেধ, আলো সুবর্ণরেখা।
শুধু ভেতরে শূন্যতার এক রথযাত্রা চলিয়াছে।
শুধু পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৫ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
পুরনো কবিতা: জগন্নাথ
যিনি আমাদের জন্ম দিলেন
এবং তার চেয়েও চিরজীবী মৃত্যু দিতে সব সময় প্রস্তুত
সেই অপাপবিদ্ধকে প্রণাম
যিনি আমাদের চালেডালে মিশিয়ে খাওয়ালেন
আর দুমুহূর্তের মধ্যে আদেশ দিলেন কালান্তক ভেদবমি
সেই যমগন্ধবাহী উদ্দীপনাকে প্রণাম যে আচার্য গরমকালে থোকা থোকা কারখানা বসিয়ে
বৃষ্টিকালে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে
এই শরতে তালা খুলে বাস্তুকারকে দেখাচ্ছেন
মেশিনের পেটে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩১ বার দেখা | ৮৬ শব্দ
একটা করে কয়েন ২
চার
জানো সোনা, কবে থেকে আমার রাত্তির নেই!
মাথায়, পিঠে, নাভির ওপর শুধু চৈত্য, মঠ, শুধু সাহারা
বিছানায় একটা এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা পেতে শোয়া আমার
বালি বালি শক্ত দানার অন্ধকার, তাকে টেস্ট টিউবের নিচে থেকে তুলে বলি ওড়ো
তুলো ভাসাও প্লিজ, আমি ঘুমবো
বিশ্বাস করো সোনা, তপ্তকাঞ্চন কোনও নিশ্বাস নেই পাশে
ঢেঁকুচকুচ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৯ বার দেখা | ২০৮ শব্দ
একটা করে কয়েন ১
এক
যদি প্রেমকে নিজের আত্মা বলে নিই
টেবিলে মুখোমুখি কনুইয়ের ভরে বসি আমি আর নোনা পৃথিবী
যদি ছবিকার মেরে দিয়ে সারা গায়ে ছবি মেখে ফেলি
নত করি পুরুষাঙ্গ, মৃদু করি মাথার নি:শ্বাস
উঁচুভাবে মণ্ড তুলে নিজেকে গভীর করে এতটা খাওয়াই
তবে ভাই
তোমাদের পেটে পেটে সূর্যোদয় হবে দুই
পরিশিষ্টে এসেছি, যাব শীতলযাত্রায়
(যা:, প্রথমেই পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৮ বার দেখা | ১৫০ শব্দ
তছরূপ
আমি যে লিখতেই পারি না এই চাপা সত্যে আরও তিনমুঠ
মাটি ছড়ানোর জন্যে আমি লিখি
আমার এলেম নেই কাউকে কিছু আটকে রাখার
সেই ঢেউ বুঝে আমি একা-শিলা ভেসে যাই
প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণ আসলে মানুষ এই গিজগিজ চেতনাসংখ্যা
নোটবুকে পেয়ে আমার চূড়ান্ত ভয় করে
উদ্ভিদ চুম্বন পারে — অভিজ্ঞতা-শেষে আমার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২১ বার দেখা | ৯৪ শব্দ
মেমোরিয়াল
সন্ধের বিনয়ী আলো এসে পড়েছে সন্ধের ওপরে ডুবে যাওয়া দ্বীপের চুড়োয় উঁচু উঁচু মহাকাশের পাহারাদার।
আর গোলাপি পাথরের তোরণের গায়ে এক সন্ন্যাসিনী;
ঠান্ডা কপাল টান করে বাঁধা, গায়ের পোষাক
হাওয়া-লাগা পুকুরের পদ্মপাতার মতো নানান ফ্রিলের গরীয়সী মাঠের নিচ-পাতাল দিয়ে মাঝে মাঝে সমগ্র ময়াল হেঁটে যায়
সেই শঙ্কা লেগে মাটির পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০৩ বার দেখা | ১৩০ শব্দ
কবিতা: পোস্টাবিসযাত্রা
দিবার উপরিভাগ ধীরে তপ্ত। মাঝে ফাটলসম প্রচ্ছায়া নামে। সম্মুখে ডোবা, তাহার পৈঠায় ডানপদ জলে নামাইয়া, বামটি তীরে, এক বামা সবেধন বস্ত্র ধোয়। বিড়াল কৃষ্ণবাদামি, ভীত রাজমহিষীর মতো পথ ঘেঁষিয়া দাঁড়ায় ও মাথার উপর কাক উড়িলে পলায়ন করে। ন’টা কুড়ি বাজিতেছে — অর্থ লোকাল ছুটিল। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৬ বার দেখা | ১২৪ শব্দ
হতাম যদি তোতাপাখি... ৩
(তৃতীয় টুকরো) বড়দিনের আগে এই অ্যানেকডোট দিয়েই শুরু করা যাক: রোমের গির্জার সামনে হঠাৎ এক উন্মাদের উদয় হয়েছে। দাড়িভর্তি মুখের খেতে না পাওয়া চেহারা, এক টুকরো কাপড় শুধু কোমরে জড়ানো। সে বলছে: আমি যিশু! কথা দিয়েছিলাম না, দ্বিতীয়বার আসবো? স্বাভাবিকভাবেই লোকজন খুব আমোদ পাচ্ছে, কিন্তু আওয়াজ পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৭ বার দেখা | ৫৫৫ শব্দ
হতাম যদি তোতাপাখি... ২
(দ্বিতীয় অংশ) তাছাড়া, রাজনৈতিক গুরুরা এও বলে গেছেন যে “নিরপেক্ষতা” একটা ভাঁওতাবাজি, সবার চোখে শ্রেণীস্বার্থ খেলা করছে। কাজেই নিজের দিকে, নিজের মতামতের উদ্দেশ্যে বিশ্লেষকের চোখ নিয়ে, সমালোচকের মনোভাব নিয়ে তাকানোর দায় থাকল না।
অন্যের সঙ্গে সম্পর্কের নৈতিকতা এর ফলে ঝাপসা হয়ে আসে। মানুষ আসলে সেই ধরণের প্রাণী পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০৭ বার দেখা | ৩৮৮ শব্দ
হতাম যদি তোতাপাখি... ১
আমাদের দেশ দুর্দশার মধ্যে আছে। আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়তো নয়, কিন্তু চলছে চরম উত্তাপময় একটা দশা। কেউ নিচু বা স্বাভাবিক স্বরে কথা বলছে না; “কালো টাকার মালিক”, “স্বৈরাচারী”, “সাম্প্রদায়িক” আর “দেশদ্রোহী” — মূলত এই চার বিশেষণ প্রত্যেকে প্রত্যেকের দিকে ছুঁড়ে মারছে। শুধু ওই চারটে পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬২৫ বার দেখা | ৩৩৭ শব্দ
সহ্যকে যন্ত্রণা করি
প্রেম আঁকতে গিয়ে আমি পেনসিলের চেয়ে বেশি ইরেজার বুঝিনি ভোরের মাখন আড়ামোড়া ভাঙার ভেতরে গলে যায়
ষোলশো কিলোমিটার বিনা-ঝাঁকুনি ছুটে এসেছে ট্রেন
শুধু কথা পালটি খেয়ে গেল, ইঞ্জিন রিপ্লেস হল খাঁচার ভেতরে।
ছুঁড়ে ফেলা পুরনো ফাইলে এত সারসের ডানা!
ওমনি মনে পড়ে, যতবার নোটশিটের কানে যত্ন করে
গুঁজি-সুতো পরিয়ে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪২ বার দেখা | ১১৭ শব্দ