চন্দন ভট্টাচার্য-এর ব্লগ
মায়াউচাটন
পাতা উলটে চলে গেছ, কিম্বা গেছ পাতার আড়ালে
পাশাপাশি তাঁবু, তবু ছোঁয়া নেই বামুন-চাঁড়ালে বসন্তশিশিরে এই শির চারভাগ হল, হে নূতন
আগুনে ঝলসে তাকে যন্ত্র করো — মায়াউচাটন যে কীর্তনমালা শুধু চিৎকারে রাজ্যজয় করে
সেখানে গানের ফোঁটা ফ্যালে যেন তোমার নওকর-এ বিন্দু থেকে ব্রহ্ম হবে — ভয় পেয়ে আকাশতরুণী
শঙ্খ পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০৮ বার দেখা | ৬৩ শব্দ
জন্মদিন
বুকে সোনার মুদ্রা গেঁথে আছে
বেলুনের মধ্যে শুধু হাসির বাতাস
তালাবন্ধ শহরটায় কে দেয় সাঁঝ-আলো?
বকুলগাছ থেকে খ’সে পড়ছে ইতিহাস প্রেত-রাস্তা, আমি একমাত্র ক্যুরিয়ার!
জন্মদিন-মুক্তোফলে দেহ ভেঙে পড়ে
ছিঁড়ে নাও, ও চিরায়ু, উৎসব তোমার শুভেচ্ছাটি ধরে আছি মরণ-কামড়ে পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮০ বার দেখা | ৩২ শব্দ
অগ্নিরথ
ভালোবাসা আছে কিনা এটা কোনও প্রশ্নই নয়
জিজ্ঞাসা হলো হৃদয় রয়েছে তো? না হ’লে
তাকে আবিষ্কার করো। টেবিল ফ্যানের হালকা
হাওয়ার মধ্যে, পাগলা হাতির পুরো গ্রাম দুরমুশ
ক’রে একটা শিশুকে অক্ষত রাখার মধ্যে তাকে
চিহ্নিত করো। আর এই লব্ধপ্রতিষ্ঠ মন নিয়ে
বেরিয়ে পড়ো পথে। কিন্তু যদি আমার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫১৬ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
কত সীমাহীন আছে
অনেক অসংখ্য আছে। অনেক প্রার্থনা প্রার্থিতের হাত ছুঁতে
পেরেছে এখুনি। পথ আছে, বলছি বিশ্বাস করো, তাকে বর্ণনা করলেই
সমান্তরাল সড়কের জন্ম হবে পাশে।
নবজাত ফুলগুলো গায়ে নিয়ে যে বাড়ি ঘুমিয়ে আছে কী নিশ্চিত;
একটা বরফগলা-দুধ হাতে, মুখে বলিরেখা-লাগা পুরনো পাহাড়
সে ঘুম ভাঙাবে
আরও শোনো বিরক্ত হওয়ার আগে: আকর্ণ আকাশ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৯ বার দেখা | ১৩৭ শব্দ
লাশফুল ফুটিয়েছো
উদ্যত খাঁড়ার নিচে তথাগতকে চুপ করে দাঁড়িয়ে
থাকতে দেখে অঙ্গুলিমাল জিজ্ঞাসা করল, তুমি
প্রাণভিক্ষা করছো না কেন? ভয় পাও না আমাকে!
তথাগত সামান্য হাসলেন — একদিন সকলেরই মৃত্যু
হবে, তাছাড়া শক্তিহীনকে কীসের ভয়! দস্যু অঙ্গুলিমালের
দুচোখ রাগে বিস্ফারিত — আমার ক্ষমতার
কোন প্রমাণ দেখতে চাও, এক্ষুণি বলো। তথাগত
নিকটের গাছটির পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৪ বার দেখা | ১১৭ শব্দ
চা বল
কাল বর্ধমানে গিয়েছিলাম পান্নাদার সঙ্গে, দেখি ট্রেন থেকে জি আর পি বস্তায় মোড়া লাশ নামাচ্ছে, কেউ চেনে না। আমাদের রাধাকান্তপুর লোকাল কমিটি কিন্তু সব্বার চেনা, তার হেড কল্যাণ উকিল আরে ওকে তো তুলল অমিয়দা, দোকানে দোকানে চানাচুর সাপ্লাই দিত, তারপর ছ’মাসের ট্রেনিংয়ে এমন টিপ, পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৯ বার দেখা | ১৬৪ শব্দ
লাশফুল ফুটিয়েছ: আট
হে রাজ্ঞী, আমি যা দেখেছি — উচ্চারণ করা অনুচিত, কেননা মানুষ তা বিশ্বাস করবে না। আমি কি জগৎবাসীকে জানাব গ্রামের শরীর উৎক্ষিপ্ত হয়েছে কাপাস তুলোর মতো, ছোট ছোট ধাতুর ফুৎকার সেই দেহগুলিতে ছিদ্র করে দিচ্ছে। আমি কি ফাঁস করে দেব এই তথ্য যে শ্রীমধুসূদনের পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬১ বার দেখা | ১৭৮ শব্দ
চাঁদ

এত সকালে কোথায় ঢাক বাজছে, মা?
কাত্তিক দাসের বাড়ি মনসাপুজো, না! খ
ভুসকালো বাড়ির একমাত্র ফরসা শিশু উঠোনে শোয়ানো
ল্যাংটো, পেট ফুলে আছে। তাকে ঘিরে অনেকটা জল-কাদা,
ভেতরে পেচ্ছাপ খুঁজলে পাবে। ঠোঁট নীল, বাঁহাতে কনুইয়ের
ওপরটা বসা-মতো। পুরো বারো ঘন্টা বাঁধন ছিল
রক্তাম্বর-পরা জটাধারীকে
কাঁদতে কাঁদতে প্রণাম করছে বাচ্চার কাকিমা। গ
চিৎকার দিতে পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৩৫ বার দেখা | ১০৬ শব্দ
পুরনো কবিতা ... রাস্তার ঘর
রাস্তা বহুদিন শখ করেছে
ঘরের ভেতর পর্যন্ত যাবে
যে-গম্ভীর লোক সকালে বাজার নিয়ে বাড়ি
যে-বাচ্চা স্কুলবাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে
সে-লাফ সমাপ্ত করে ইংলিশ মিসের কাছে সন্ধেবেলা,
তাদের দলে মিশে গিয়ে দেখবে
রান্নাঘর থেকে ফ্রিজ পর্যন্ত মেয়ে-রাস্তা
কেমন সুন্দরী আর কতোটা শিথিল।
বা, খাবারটেবিলে মোটে একখানা বাউটি-পরা হাত
কীভাবে চারটে জীবিত শাখায় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৯৬ বার দেখা | ৮২ শব্দ
কথাসমাগম
কথা পূর্ণ হয় না সোহিনী
আশৈশব কাল থেকে যত ইতিহাস আমি চিনি
তুমি জানো — তারও বেশি ইচ্ছের ভ্রমণ
শতায়ু বৃদ্ধের মন
তবু কথার পাগড়ি পরে আছে!
হিমবাহে নিরঙ্কুশ একা উঠে গিয়ে
উদ্ভিদের গাঢ় মধ্যে ব’সে কেউ
একদিন হঠাৎ সিদ্ধাই।
নিশ্চুপের ফোঁটা টুপিয়ে টুপিয়ে পাওয়া
তার অলৌকিক
জনপদে ফিরে গেছে খচ্চরের পিঠে
বল, কেন?
ক্ষণজন্মা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১০ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
অস্থায়ী আকাশ
আমি যখন জনশূন্য হই, যখন শেষবন্ধু ধুলো উড়িয়ে
কাছে দাঁড়িয়েছে
আমাকেও তুলে কাগজের ঠোঙার মতো অস্থায়ী আকাশে
ঠাশ ক’রে সাপবেলুন ফাটিয়ে তার খোলশ ছেড়ে গেছে
তখন আমি ভূত হই, ভিজে পেছল টালির চালে
রাতে-বসা কাক হই তখন
হিমার্ত রাতকেও বলিহারি, চোখের জলের ছোট ছোট
পিরামিড সাজিয়ে রেখেছে! তাদের পাশ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৩৩ বার দেখা | ১৩৬ শব্দ
পুরনো মেয়েদের দুপুরবেলার বিন্তিখেলা
যেন মাটির দাওয়া উঁচু, কোথাও ফাট নেই এত কথায় কথায় গোবর নিকোনো উঠোনের পিছুতে পুকুর, জলে বাঁশডালের নত-নমস্কার দুপুর যত রোদালো তত ছায়া আমরা বেঁধে রেখেছি কামিনীগাছে, বাতাবিতলায় যত রূপ দিয়ে উচ্ছ্বসিত করুক কেন শরীরনৌকো আমরা প্রশমন ভাতের গরম নিঃশ্বাসে তামার রেকাবি করা মা-লক্ষ্মীর পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৬ বার দেখা | ১৪৯ শব্দ
দুজন ধার্মিক
প্রজাপতির পেছনে ঠিক একটা বাচ্চা থেকে যায়
অনেক শৈশব ভেঙে পায়ে জল, কাদা;
অনেক তারা-দূরত্ব থেকে পেটে কিছু পড়েনি বাচ্চার।
এদিকে প্রজাপতি ছুটতে ছুটতে বোনের বাড়ি কিছুটা বসে গেল
দুটো প্রজাপতির গলাও শোনা যাচ্ছে — বাচ্চা এত চুপ!
একবার এমনও হয়েছে, বিছানায় অসুস্থ প্রজাপতি
আর বাচ্চাটা উড়ছে, উড়ে উড়ে দরকারি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৭৩ বার দেখা | ১২৩ শব্দ
ঝাড়খাওয়া কবিতাগুচ্ছ
পাঁচ
আমার জন্মের গায়ে এক পাত্র অগ্নি ফেলে দাও
আমার শূকর-আয়ু চলে যাক লোধি, চোল
প্রতিহারের দখলে
আমার সহস্রবাহু আত্মীয়জনেরা ধ্বংস হোক
অক্ষরেখা-সুত্‌লিতে টান করে বাঁধা এই গ্রহবিস্ফোরক
মাথার শূন্য মহাকাশ-স্টেশনে বসে আছে
আমার জনৈক লেখা, আমার সর্বস্ব কাতরতা দিয়ে
তাকে শায়েস্তা করতে গিয়ে গিয়ে দেখেছি, শিবাজি,
স্নায়ুদল তোমার চাকুতে ছিন্ন ছিন্ন করে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৩ বার দেখা | ৮৭ শব্দ
যোগমায়া
আমি এমন ব্যবস্থা রেখেছি
সব তান্ত্রিক নিভে গিয়েও আমার ধুনি জ্বলে!
মেঘের গর্জন শেষে মৃদু হাসি বইতে থাকে — ভোর,
আমি এমন লাইনঘাট করেছি
যোগ ও মায়া — দুটির একত্র বলে
নিজেকে উদ্ধার করেছি, আমার
রতিমোক্ষ শরীরে হয়েছে
আর মন ধুনুচিধোঁয়ার মতো অনর্গল ভয় তুলে তুলে
ওই দেখো, ভস্মমাখা ছাই
চলাচলই আমার পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৬ বার দেখা | ৮০ শব্দ