চন্দন ভট্টাচার্য-এর ব্লগ
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছিঃ ৭
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছিঃ ৭ প্রেম এমন এক নীতিকথা যেখানে বাবা তার সন্তানকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসবেন। কিন্তু যখন দৈব অপছন্দে জাতির সবচেয়ে আদরের প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, রুষ্ট দেবী এমন এক শীতল নিষ্ক্রিয়তা ছুঁড়ে দিয়েছেন যা উপহাস করছে মানুষের বিপদ কেটে বেরনোর সব চেষ্টাকে, পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৯ বার দেখা | ২৭৪ শব্দ
অমৃত
অমৃত মৃতকে পালকস্পর্শ দাও
জীবিতের চেয়েও সে আস্বাদকাতর মৃতের সম্মান রেখে বলো
শিশু-খরগোশ বুঝে উৎকর্ণ রয়েছে মৃত ঘিরে বিক্ষোভ আসুক
সিংহভাগ অশ্রু কেন সে শিকার করে? মৃতকে অমৃত বলতে মুখে বাধে যদি
কাঞ্চন ফুলের রঙ সাদা রেখেছো কেন! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬১ বার দেখা | ৩০ শব্দ
স্লোগান
স্লোগান তোমার স্তন কখনও তোমার অপরাধ হতে পারে না।
মাথার সুচিন্তিত চুল হতে পারে না আঁকশি — রান্নাঘরে শিকে টাঙানোর।
সন্ধেবেলা টিউশান পড়ে বাড়ি ফেরার রাস্তায়
পাথর মেরে ভেঙে রাখা টিউবলাইট তোমারই বোকামি হতে পারে না।
যারা একপাটি জুতোর ভেতরে ভরতে চেয়েছে তোমার দুটো পা-ই,
তাদের বিরুদ্ধে উরু ছড়িয়ে দাঁড়ানো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৪ বার দেখা | ৪৭ শব্দ
জগন্নাথ
জগন্নাথ যিনি আমাদের জন্ম দিলেন
এবং তার চেয়েও চিরজীবী মৃত্যু দিতে সব সময় প্রস্তুত
সেই অপাপবিদ্ধকে প্রণাম
যিনি আমাদের চালেডালে মিশিয়ে খাওয়ালেন
আর দুমুহূর্তের মধ্যে আদেশ দিলেন কালান্তক ভেদবমি
সেই যমগন্ধবাহী উদ্দীপনাকে প্রণাম
যে আচার্য গরমকালে থোকা থোকা কারখানা বসিয়ে
বৃষ্টিকালে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে
এই শরতে তালা খুলে বাস্তুকারকে দেখাচ্ছেন
মেশিনের পেটে পাক পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪৮ বার দেখা | ৮৬ শব্দ
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছি... ৫
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছি ৫ আমাদের দুজনের দেখা হওয়া মানে একটা সোনাচড়াই। পাখির যতটুকু প্রথমেই আঁকা হয়ে আছে — তুমি। আমি নিজের ভাগটায় চটপট স্কেচপেন চালাচ্ছি। কিন্তু ছবিতে নিজেকে বসাতে গিয়ে যদি বেশি ঝলসে উঠি, গাঙশালিক তার সমস্ত শরীর নিয়ে আমার দিকে ছুটে যাবে, তোমার পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৯ বার দেখা | ২২৪ শব্দ
একজন দার্শনিক হিসেবে বলছি... ৪
চার মাঝে মাঝে ভাবি, এই বাটিক প্রিন্টের রাস্তা দিয়ে তোমার চলে যাওয়া কি আমার প্রতিভার চিহ্ন বহন করছে না? তারপর দ্বান্দ্বিকভাবে চিন্তা করলে মনে হয়, হ্যাঁ, এসব আমার বাহাদুরি তো বটেই, দুর্বলতাও। যদি তোমার সরে যাওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে আনি, তবে বিচ্ছেদের একটা সামুদ্রিক সুবিধে পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫১ বার দেখা | ২০৬ শব্দ
সাঁকো
সাঁকো কে জানিত জাগবে তুমি
আমার পূর্ব-জন্মভূমি
আমার ছেলের চেয়েও ছোট!
সকালবেলা পড়তে ওঠো? জালি লাউয়ের ডগার মতন
হাতের ঘায়ে ইন্দ্রপতন!
ক্রিকেট-চাঁদে লাগল জোয়ার
অফ কাটার আর তীক্ষ্ণ স্লোয়ার খেলা যখন হিংসেগিরি
ধর্ম-ভূগোল-জাতভিখিরির,
তুমি এপার-ওপার সাঁকো।
হারিয়ে দিয়ে হাসতে থাকো! পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৫ বার দেখা | ২৮ শব্দ
সখার বাজার
সখার বাজার এই পৃথিবীর পান্থশালায়
যাকে ধরতে যাই সে পালায় লুকিয়ে ওঠে অন্য হাতে
শিখিনি ফুলগাছ নোয়াতে কেঁদেকেটে যেই ঘুমবো
বলে পাঠায় বন্ধু হবো এই পৃথিবীর বন্ধুশালা
চড়া মেকআপ যাত্রাপালা এক-জানলা নীতির দিনে
সব পাবে কিছু না চিনে প্রেমের মোকাম কবরপাড়া
সখার বাজার নজরকাড়া পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৪৯ বার দেখা | ৩৫ শব্দ
ধরিত্রীফুলগাছ
ধরিত্রীফুলগাছ সৌন্দর্য, আমাকে স্নিগ্ধ চোখে চোখে রাখো বাতাস শান্তিপীড়িত, বাতাস কীটবাসস্থান
আর প্রেমিক-প্রেমিকা ফোঁড় আছে অন্ধকারে
সিক্ত-অভিসিক্ত দুই পাখি
গালে ছোট ছোট সুশ্রী চাঁদের কারখানা ওই যে ষোল শাখার ধরিত্রীফুলগাছ
কিছু না কিছু পাপড়ি সবার মাথায় —
আমি সেখানে লেখা কুড়োতে যাই
দেখি রোগা একটা আহারে ইঁদুর, তার দিন শুরু হল
আলো এসে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬৪ বার দেখা | ৭২ শব্দ
সূর্যসহকারী
সূর্যসহকারী আমার প্রথম পংক্তি সূর্যশ্লোকে ভরা
মাটিকে অচ্ছুত করে গাজর-রশ্মিরা
উঠে যায় আকাশের সবজি-গুদামে
আমার দ্বিতীয় পংক্তি ঘিরে রাত্রি নামে সবুজ গাছের মাথা মেঘ-সহোদর
মস্তিষ্ক দু’ফাঁক হয়ে শোণিত-শেকড়
টেনে নেয় বোমা, গুলি, বৃষ্টিদুধ গাঢ়
আমার আহার-পাত্রে মৃত্যু বসতে পারো নিচে বিশ্ব, যুদ্ধে যাবে বিকলাঙ্গ সেনা
কিছু খেতচাষি, কিছু নোনতা কারখানা
বিশুদ্ধ প্রণয় তবু বিরুদ্ধ শিবিরে
স্ত্রী-ধমনী পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৩৭ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
ইনিশিয়েটিভ
ইনিশিয়েটিভ আমরা জানতাম তুই পাগল হয়ে যাবি
বাসে দুবার ভাড়া দিতিস, কন্ডাকটার স্পেশাল খাতির করত
আবার, বাজার করে ফেরার পথে পেছন-পেছন ছুটছে দোকানদার
আমরা বলাবলি করতাম, ওই দ্যাখো
ভবিষ্যতের উন্মাদ মাথায় টোকা দিলে কাঁসর বাজে, তাই না!
ভেতরটা দাগ-ধরা, তরকারি কড়াইতে লাগো-লাগো হলে যেমন হয়
তখনও তুই ক্লাসে ফার্স্ট হচ্ছিস, এক চান্সে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫২২ বার দেখা | ১১০ শব্দ
পুরনো কবি, নতুন আঁকা: চন্দ্রমল্লিকা
সব পাখি আমার দিকেই উড়ে যায়
প্রশ্নের, উত্তরের সব পাখি
আমার ভেতরে অন্য কোনও দিক পেয়ে গেছে নাহ, ও ভুল শিস দিয়েছিল। পাখি ভুল ভাঙাতে ওস্তাদ!
বুকের পংক্তি ভেঙে ভেতরে ছুটে আসে আর
পিঠ ভেদ করে এভাবে বেরিয়ে যায় ধারালো পালক
যেন আমি নেই, যেন আমি — কী বলবো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮৫ বার দেখা | ১০০ শব্দ
একটা আর্বান ফোক বা (গো)লোকগীতি প্রেম-কিশমিশ
কথা জানো মন জানো না
ও প্রেমিক, কাচ-বাসনা!
আনা চার খুঁজতে গিয়ে
লাখে অনাচার ক’রো না জল কি বাঁধতে পারো?
বান যায় পড়শিঘরও
মিলমিশ না হয়ে দু’মন
প্রেম-কিশমিশ পেল না হার্টস-এর টেক্কা চেপে
খ্যালো তাস খেপে খেপে
প্রেমে শর্ট নিতে গিয়ে
ও-শিওর পিঠ হবে না ট্রেনে কত উঠল হকার
নিমে, নবী, যিশু অবতার
তারা সব ধরছে দোহার
মাঠে পড়ুন
সঙ্গীত | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫১৫ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
দ্বিতীয় রূপকথা
একজন দার্শনিক হিসেবে বলতে পারি, তোমার আমাকে ছেড়ে যাওয়া ছিল আন্তর্জাতিক মানের ঘটনা। তুমি পরিহার করেছ, আমার এই স্বীকারোক্তি অবশ্য আমার একধরণের চলে যাওয়াকেও প্রমাণ করছে। যতক্ষণ না কেউ বলে সে ফিরে যাচ্ছে, নিয়মমতো ধরে নেওয়া হয়, মানুষটা উপস্থিত; আর যদি মুখ ফুটে বলল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৫ বার দেখা | ২১৭ শব্দ
দুভাবে রাঁধা পশুমাংস
এক
গত বছর ঠিক এই বৈশাখে আমার অচেতন শরীর আর এন টেগোর-এ ভর্তি হয়েছিল। ডঃ কল্যাণ চৌধুরী, কার সঙ্গে কে জানে, তিনদিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ভাসিয়ে তোলেন আমায়। চতুর্থ সকালে বেডের কোনায় বসে গলাটাকে এক্সটেনশান কর্ড বানিয়ে কানের কাছে ফিসফিসানি: কী সমস্যা আপনার, খুলে বলুন পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৯ বার দেখা | ৭২৫ শব্দ