অপূরণীয় আলো
রোদ মুখের ওপর পড়ে জ্যোৎস্না হয়ে গেছে
আমার হাতের আঙুলেও লেগে প্রতিমানির্মাণ।
ভাবছি, যদি কোনোদিন তোমাকে রাজি করাতে পারি মহাপীঠ পর্যন্ত
দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে দেখবো — আসলে কে নীলোৎপল, মণিকর্ণিকা
বাইরে অপূরণীয় আলো
গাছের টেবিলে পাখিদের কফিহাউজ ভোরবেলা
দেখে মনে হবে দুঃখ কোথাও একজিস্ট করে না
সব ছেড়ে দিলে যে
শীতের তৃতীয় শীত
এক
প্রত্যেক ডিসেম্বরে হলুদ লজেন্সের ভেতরে কবর দেওয়া হয় আমাকে
আর প্রতি মার্চে সমাধি ফাটিয়ে কমলারঙ মধু গড়িয়ে যায়
দুই
সব রোদ বোরখাপরা, সব ধানের গুছি মুসলমান
শুধু সূর্য নয়, কাঠের ফার্নিচারের দোকানও আলো দেয়
এই শীত কোনও প্রবেশমূল্য রাখেনিএখানে-ওখানে
বিড়ি বিভাগের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দেশলাই সম্প্রদায়
সব শীতের মতো
বাগীশ্বরী: দুই
জানি না কোন ঘন পাড়াগাঁয় বিলের ধানজমি থেকে
উঠেছে তোমার শরীরের ছড়া
কার্তিকের কৃষ্ণা তেরোদশী গোধূলিতে শীতবৃষ্টি প’ড়ে
হাতের আঙুলগুলো তৈরি হয় কিনা
জানি না বৈষ্ণবী, গেরুয়া পাঞ্জাবির নিচে কী লুকোও
জপমালা নাকি পাঞ্চজন্য স্তনদুটো
সন্ধে থেকে দুএকটা মশা ঘরে ঢোকার মতো
তোমারও কি রাগ শরীরের নর্দমাকে মা বলে ডেকেছে?
তুমি
চাঁদের তৃতীয় পিঠ
আমি তখন ছিলাম চাঁদের অন্ধকার পিঠে
সামান্য রাগ হলে বাসন ছুঁড়তাম, পা-ই কথা বলত ক্যানিজিয়া।
সবচেয়ে বাড়ির ছোট ভ্রমর, ছোট্ট ডানাদুটো উড়তে উড়তে
মাটিতে ‘ধপাস’ পর্যন্ত হাত মুঠো করে রাখত সবাই
আমি খুব কথা চালাতাম, অসম্ভব কথা
চাঁদও অবাক হতো — কোন নক্ষত্র থেকে এসব পোকা
এসেছে
ডায়েরি
চিকিৎসালয়শালা
এক
নগ্ন হও নগ্ন হও — এই শুধু স্লোগান
যেন পোষাকেই সব অসুখ লেগে আছে
“দেখি দেখি” বলে বারবার দেখার নিচে
চলে যাচ্ছে হাঁস-নার্সেরা
যত বলি, লজ্জাই আমার একমাত্র প্রেমিকা,
“না, ভিজিটিং আওয়ার্স ছাড়া কেউ কাছে থাকতে পারবে না।”
দুই
সিডাকটিভ সাদা জোব্বা-পরা আমি
হাঁটু গেড়ে বসে পড়লাম
তরুণীর পায়ের সিঁড়িতে
বললাম, বহু কষ্টে চেতনা
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১৯ বার দেখা
| ৩৩৫ শব্দ
কী এক পৃথিবী ছিল
কী এক পৃথিবী ছিল তোমার স্বরের টুকরো বসে থাকতো ছাতিমপাতায়
শ্বাসপথ দিয়ে ফুসফুস পর্যন্ত টানা মোরাম ছিল রোদ্দুরের,
হাঁটা যেত দুইবাহু দোকানে দোকানে
একটা বিমান আবছা আকাশে থেমে থেকে
শুকতারা পালন করতো
কী এক সকাল তার লিপিড প্রোফাইল থেকে
চোখ সরানো যেত না
প্রথম শ্রেণীর লিভারের মতো হিন্দু
প্রেমের পদ্য ৩
“আমি তোমাকে ছোঁব, নভতল”
যদি তুমি ছোঁও আমাকে
বদ্রিলার ভেঙে পড়বে, পেনরোজ ভুল প্রমাণিত
অস্ট্রেলিয়া ভাসতে ভাসতে এসে বলিভিয়ার গায়ে লেগে যাবে
এই প্রথম দ্যাখা যাবে বাতাসদিগকে — হলুদ, বেগুনি, ভাসমান ওড়নার দল
আর, এমন স্পর্শের উপমা কোনও শব্দে নেই বলে কবিতার বই স্তূপ করে জ্বালিয়ে দেবে
প্রেমের পদ্য ২
প্রেম এক অসমাপ্ত ব্রেন সার্জারি।
সমস্ত পরীক্ষা শেষে যেদিন একশো চুয়াল্লিশটা কার্ফু জারি
তুমি ভোরে স্নান-সারা, মাথা মসৃণ, উপোষি পেট
টাল খাচ্ছে,
তবু বমি করবে না
উন্মাদ চেতনা —
বুঝে রূপসী প্রফেট
অভিলাষ-হেতু তোমার মস্তিষ্কফুল ও টি রুমে খুলে রেখে
আরও উপুড়, নিঃস্ব কোনও খুলি থেকে
এক কাপ চা খেতে চলে
হরিণ — মৃত্যুর পর
বসুন্ধরায় দুধ পাতা আছে লিচুর শাঁসের মতো
তাতে হাত কোশ ক’রে যে যার নিজের শৈলী তুলে নেয়
গাছ তোলা আছে — পৃথিবীর সলতে-প্রমাণ,
সবুজেরা পাতার অক্ষর হলে ডালপালা আলদা আলাদা বাঁক
দামিনী-ঘরানা
হাঁসের নৌকো চিনি — শুধু পারিজাত হাঁসদের,
পুকুরের স্তন অবধি জল
প্রত্যেকে নিজের তোতা হাতের বাজুতে