হাসি এক ধরণের আর্তনাদ এক-রাত ক্লান্ত মনোমালিন্যের শেষে
বসে আছি, মধুসূদনের মতো নিরাশ্রয়!
বন্ধ ঘরে ঘুষিবস্তু থুতুবস্তু উড়ে
মেরেছে হাওয়াকে। তার পেটে জারুল-নিঃশ্বাস—
আশঙ্কাজনক এক রক্তদলা, ওড়ে না। চমকায় চোখের দুকোল জুড়ে চম্‌কিলা কাকবস্তি,
গলার ভেতরে খোঁড়া চাপাকল
যত টানো, ঘোলাটে, অজীর্ণ, ছেঁড়া
বৃহংনের শব্দে উঠে আসে অপমানিত। অপমান জমিয়ে জমিয়ে আমি
তুলে গেছি অজস্র

গল্পছড়া : কবে যেন অ্যালঝাইমার’স রোগে ভুগছে বন্ধু আমার
স্যাকরা মনের থই পায় না ওষুধ কামার দেখতে গিয়ে গল্প বানাই এটা-সেটা।
কথার ছলে ওর জীবনের বিশদ ডেটা
শুনিয়ে দিলাম। চোখ নাচিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে
সব স্মরণে; “এবার শুধু জানার ইচ্ছে :
লাস্ট উইকে এ-ঘরে তুই খাটের কোনায়
দুহাত তুলে

পয়লা এপ্রিলের ছড়া অহনা গলার গহনা নিয়ে বৌবাজারে গেল
স্যাকরা এমন ড্যাকরা সেটি হাপিস করে দিল!
লোকাল থানায় গিয়ে না যেই vocal হল মেয়ে,
দারোগালাঠি বারো-ঘা তার পিঠটি ভ’রে খেয়ে
সোনার দোকান-owner বলে : নিছি, নিইনি তবু
যেহেতু দিলাম বিলিয়ে, মিলিয়ে দেখে নেবেন প্রভু — একটু গয়না দিয়ে ময়নার ঠোঁট বাঁধিয়েছি
অল্প

জীবনের হালকা খাবার মুড়িময় জীবন কাদের?
উঠতে মুড়ি, বসতে মুড়ি
তার সঙ্গে আলুবরবটি
ভাজা নাকি খসড়া তরকারি?!
একবারে এক এক চামচ
পরে দুটো মিষ্টি আছে ছোট্ট ক’রে কেটে খাও
আমের চতুর্থী ফালি
চৌসা আজকে পঁচাত্তর
নাচিয়ে নাচিয়ে খাচ্ছ
সবটা যেন ফুরোবে একসাথে
মুড়িতে চন্দনের গন্ধ
সোনাল, শুকনো, লালটুশ।
লতায় মুড়ি, পাতায় মুড়ি
জীবনের হালকা খাবার
মুড়িময়

ট্রেনভোমরা ক’হাজার ছুটছে বিছানা?
কতগুলো আবাসিক স্কুল?
নাকি জেল ঠাসা কয়েদিতে‍!
সেল-এর জানলা রাখা ভুল।
ন’ঘন্টায় হেসেখেলে যাব
সেই পথ ডবল-ডবল
“এখনও শিয়ালদা ঢোকেনি?”
সব মোবাইল অবিরল রাগ ঠোঁটে শাপমন্যি আনে?
ভাবো এটা জীবনের ট্রেন
লেট করছে পৌঁছোতে মানেই
যমরাজ ঘুমোতে গেছেন!

ছড়া : লিলিপুট তুমি ছিলে আয়লাখেকো
এখন পাঁচমাত্রায় লেখো আগে ছিলে গো খিটকেল
এখন রাধাকৃষ্ণ ফেল
প্রেমে হাপুসহুপুস হিয়া
প্রেফারেবলি পরকিয়া সেদিন কলজে ছিল পুঁজি
আজ ডর-কে-পিছে বুঝি? আগে দুমদাড়াক্কা কথা
হালে “নো কমেন্টো” নেতা
ভাষা জমেই গেছে শীতে?
খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে —
খোলো টেকিলা, জিম বিম
পূর্বে কেন্দুলি-ছিলিম
তার ধকটা খাঁটি ছিল
আজ

কৃষ্ণকালা — গান শুনতে যাবি ডোভার লেনে?
— না গো, আমার ফাঁড়া ডোবারম্যানে — আজ উল্লাস, গাইবে কোশলকর!
— এমন শীতে তুই-ই গোসল কর — কাল বসছেন পণ্ডিত যশরাজ
— কবিরাও কি বাজায়নি এস্রাজ? — চৌরাশিয়া অসুস্থ, আসবে না
— বর ইউএসএ, বৌ রাশিয়া — জানা। — কান বুঝি তোর জাগবে ঘন্টা-কাঁসরে!
— সঙ্গী

চন্দ্রকোষ অটো-সবুজ গাছপালা
মেঘ ভেসে যাওয়ার শব্দে
গৃহে যে শ্যামলী থাকে, চার পা, ডাকছে যেখানেই জল, সেটি পৃথিবীর শিরা
ফাঁকা মাঠে শস্যের কীর্তন শুরু হল
মিঠে ও শমিত এই বোলে
একদিন, স্তন নিচু, আমাকে কুড়িয়েছিলে, ফুল! নিজের দীপ্তি নিভে সবচেয়ে শান্ত এই সন্ধে হয়ে যাওয়া,
যখন একটু গলা

এমন প্রেসটি কোথাও খুঁজে এ বছর বইমেলায় কবিতার বইটা না বেরোলেই নয় ব’লে প্রুফে নাক গুঁজে বসে আছি আর নাকের ডগা লাল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ! শেষ সহ্য করতে না পেরে মোবাইলের দিকে হাত বাড়ালাম: ম্যাডাম, এত বানান ভুল? যেখানেই গা লিখেছি, পা কম্পোজ করে দিয়েছেন;

সন্তানপ্রণাম
চার নিজের ছেলে আর বেড়ালবাচ্চার মধ্যে কাকে বেশি ভালোবাসা উচিত?
হতে পারে দ্বিতীয়জনকে। কেননা সে কোনওদিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না, মাছ ছাড়া মুখে তুলবে না অন্য খাবার বেড়ালের এমনকি কোনও প্রেমিকাও থাকে না। ছেলে আজও হাতের কাছে পেলে আমাকে স্পেলিং জিগেস করে নেয়। আমি জ্বর হলে

ফড়িংভাবনা নারীপুরুষ সম্পর্ক যখন ভাঙে, সব সময় যে দুহাতে ছুঁতে পারার মতো কারণ লেগে থাকে তাতে, এমন নয়। এক-কলসি ভালোবাসা আর সেই প্রেমেই ডুবে থাকার সাবমেরিন ইচ্ছে সত্ত্বেও প্রতিদিন নানা দুদুভাতু কারণে মনোমালিন্য হতে হতে দুজনে যেন নিজেদের কাছে হেরে গিয়েই অন্যকে হারিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তে

মস্তিষ্কের ফাঁকা পাকস্থলী আশি বছর বয়েসে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন “সভ্যতার সংকট”। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই তাকে চেয়ে এসেছে গোটা পৃথিবী, নতুন এক মানবিকতা, এক বিশ্বাসযোগ্য আশাবাদের প্রবক্তা হিসেবে। আইনস্টাইন জানতে চেয়েছিলেন, সত্য ও সুন্দর কি মানুষের মনন-উচ্চতার অনেক ওপরের জিনিস? না — রবীন্দ্রনাথের সপাট উত্তর। তখন

কালবর্ষা ভোর, ঊষাগেট, একটা অটোতে যাওয়া যায়
ঘুমের চৌরাহা থেকে আকাশি বর্ষায়
সেখানে গুচ্ছের মেঘ, সুরজ ট্রেডিং ঝাঁপ বন্ধ রেখেছেন
তবু টুকটাক আসল চন্দন বলবেন কাজের বিকল্প কাজ কী বা আছে বিড়িটানা ছাড়া
মন্ত্রীর পুলিশ, বেশ্যার মুখখিস্তি পাহারা
মাঝখানে হড়কে যাচ্ছে গঙ্গাসাগরের দিকে সব ড্রেন
ভাই, প্রতিদিন প্রচুর চন্দন বলবেন শোণিত-কম্বলে শীত ঢেকেঢুকে

ক
তখন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ সদ্য জন্ম নিল। বাঙালি হিন্দুর ঠোঁট ওলটানো ভুরু কোঁচকানো অংশটা তার রিলিজিয়াস অপোজিটকে মনে মনে ভয়-রাগ-সন্দেহ-ঠাট্টা দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে এমন কিনারাশায়ী করে ফেলেছে, চোখের সামনে তাদের টুপটুপ করে ঝরে পড়তে যে দেখছি না, সে শুধু পৃথিবীটা গোল বলেই। এমন একদিন অফিস-ফেরতা হানা

পুরনো কান্নারা সব মেয়ে বন্ধু হয়ে গেল
পৌর্ণমাসী রাত থেকে, যাঃ ফতুর, যত সসাগরা মহিলা রয়েছে
কলেজ-এর গেট খুলে পিলপিল, বাদামের খোলা ভেঙ্গে
ঝুরঝুর; প্রতিটার সঙ্গে তুই করে কথা হল কথা হ’তে গিয়ে ধারণা আমার শৈশব অবস্থা থেকে শরৎচন্দ্র খেয়ে শক্তিশালী
তাই, ঢুকতে যদি বা পারি তোমার ভেতরে, তৎক্ষণাত
বেরিয়ে আসতে