এক
এ-জীবন কোনও কিছুর অপেক্ষায় রাখো
ছাদ-অপেক্ষায় রাজমিস্তিরি,
বাঁশি থাকে হাওয়া-সাধনার…
কখন ভাসানে ক’রে রোদ উঠে গেল
তুমি ব’সে আছ, মেরুদণ্ডে বেঁধানো কুঁড়িটা
একটা পুজোর গান অপেক্ষায় রাখত গোটা পাড়া
একটি শাড়িনী রাস্তার চৌমাথাভরা ইয়াং ছেলেদের।
তেমন আতিথ্য নিয়ে জলের পিঠে দাও
ছোট হাতের ভরসা
ঘাসের হাড়ে যেন ফের ঘাস না গজায়
সন্ধে আসে জীবন-অনুভূমিক
দুই
সন্ধে নেমে আসার পদ্ধতি আমি দেখেছি কাছ থেকে
দিনকে কমিয়ে ডীম ক’রে আকাশের হাতে
তুলে দেওয়া — মা-দিদিমা বাসনমাজার থালা ডোবালে জলের মধ্যে, কাঁসাপেতলের মুদিত চোখ পেছন-পেছন ঘাটে আসা আমাদের যেটুকু দেখেছে
তেমন সাপের তলপেট, চাঁদ থেকে লাফ দিচ্ছে
সন্ধের ক্রশিং
যেন কোথাও জাগ দেওয়া ছিল কুচিকুচি
সজনে পাতার নিচে, এখন সুরৎ বোম্বাই
সা-নি-ধা নামছে, “আহা কোন বাগানে ছিল”
বলছে সন্ধের হকার, আমাদের সন্ধ্যাতারাবাবু
তিন
আমি সন্ধে নামাই সমুদ্রবেদিতে
অভাবে পুষ্কর, ডোবাও চইলবেক
চারিদিকে বনগন্ধ পরাক্রম, “ও আমার
দলে খেলবে” ব’লে ইলেকট্রিক খুঁটিকে
গাছ বানিয়েছে জার্মানিলতা
উল্কাসনে ব’সে এক-তরোয়ালে চিরে দিচ্ছি
আকাশের পেট থেকে জমির নাবাল
চুঁয়ে নামল কালো প্রস্ফুটিত
পাটগন্ধ, পাটশব্দ, একমুঠো ধুলোর তণ্ডুল…
আমি সন্ধ্যা নামাইয়া থাকি
.
[‘নবরত্ন কারাদণ্ড সবুজ’ বইতে আছে]
loading...
loading...
শুভকামনা প্রিয় কবি। সম্ভবত এই পোস্টের মাধ্যমেই আপনার সাথে শব্দনীড়ের সম্পর্ক …. আমাদের সবার মতো শেষ হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা।
loading...