এক
হাঁ-ঘুমে সব গাড়ি পালকি…
বস্তা ঝুলছে পোয়াতির পেট — যত ঘাড়ভাঙা মানুষ মালিক
কার কনুই কার জঠরে ঢুকে গেছে
এক আধবুড়োর পিঠে ঠেসান দিয়ে ঘুমোচ্ছ
ও-তুমি কার বউ?
বউ বুঝি সবজান্তা!
দুই
কলকাতার লেডিজেরা গায়ে গরম জল ঢেলে দেয়
কিন্তু আমি রাজপুত্তুর রাত তিনটে কুড়ির বনগাঁ লোকালে
কাটা সৈনিক চারদিকে, গুড়াকু আর বিড়িসৈনিক
তার মাঝখানে আমি এক উচ্চ পর্যায়ের দাঁড়িয়ে থাকা
চুলে শ্যাম্পু, দাড়ি কামানো, ক্রিম পাচ্ছ গালে
মস্তান ফুলওয়ালির ঘুম-ছেঁড়া মুচকিফুল ঝরছে মাথায়
তিন
টেরেনে আমার মোটে আসতি ইচ্ছে করে না
টেরেন কি, ঘর থেকি দাওয়ায় নামতি খাইশ জাগে না
এই যে ব্যবসায়িভাব দেখাচ্ছি, পুরোটা নকল
গাছের পাতা নড়েচড়ে, বউয়ের কথা মনে পড়ে
বউ যেন কাতলা মাছ
কী পেটি, কী তেল!
চার
মাল নিয়ে যাবে আবার ঘুমিয়ে যাবে
বাপের জমিদারি?
কাঁপতে কাঁপতে নামছে মাথা, মাথায়
গোটা অন্ধকার রাত পুঁটুলি-করা
এই শেষ রাত্তিরে কোথায় বসবে, কাকে বেচবে গো ফুল?
সেলের না, গাছে গাছে লাগানোর ফুল এইসব…
loading...
loading...
স্বতন্ত্র ঘরানার কবিতায় আপনার জুড়ি মেলা ভার।
অভিনন্দন এবং শুভ কামনা প্রিয় কবি চন্দন ভট্টাচার্য।
loading...