গ্রাম থেকে গোরুর নিঃঝুম মাথা বেরিয়ে এসেছে
গোরুর কপালে ঘোমটা হয়ে নেমেছে রোদ্দুর
এক ফড়িং-গোষ্ঠী তাকে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
খাদের চুড়োয় পৌঁছে দেবে বলেছিল
কিন্তু গ্রাম যা গভীর আর ক্লান্ত জামরুলে!
জরায়ুর মতো লাজুক এই গ্রামটায়
যেদিন প্রথম পা রাখলাম, হাতজোড় ক’রে :
নমস্কার বাঁশপাতা, নমস্কার শিশির
তোমরা দ্যাখো, গ্রামছাড়া একশো কাচপোকা
আমি ঘরে ফিরিয়ে এনেছি
আর আশ্চর্য লেগেছে, গ্রাম কী পাকা হয়েছে পেয়ারায়, কী অবশ করঞ্জাফুলে!
আমার পায়ে পায়ে ঘোরা হাঁসের বংশধর,
সদ্য পেট থেকে খসা কলাপাতাও
জমায়েতে ভিড় করে এসেছে
যেখানে করমচা-মায়ের হাতে আমি
তুলে দিচ্ছি করমচার লাশ…
রাত্তিরে সেই মাঠ ফাঁকা, দত্তদের মোটাসোটা চাঁদ
ডুবে গেল। আর কারা যেন গ্রামটাকে পিঁড়িতে ক’রে ঘুরিয়ে দিল আমার চারদিকে
তাকিয়ে দেখছি দু’হাত ভ’রে গ্রাম্য চিরকুট। সেখানে গণনার পর প্রজাপতি আর মথে
এক লক্ষ ব্যবধান
সেখানে হেরে যাওয়া শঙখের বাতাসে
হার-মানা উলুপাখি সাঁতার কাটছে
loading...
loading...
সব ছাপিয়ে অনেক অনেক ভালো থাকুন প্রিয় কবি এই প্রত্যাশায় শুভ কামনা।
loading...
মনোরম বুনুনে অনন্য উপস্থাপন ,
loading...