তিন
ন্যাশানাল লাইব্রেরি গিয়ে একটা বই পেয়েছি পাশের চেয়ারে
শান্তিপুরী প্রচ্ছদের, চার কালার, তাতে শ্যাম ও বাঁশির ভাগ বেশি
পুটে কার নাম লেখা? করপুটে ঢাকা দিল মুখ টিপে ছদ্মবেশী
ছ’ফর্মার ছিমছাম দিন, যেন সোমদত্তা মিস স্কুলের প্রেয়ারে
তাকে আমি ‘বরো’ করব কি, সেই তুলে নিয়ে গেছে ছাপাখানা লেন
“এই আমার কম্পোজিটার” — আঁচলে-চিবুক-মা থতমত নমস্কার দেন
“গ্যালি প্রুফ দেখেছিল, আমার তিনটে ভুল যার জন্যে, ওই যে সে”
চৌকো এক ছায়ামুখ সূক্ষ্ম কোণ করে দুলছে দেয়াল-বাতাসে
এবার অসংখ্য হাঁটি, যেন বইপাড়া দু’পায়ের অনর্গল লম্বা এপিসোড
দিদিমা বকুলগাছ পার্ক স্ট্রিটে, ঘাসে ঝরছে যুক্ত-অক্ষরের রোদ
চার দিনে জেনে গেছি ভাঙা প্রেম, অপযশ, ব্ল্যাকমেইলিংকাহিনি
আবার জাতীয় গ্রন্থাগারে ফিরে বই জমা, তবু কেউ বিদায় গাহিনি
ছায়াপ্রায় কেয়াঝোপ, পাশে সে বসেছে, শাড়িতে পায়ের পাতা ঢাকা
“এত কষ্ট পাচ্ছ, সোনা?”— বলতেই বৃষ্টিজল দু’গাল বেয়ে দে পাড়ি!
সে-অবাক প্রজাপতি হরিণী-স্টাইলে তাকিয়ে, মুখ সূর্যাস্তমাখা
কাঁপা মুঠো চেপে ধরল এই হাত —“আমিও খুব ভালোবাসতে পারি!”
.
[ গ্রন্থ “ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক” (২০১৪)]
loading...
loading...
স্বতন্ত্র বোধনের কবিতা পড়লাম। একরাশ শুভকামনা প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন দা।
loading...