আমার কিলবিল দশা এই শীতে;
ঘুমের মধ্যে হাত বারবার নিচে নেমে
গিয়ার বদলায়
রাস্তার ধারে কে বেড়ালের লোমে
আগুন ঠুকে দিয়েছে; রাস্তায় বিপাশা ব্লাউজ
চাদরের ভেতর থেকে ওপরে
ভেসে উঠছে চন্দ্রমল্লিকা
এই শীত, কেউ মানবে না বললে —
কিন্তু ঋষিগোত্র, রাক্ষসগণ!
ইশ আমি বহুদিন পরে লজেন্স মুখে নেব,
হালকা ভারত বনাম ওজনদার ভারতের খেলায়
জিভে কচকচ ক’রে কাঁপবে সেকেন্ডের কাঁটা!
পাঁচিলের ওপর বসে বান্ধবী ডাকছে, ওগো বড়ঘরের দরজা খুলে দাও
ওর গলায় ভাঙন মাছের কাঁটা,
আমি ছাড়া আর কেউ খুলতে জানে না
সব সাপ ফোকর খুঁজে নিচ্ছে এই শীতে
শুধু আমি মরুভূমির ওপর দিয়ে টেনে আনছি
পঙ্গু মোটরসাইকেল
একবার বসেছিলাম ছড়ানো বজ্রাসনে,
স্ফিংকসের মতো — নিচে নদীখাত;
সারা রাত যেভাবে অক্লান্ত খবরের কাগজ
ছাপা হয়…।
যদি তুমি আমাকে হাজতে নিতে একদিনের জন্যে;
কড়া পাহারায় পাহাড়ের হোম স্টে-তে
তুলে এনে বলতে দৃশ্যটির পুনর্নির্মাণ করো
তেমন একটা রানিমিস্তিরির ফোন নাম্বার চাইছি
যে সোমবার বলবে তো সোমবারই;
কপালের ভাঙা ইঁটে চুমু খেয়ে এস্টিমেট দেবে
আর ঝত্খন না ইনসাইড পুরো রঙ হচ্ছে
দু’পা দিয়ে জড়িয়ে থাকবে আমার কোমর
.
গ্রন্থ: [‘সন্তানপ্রণাম’ থেকে]
loading...
loading...
হৃদয়হরা। আপনার এই লিখা গুলোন শব্দনীড়ের আর্কাইভকে সমৃদ্ধ করবে নিশ্চিত।
loading...
সার্থক রূপকাশ্রিত লেখা
loading...