এই পৃথিবী শিক্ষিত ছাত্র হয়ে যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ লাগাও রেলের দু’আনা বস্তিতে
আমি দেখেছি, তিনতলা লেডিজ হস্টেল থেকে
যে টিফিনকৌটো নেমে এল, ছেলেরা তাকে
লুফে নিয়ে হাসে
বইয়ের মুখেরা সব এক-মায়ের সন্তানের মতো,
বিদ্যের মুখেরা; প্রাণ ভ’রে ডালসবজি খেতে পারে জানার মুখেরা।
যদি তুমি অন্তর্লীন দুপুর-বাতাসে হাঁটো
যত রোদ আর পড়াশুনোর শিউলিঝারি থেকে
মেয়েদের গলা টোপাচ্ছে — সব ইংরাজি, সব মুসলমানস…
এতদিনের চেনা তবু যেমন চোখ সরানো যায় না গ্র্যামারবই থেকে;
যারা শ্লোক উচ্চারণ করে আর জল খায়
কাতারে কাতারে — ওদের গলায়
পার্লামেন্টের ছ্যাদলা তোলার বাটালি আছে কি?
সূর্যের ছানি কাটানো স্প্যাচুলা?
এখানেই বিনয়ের হাতগুলো পাবে
গবেষণা বেশিক্ষণ থাকতে পারে না ছায়াচ্ছন্ন এসবিআইয়ের ভেতরে
কতদিন ধ’রে আর হোস্টেলের টাকা
জমা দেবে বলো!
তাকে গেট খুলে বেরিয়ে আসতে হয় বাসরাস্তায়
এরা বিউগল বাজাতে পারে মাঝরাতে
রোগা রোগা কঠিন শার্পেরা
সব ডেমোক্র্যাসি ক’রে দিতে জানে
loading...
loading...
অসাধারণ একটি ধারাবাহিক পড়ে চলেছি। আমার কাছে ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠছে লিখাটি। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি চন্দন ভট্টাচার্য দা। নিরাপদ থাকুন। ধন্যবাদ।
loading...
খুবই দারুণ প্রকাশ।
loading...